পরম দয়াময় সৃষ্টিকর্তার নামে আরম্ভ করছি

দুই বন্ধুর আলোচনা

১ম বন্ধু : দেখুন বন্ধু, দেশে যে সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে তা কার্যকরী হলে দেশে অবশ্যই শান্তি আসবে। যেহেতু সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই ভাই ভাই। এতে আমাদের মাঝে থাকবে না কোন মতানৈক্য যা অশান্তির অন্যতম কারণ। ফলে, আমরা একতাবদ্ধভাবে সুষ্ঠু সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে পারব।
২য় বন্ধু : বন্ধু, আমার কিন্তু মনে হচ্ছে ইহা কার্যকরী করতে বেশ বিলম্ব হবে। তাছাড়া, আমরা যে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব কায়েম করতে চাচ্ছি তারও একটা প্রতিবন্ধকতা দেখতে পাচ্ছি। কেননা, আমরা চাচ্ছি প্রতিটি লোকই ধর্মবিভেদ ভুলে গিয়ে পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে মিলেমিশে দেশের কাজ করব। অথচ আমরা ইহাও চাচ্ছি যে, প্রতিটি ধর্মেরই স্বীয় বৈশিষ্ট্য বজায় থাকুক। এবার চিন্তা করে দেখুন, ধর্মের এই বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সাম্য ও ঐক্যের প্রধান অন্তরায়। যেমন ধরুন, হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টান এই তিন ধর্মের তিন ব্যক্তি এক সঙ্গে একই অফিসে কাজ করছে। কিন্তু খাবার সময় হলে তিন জনকেই তিন জাতীয় হোটেলে খেতে যেতে হয়। তখন এক বন্ধু অপর দুই বন্ধুর সঙ্গ হারায়। আর যদি তিন জন একই হোটেলে খেতে যায় তাহলেও তিন বন্ধুর দুই বন্ধু তাদের আপন আপন ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য হারায়। আবার উপাসনার সময়ও তিন বন্ধু তিন উপাসনালয়ে যায় এবং সেখানেও এক বন্ধু অপর দুই বন্ধুর সঙ্গ হারায়। আর যদি তিন জন একই উপাসনালয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রেও তিন জনের দুই জন আপন ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য হারায়। বিবাহ উপলক্ষে তিন জনকে তিন পৃথক পৃথক সম্প্রদায়ের মধ্যে পাত্র-পাত্রী খুঁজতে হয়। মৃত্যুর পরও তিন জনকে তিন পৃথক পৃথক স্থানে যেতে হয়; কারণ হিন্দু বা মুসলমান কখনও খ্রিস্টানদের কবরস্থানে যেতে রাজী হবে না। খ্রিস্টান বা হিন্দু কখনও মুসলমানদের কবরস্থানে যেতে রাজী হবে না। তদ্রƒপ মুসলমান বা খ্রিস্টান কখনও হিন্দুর শ্মশানে যেতে চাবে না। যদিও তিন জনই ভাই ভাই, কিন্তু মৃত্যুর পরও তিন জন একস্থানে যেতে পারে না। যদি আমরা তিন জন এক স্থানে যাই তবে আমাদের স্বীয় ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য বিসর্জন দিতে হয়। কাজেই ইহাকে যুক্তিসংগতভাবে ভ্রাতৃত্ব ও সাম্য বলা যেতে পারে না।
১ম বন্ধু : বন্ধু, তবে কি আপনি চান যে, দেশে কোন ধর্ম না থাকুক বা ধর্ম বিবর্জিত একটা সমাজ গড়ে উঠুক? অথবা আপনি কি চান যে, দেশে কোন নূতন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠুক?
২য় বন্ধু : দেখুন বন্ধু, রাগ করবেন না। কারণ আলোচনা সভায় কথা কাটা-কাটির মাধ্যমেই একটা সত্য জিনিস বের হয়। কাজেই কথায় কথায় রাগ করা অদূরদর্শিতারই পরিচায়ক। বন্ধু, আমি কি বলতে চাই গভীরভাবে তা চিন্তা করে দেখুন। আমার বক্তব্য হলো ধর্ম আমাদের রাখতেই হবে। কেননা, ধর্ম কোন মানুষের বানানো জিনিস নয় যে তা বাদ দেয়া যেতে পারে। ধর্ম হচ্ছে স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ। স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ মান্যকারী হচ্ছে ধার্মিক। আর তা অমান্যকারী হচ্ছে অধার্মিক। কাজেই এমন দুঃসাহসী কে আছে যে সৃষ্টিকর্তার রাজ্যে বাস করবে অথচ তাঁর আদেশ-নিষেধ তথা তাঁর ধর্মকে অস্বীকার করবে? সমাজ সম্বন্ধে আমার বক্তব্য Ñ যে কোন চিন্তাশীল সুস্থ মস্তিষ্ক বিশিষ্ট ব্যক্তিই বুঝতে পারেন যে, জগতে বাস করতে হলে একটা সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থার অবশ্য প্রয়োজন। নতুবা তাকে অনেক মৌলিক প্রয়োজন হতে বঞ্চিত থাকতে হয়। সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা এমনই একটা মজবুত ভিত্তি যার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে প্রাসাদ তুল্য একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র। মনে রাখবেন, যেমনি দৃঢ় ভিত্তির উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে একটি সুন্দর ও শক্তিশালী প্রাসাদ তেমনি একটা সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে একটি সুন্দর ও শক্তিশালী রাষ্ট্র। কিন্তু রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে কখনো সমাজ গড়ে উঠতে পারে না। বন্ধু, আমাদের এ দেশ এখনো একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হয়নি। তা এখনো একটি পরিকল্পনার উপর ভাসমান রয়েছে। সুতরাং এ দেশকে সর্বাঙ্গীন মঙ্গলময় একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে এর ভিত্তি স্বরূপ এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে যার মূলে থাকবে সুস্থ মস্তিষ্ক বিশিষ্ট বহু চিন্তাশীল ব্যক্তির সঠিক পরামর্শ ও গবেষণা। প্রকৃত পক্ষে আমাদের সমাজ গড়তে হবে যুক্তিসঙ্গত ভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে একটি সুষ্ঠু নীতিমালাকে অনুসরণ করে, যা গ্রহণ করতে হিন্দু, মুসলমান বা খ্রিস্টান কারো পক্ষে আপত্তির কোন কারণ থাকবে না। হে বন্ধু, জেনে রাখুন, একটি রাষ্ট্র নির্ভর করে একটি সমাজ ব্যবস্থার উপর। নতুবা তা হবে স্বৈরাচারী একনায়কত্বের পৃষ্ঠপোষক। তদ্রƒপ একটি সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা নির্ভর করে একটি সত্য ধর্মের উপর। নতুবা সত্য ধর্ম বিবর্জিত সে সমাজ হবে একটি উচ্ছৃঙ্খল অনিয়মতান্ত্রিক নৈরাজ্যের আধার।
১ম বন্ধু : বন্ধু, আপনার কথায় বুঝতে পারলাম আপনি চান একটি সত্য ধর্মের উপর নির্ভর করে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। তাহলে বাকী ধর্মগুলি এবং তাদের অনুসারীদের অবস্থা কি হবে? তারা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়ে যাবে নাকি?
২য় বন্ধু : দেখুন বন্ধু, আমি কাউকেই বাদ দিতে চাইনে। বরং আমি চাই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান। দেখুন বন্ধু, আপনার দাবি আপনি খ্রিস্টান, আমার দাবি আমি হিন্দু এবং তার দাবি তিনি মুসলমান। কিন্তু এটা কি করে ঠিক হয়? আমরা তিনজনই এক মানুষ জাতি। আমাদের জন্ম একই নিয়মে হয়। আমরা প্রত্যেকেই পাঁচ ইন্দ্রিয়বিশিষ্ট এবং আমাদের প্রত্যেকেরই ইন্দ্রিয়ানুভূতি একইরূপ। প্রত্যেকেরই জীবন-যাপনের জন্য খাওয়া-পরা-বাসস্থানের প্রয়োজন। সকলের প্রয়োজন একই প্রকার উপাদানে মিটান হচ্ছে। এতে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে সৃষ্টিগতভাবে আমরা সবাই একই জাতীয় এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তাও একজনই-একাধিক নন। আর সেই স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ তথা ধর্মও একটিই হবে। তা কখনও একাধিক হতে পারে না।
১ম বন্ধু : বন্ধু, দীর্ঘকাল আমরা ভিন্ন ভিন্ন জাতি ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম পালন করে আসছি। এখন কি করে আমাদের পৈতৃক ধর্ম মিটিয়ে দিয়ে আমরা এক ধর্মাবলম্বী হতে পারব তা-তো বুঝতে পারছি না।
২য় বন্ধু : বন্ধু, পূর্বকাল সম্বন্ধে আলোচনা আপততঃ স্থগিত রাখুন। বর্তমান বৈজ্ঞানিক যুগ। যুক্তির আলোতে সবকিছু যাচাই করার সুযোগ এসেছে। আচ্ছা বন্ধু, আপনি বলুন কেন আপনি উপাসনা করে থাকেন? সৃষ্টিকর্তার ভালবাসা লাভ করার জন্য নয় কি? আদেশ পালন করলে আদেশ দাতা সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। এটা স্বতঃসিদ্ধ। হে বন্ধু, আমরা যে কোন জাতি বলেই দাবি করে থাকি না কেন এবং আমরা ধনী বা দরিদ্র, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, রাজা বা প্রজা যা-ই হয়ে থাকি না কেন, আমরা সবাই অক্ষম। কেননা কারো নিজের লাভ লোকসানের ক্ষমতা তার নিজের হাতে নেই। আমাদের সবারই মঙ্গল ও অমঙ্গল সেই সৃষ্টিকর্তার হাতে যিনি সমস্ত জগত সৃষ্টি করেছেন। তিনিই আমার ও আপনার প্রত্যেকেরই মালিক। সুতরাং সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ কেমন হওয়া চাই? যেমন ধরুন, পিতা ও তিন পুত্র নিয়ে একটি সংসার। এই সংসারে ছেলেরা সবাই পিতাকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে থাকে, কিন্তু তারা ভাইয়ে ভাইয়ে পরস্পর ঝগড়া করে। এক্ষেত্রে পিতা কারো উপর খুশী হতে পারেন না। সুতরাং যদি আমরা সত্যিকারভাবে সৃষ্টিকর্তাকে রাজী করতে চাই এবং তাঁর কাছ থেকে আমাদের সুখ-শান্তি পেতে চাই তাহলে আমাদের প্রত্যেককে পরস্পর ভাই ভাই মনে করে কাউকেই ঘৃণা না করে একই সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে বাস করতে হবে এবং আমাদের সবাইকে একই নীতি মেনে চলতে হবে। এই একক নীতি অনুসৃত হলে আমরা সবাই এক জাতির অন্তর্ভুক্ত হতে পারব এবং আমাদের জাতিগত বা ধর্মগত বৈষম্য মিটে যাবে। তখন আমাদের নীতিগত পার্থক্য বা অনৈক্য কিছুই থাকবে না।
১ম বন্ধু : বন্ধু, আপনার দীর্ঘ আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম, আপনি চান সমস্ত মানব জাতিকে একই ধর্মের অনুসারী করে একই সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। তাহলে আমরা তিন ভাই অফিস আদালতে যেমনি একত্র কাজ করতে পারব, উপাসনার সময় তিন ভাই তেমনি একই উপাসনালয়ে উপাসনা করতে পারব; খাবার বেলায়ও তিন ভাই একই হোটেলে খেতে পারব এবং তিন ভাইয়ের মধ্যেই ছেলে-মেয়ে বিয়ে-শাদি দিতে পারব, আবার মৃত্যুর পরও তিন ভাই একই স্থানে যেতে পারব। এটাত অতি উত্তম ব্যবস্থা। যেহেতু পূর্ণ একতা, পূর্ণ সাম্য ও পূর্ণ ভ্রাতৃত্ব এর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা আমার কাছে অসম্ভব বলে মনে হয়। কারণ, সব মানুষকে এক ধর্মাবলম্বী করতে হলে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টান এই তিনটির দুটিকে মিটিয়ে দিতে হবে। আমি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। আমি খ্রিস্টান ধর্মকে সত্য বলে বিশ্বাস করি। এমতাবস্থায়, আমি খ্রিস্টধর্ম পরিত্যাগ করতে রাজী হব কেন? আর আপনি কি আপনার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করতে রাজী হবেন? অথবা কোন মুসলমান কি তার ধর্ম ত্যাগ করতে রাজী হবে?
২য় বন্ধু : হে বন্ধু, একটা কথা জেনে রাখুন। অবস্থা যত কঠিন হবে তার সমাধানও তত সহজ হবে, এরূপইত দেখে আসছি। যাহোক, এটা বাস্তবায়িত করার জন্য একটা সহজ পন্থা আমি দেখাচ্ছি। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের প্রত্যেকেরই আপন আপন মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। কার মতামত গ্রহণযোগ্য তা নির্ভর করে সর্ব সাধারণের রায়ের উপর। এক্ষেত্রে আমার মতামত নীচে ব্যক্ত করলামঃ-
বিশ্বের সকল ধর্মমতের তুলনামূলক একটা বিচার হওয়া উচিৎ। বিনা বিচারে ধর্ম পালন করার চেয়ে না করাই ভাল। আমার মতে বিচার করলে পৃথিবীতে সঠিক ধর্ম একটাই পাওয়া যাবে। বাকী সব ধর্ম অঠিক প্রমাণিত হবে। ন্যায়সঙ্গতভাবেই জনসাধারণ তখন অঠিক ধর্ম ত্যাগ করে সঠিক ধর্ম গ্রহণ করতে পারবে।
১ম বন্ধু : হে বন্ধু, ধর্মের বিচার করবে কে? প্রত্যেক ধর্মেরই ধর্মগুরুগণ যা বলবেন তার অনুসারীগণ তা-ই মেনে চলবে। এর বিচার করার অধিকার কার আছে?
২য় বন্ধু : হে বন্ধু, অন্ধকার যুগ চলে গেছে। বিজ্ঞান ও যুক্তির যুগ সমুপস্থিত। ধর্মকেও যুক্তির আলোকে জনগণের সম্মুখে উপস্থাপিত করতে হবে। এর জন্য এখন যা করা দরকার তা এই:- স্বাধীন দেশের সরকার সমূহ সর্ব সাধারণের সহযোগিতায় একটা সাধারণ সভার আয়োজন করা এবং তাতে প্রত্যেক ধর্মের বিশিষ্ট ধর্ম প্রচারকদের আহ্বান করা। উক্ত সভায় প্রত্যেক ধর্মের বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, রাজনৈতিক ও সামজের চিন্তাশীল ব্যক্তিগণকেও উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা। অতঃপর প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগুরু যথা – পাদরী, প-িত, মৌলভী প্রভৃতি সবাইকে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি করা –
(১) সত্য ধর্ম কি এবং কাকে বলে?
(২) সত্য ধর্ম পৃথিবীতে কোন্ প্রণালীতে আবির্ভূত হয়?
(৩) সত্য ধর্ম পৃথিবীতে কতদিন গ্রহণযোগ্য এবং নিষ্কলঙ্ক অবস্থায় বিদ্যমান থাকে?
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই তিনটি প্রশ্ন আলোচনার মাধ্যমেই সঠিক ও অঠিক ধর্ম কোনটি তা ধরা পড়বে এবং সর্ব সাধারণও তা বুঝতে পারবে।
১ম বন্ধু : বন্ধু, আপনার বক্তব্য যুক্তিসংগত বলেই মনে হয়। কিন্তু ধর্মের পরীক্ষক নিযুক্ত হবে কোন ধর্ম হতে?
২য় বন্ধু : হে বন্ধু, ধর্মের পরীক্ষক হবেন এমন একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যার বিশেষ কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রতি কোন ঝোঁক থাকবে না। অথচ, ধর্ম সম্বন্ধে তাঁর মৌলিক জ্ঞান হতে হবে চূড়ান্ত। হে বন্ধু, জেনে রাখুন, ধর্মের মৌলিক জ্ঞান বা বিদ্যা চারটি, যথা-
(১) স্রষ্টার অস্তিত্ব ও তাঁর গুণাবলী সম্বন্ধীয় জ্ঞান।
(২) মানুষের দেহ ও আত্মা সম্বন্ধীয় জ্ঞান।
(৩) অদৃষ্ট ও উপাদান সম্বন্ধীয় জ্ঞান।
(৪) ইহজগত ও পরজগত সম্বন্ধীয় তত্ত্ব জ্ঞান।
উপরোক্ত চারটি বিষয়ের জ্ঞান ছাড়া যে ব্যক্তি ধর্মগুরু সাজে সে ধর্মান্ধ আখ্যায় আখ্যায়িত হবে।
১ম বন্ধু : বন্ধু, তেমন ধর্ম-জ্ঞানী কে এবং তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে?
২য় বন্ধু : হে বন্ধু, যদি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন, তবে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আপনারা সে সভার আয়োজন করুন। উক্ত ব্যক্তিকে তালাশ করতে হবে না। প্রয়োজন হলে আমার এবং আপনার যিনি মালিক তিনিই সে প্রয়োজন মিটিয়ে দিবেন। যেহেতু তিনি সর্বশক্তিমান।

********