পরম দয়াময় সৃষ্টর্কিতার নামে আরম্ভ করতিছেি

মানবজাতরি শান্তি কোন্ পথে বিজ্ঞানে না ইসলাম?

 

আধুনকি যুগরে রাষ্ট্রবজ্ঞিানীগণ সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা প্রর্বতনরে যে সমস্ত পথ দখোইতছেনে তার মধ্যে দুইটি প্রধান- একটি গণতন্ত্র অপরটি সমাজতন্ত্র। রাষ্ট্রবজ্ঞিান অনুযায়ী দশেরে ভৌগোলকি সীমার মধ্যে যাহা কছিু আছে তৎসমুদয় লইয়া গঠতি হয় এক র্সাবভৌম রাষ্ট্র। ইহার মধ্যে বসবাসকারী লোকদগিকে প্রধানত দুইটি শ্রণেীতে বভিক্ত করা হয়। উহার একটি দশেী নাগরকি ও অপরটি বদিশেী নাগরকি, র্অথাৎ উহাদরে প্রথমটি জন্মসূত্রে নাগরকি এবং দ্বতিীয়টি কোন চাকুরী, ব্যবসায়, শক্ষিা প্রভৃতি উপলক্ষ্যে বভিন্নি দশে হইতে আসয়িা বসবাস করয়িা থাক,ে ইহারা বদিশেী। ইহা ছাড়া আরও একটি শ্রণেী আছে যাহারা ভন্নি দশে হইতে আসয়িা বলর্পূবক দশেরে শাসন ভার বা র্সবময় র্কতৃত্ব নজিদেরে হাতে লইয়া দশে শাসন করে এবং যথচ্ছেভাবে দশেরে সম্পদ শোষণ করয়িা থাক।ে ইহারা হইল ঔপনবিশেকি। তাহারা সাধারণত কোন তন্ত্ররে ধার ধারে না। গণতন্ত্ররে বধিান অনুযায়ী বদিশেী লোক নাগরকিত্বরে র্পূণ র্মযাদা পাইতে পারে না। দশেী নাগরকিগণই র্সাবভৌমত্বরে প্রকৃত মালকি। গণতন্ত্ররে বধিান অনুযায়ী সকল নাগরকিবৃন্দ যদওি র্সাবভৌমত্বরে মালকি, তথাপি একা কোন মানুষই তাহার নজিরে প্রয়োজন মটিাইয়া জীবন যাপন করতিে পারে না। তাই মানুষকে দলবদ্ধ বা সমাজবদ্ধ হইয়া চলতিে হয়। আরও একটি কথা এই যে একজন সমাজপতি বা সমাজরে চালক না থাকলিে সমাজ সুষ্ঠুভাবে চলতিে পারে না। এই কারণইে গণতন্ত্ররে বধিান অনুযায়ী সকল নাগরকিই র্সাবভৌমত্বরে মালকিানা বলে উক্ত সমাজপতরি পদর্প্রাথী বা সমাজপতি নর্বিাচনরে জন্য ভোটদাতা হইতে পারে এবং উক্ত পদ প্রাপ্তরি জন্য প্রতযিোগতিাও করতিে পার।ে গণতন্ত্ররে বধিান অনুযায়ী ভোটাধক্যিরে ভত্তিতিে সমাজপতি নর্বিাচতি হইয়া থাকে এবং উক্ত নর্বিাচতি সমাজপতইি র্সবসাধারণকে চালাইবার জন্য র্সাবভৌম ক্ষমতার ষোল আনা প্রয়োগ করয়িা থাক।ে
গণতান্ত্রকি রাষ্ট্রে একটি স্বীকৃত বষিয় এই যে উক্ত ভৌগোলকি সীমার ভতির সকল নাগরকিরে অধকিার সমান। ভোট দওেয়া বা নর্বিাচতি হওয়ার ব্যাপারে হন্দিু, মুসলমি, বৌদ্ধ, খৃষ্টান প্রভৃতি কোন সম্প্রদায় বা কোন মতবাদীর অধকিার কোন অংশে কম বশেী হইতে পারে না। রাষ্ট্রবজ্ঞিানে গণতন্ত্ররে র্সাবজনীন উপকারতিা যুক্তি প্রমাণ দ্বারা দখোন হইয়া থাক।ে এই জন্যই গণতন্ত্ররে বশিষে কোন বরিোধতিা হয় না বরং অগণতান্ত্রকি দশে সমূহও গণতান্ত্রকি দশেগুলকিে স্বীকার করয়িা থাক।ে যাহা হোক, যদওি গণতন্ত্ররে উপকারতিা সম্বন্ধে বভিন্নি যুক্তি দখোনো হইয়া থাক।ে তথাপি মানুষ যে শান্তি চাহতিছেে তাহা কোথাও পাওয়া যাইতছেে না। ইহা সবাই স্বীকার করবিনে। যহেতেু পৃথবিীর কোথাও প্রকৃত শান্তি নাই, তাই আমি কোন ভাইয়রেই বরিোধতিা না করয়িা আমার সকল মানব ভাইদরে উপকার্রাথে ইসলামরে আলোতে শান্তরি পথ কোন্টি তাহা দখোইতে ইচ্ছা কর।ি আশা করি প্রত্যকে ভাই নজি নজি উপকার হাসলেরে জন্য সরল প্রাণে ইহা পাঠ করবিনে এবং গভীরভাবে চন্তিা করয়িা বুঝতিে চষ্টো করবিনে।
ইসলাম সম্বন্ধে কছিু আলোচনা:
‘জানা দরকার যে ইসলাম মানে শান্ত।ি কন্তিু শুধু নামইে শান্তি হয় না, বরং উহার নর্দিশেতি পথে চলয়িা শান্তি র্অজন করতিে হয়। ইসলাম নামরে রূপ হইল ‘ইন্সাফ’। অতএব ইনসাফ যথা ইসলাম তথা এবং ইসলাম যথা শান্তি তথা। আর ইনসাফরে বাংলা সরল র্অথ হইল ন্যায় বচিার। সুতরাং ন্যায় কথা বলা বা ন্যায় কথা সর্মথন করাই হইতছেে মানব জীবনরে প্রকৃত শান্তরি পথ। ইহা এমনই অকাট্য যুক্তি র্পূণ কথা যাহা খ-ন করবিার ক্ষমতা কোন মানুষরেই নাই।
এখন আমি সকল ভাইদরে সম্মুখে এমন কয়কেটি বষিয় তুলয়িা ধরতিে চষ্টো করবি যাতে প্রায় সমস্ত মানুষই যে ইন্সাফ ত্যাগ করয়িা বইেন্সাফী করতিছেে যদ্দরুন জগদ্বাসী স্বাভাবকি ভাবইে অধঃপততি হইতছেে তাহা ধরা পড়বি,ে ইনশাআল্লাহ্।
প্রথম বষিয়টি র্সাবভৌমত্ব এবং নাগরকিদরে মালকিানা সম্বন্ধ।ে র্সাবভৌমত্ব হইতছেে একটি অপরসিীম ক্ষমতা, আর দশেরে নাগরকিবৃন্দ হইতছেে উহার মালকি বা অধকিারী। যমেন, একটি বাড়।ি ইহা চর্তুসীমার মধ্যে আমি জন্মাবধি বসবাস করতিছে।ি র্পূবপুরুষদরে ওয়ারশিী সূত্রে আমি মালকি হইয়াছ।ি কন্তিু যদি এই বাড়তিে আমার সহোদর আরও দশটি ভাই থাকে তাহারাও আমার সমান তুল্য অধকিারী হইব।ে কন্তিু যদি এই বাড়তিে আমার কোন বন্ধু বা কোন ভাড়াটয়িা বাস করে তাহারা হইবে এই বাড়রি বহরিাগত। তাহারা কহে আমার সমানতুল্য অধকিারী হইতে পারবিে না। আর দশ ভাই একত্রে মলিয়িা-মশিয়িা চলতিে হইলে একজনকে গৃহর্কতা নযিুক্ত করয়িা লইতে হয় এবং উক্ত গৃহর্কতা আপন ভাইদরে মধ্যে হইতইে হইব।ে ঠকি এমনভিাবইে রাষ্ট্রবজ্ঞিানে গণতন্ত্রকে বুঝানো হইয়া থাক।ে
এইবার আসুন আমরা দখেি এখানে আমাদরে ভুল কতটুকু হইল। জানা দরকার য,ে মালকিানা দুই প্রকার। প্রথমতঃ সাধারণ মালকিানা; দ্বতিীয়তঃ মূল মালকিানা। যমেন, প্রত্যকে বাড়রি মালকি বাড়ওিয়ালা হইলওে বাড়রি প্রকৃত মালকি হইল দশেরে সরকার। সহেতেু বাড়রি প্রত্যকে সাধারণ মালকিকে দশেরে মূল মালকি তথা দশেরে সরকাররে বাধ্যগত হইয়া তাহাদরে আদশে-নষিধে প্রতপিালন করয়িা চলতিে হয়। তাই সে আপন বাড়তিে শান্ততিে বসবাস করতিে পার।ে কন্তিু সে যদি সরকার অমান্যকারী হয়, তাহা হইলে তাহাকে সরকাররে কোপানলে পড়তিে হয় এবং অশান্তি ভুগতিে হয়। ইহা অকাট্য যুক্তি এবং ইহা অস্বীকার করবিার ক্ষমতা কোন ব্যক্তরিই নাই।
এইবার আমি যুক্তবিাদী জ্ঞানবান ভাইগণকে জজ্ঞিাসা কর,ি কোন দশেরে নাগরকি বা সরকার সে যে কহেই হোক না কনে তাহারা কি দশেরে র্সাবভৌমত্বরে সাধারণ মালকি না মূল মালকি? যদি তাহারা সাধারণ মালকি হইয়া থাক,ে তাহা হইলে তাহাদরে মূল মালকি ক?ে আপনারা কি সইে মূল মালকিরে আনুগত্য স্বীকার করত তাঁহার আদশে-নষিধে মোতাবকে নজিদেরে জীবন ও রাষ্ট্র পরচিালনা করতিছেনে?
ইহার উত্তরে আপনারা যাহাই বলুন না কন্ ের্বতমান পৃথবিীতে এমন কোন দশে নাই যখোনে মানুষ মানব রচতি জীবন বধিান ছাড়া মূল মালকিরে সংবধিান পালন করতিছে।ে ইহা মস্ত বড় অন্যায় ও বইেন্সাফী। কাজইে এই অন্যায় হইতে প্রত্যার্বতন করয়িা মূল মালকিরে নকিট ক্ষমা র্প্রাথনা করতঃ তাঁহার আনুগত্য স্বীকার না করা র্পযন্ত জগদ্বাসীর শান্তি ও মুক্তি পাওয়ার দ্বতিীয় কোন পথ নাই। যদি কোন ভাই মূল মালকি মানুষ ছাড়া অন্য কহে আছনে বলয়িা সন্দহে বা অস্বীকার কর,ে তাতে তাহারা যে কি পরমিাণ ভুল করতিছেে তাহা এইবার বশ্লিষেণ করয়িা দখোন হইতছে।ে আশা করি এই আলোচনার প্রতি গভীরভাবে মনোনবিশে করলিে পরষ্কিাররূপে বুঝতিে পারা যাইবে যে মূল মালকি মানুষ ছাড়া অন্য কহে আছনে কনিা।
অকাট্য যুক্তি দ্বারা ইহা প্রমাণ করা হইয়াছে য,ে র্সাবভৌমত্বরে মালকি দুই প্রকার- সাধারণ মালকি ও মূল মালকি। সাধারণ মালকি তাহার অধকিৃত বস্তু দ্বারা ক্ষতগ্রিস্থ বা আক্রান্ত হইতে পারে বা হইতছে।ে কন্তিু মূল মালকি তাঁহার অধকিৃত কোন বস্তু দ্বারা কখনও ক্ষতগ্রিস্থ বা আক্রান্ত হন না। যে ব্যক্তি তাঁহার নজিরে স্বত্ব বা অস্তত্বিকে তাঁহার অধকিৃত বস্তুর আক্রমণ হইতে নরিাপদে রক্ষা করতিে পারনে একমাত্র তনিইি মূল মালকি। এই যুক্তি অনুযায়ী কোন মানুষই মূল মালকি হইতে পারে না; কনেনা, ঘররে মালকি কখনো কখনো ঘররে তলে চাপা পড়য়িা মারা যায়, গরুর মালকি কখনো কখনো তাহার গরু দ্বারা আক্রান্ত হয়; হাতয়িাররে মালকি কখনো কখনো তাহার হাতয়িার দ্বারা ক্ষতগ্রিস্থ হয়; প্রজাদরে মালকি রাজা তাহার প্রজার দ্বারা ক্ষতগ্রিস্থ হয়। কাজইে যুক্তসিঙ্গতভাবে ইহাই প্রমাণতি হইল য,ে মানুষ ছাড়া এমন এক র্সবশক্তমিান সত্তা বদ্যিমান আছনে যনিি সবার মূল মালকি। অতএব সইে মূল মালকিরে আনুগত্য স্বীকার না করা র্পযন্ত কহেই শান্তি পাইতে পারে না। আর যাহারা মানুষকে র্সাবভৌমত্বরে মূল মালকিরূপে বশ্বিাস করে তাহারা মহাপাপী সাব্যস্ত হইতছেে এবং যাহারা এইরূপ বশ্বিাসীদগিকে সর্মথন করে তাহারাও এই একই পাপরে সামলি। ইহা আমার বচিার নয়। বরং সইে মূলে মালকিই স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করতিছেনে, “ইনলিহুকমু ইল্লালল্লিাহ্”- র্সাবভৌমত্বরে মালকিানা একমাত্র আল্লাহ্র (কুরআন)। সইে মালকিই অন্যত্র বলতিছেনে, “ইন্নাস্ শরেকা লাজুলমুন আজমি”- নশ্চিয়ই শরেক মহাপাপ (কোরআন)। অনকে ভাই ইসলাম বা কোরআনরে কথা শুনলিে চমকয়িা উঠনে। তাহারা মনে করনে, উহা এক শ্রণেীর মানুষরে র্ধমীয় মতবাদ- উহা কি আধুনকি যুগরে বজ্ঞিানরে মোকাবলিা করতিে পার?ে যহেতেু বজ্ঞিান হইতছেে মানবজাতরি ব্যাপক মতবাদ। এখানে যে সে ভাইয়রো কি ভুল করতিছেে তাহা তাহারা নজিরোই ধরতিে পারতিছেে না। তাই আল্লাহ্র পক্ষ হইতে ভুল বুঝাইয়া দওেয়া হইতছে।ে
ইসলাম কোন শ্রণেী বা সম্প্রদায় বশিষেরে র্র্ধমীয় মতবাদ নয়, বরং ইহা হইতছেে সমগ্র মানবজাতরি জন্য সমস্ত সৃষ্টরি স্রষ্টা ও সৃষ্টরি র্সাবভৌমত্বরে একমাত্র মূল মালকি সইে আল্লা-পাকরে পক্ষ হইতে দওেয়া এক সংবধিান। এই বধিানে যে যুক্তি আছে উহা আল্লা-পাকরে দওেয়া যুক্ত।ি আর বজ্ঞিানরে যে যুক্তি আছে উহা বজ্ঞৈানকিদরে দওেয়া যুক্ত।ি আর যহেতেু বজ্ঞৈানকি সসীম এবং আল্লাহ্ অসীম, অসীমরে সাথে সসীমরে কোন তুলনাই হইতে পারে না। বজ্ঞি পতিা নজিে শক্ষিক আর অবুঝ ছলেে তাঁহারই ছাত্র। এস্থলে পতিার কোন কথার প্রতবিাদ না করয়িা সব কথাই মাথা পাতয়িা মানয়িা লওয়া দরকার। কখনও যদি ছলেরে জ্ঞানে ছলেমেি যুক্তরি উদয় হয় তখন সে তাহা প্রকাশ না করয়িা থাকতিে পারে না। তাই ছলেে কোন প্রশ্ন করলিে পতিা প্রথমবারইে রাগ করনে না, বরং ছলেরে যুক্তরি অসারতা বুঝাইয়া দওেয়ার চষ্টো করনে। ছলেে যদি নজিরে যুক্তি বা বুঝরে বাহরিে যাইতে না চায় এবং পতিা বা শক্ষিকরে যুক্তি অবজ্ঞা করে তখনই স্নহেশীল পতিা রাগান্বতি হন।
অতএব হে বশ্বিবাসী মানুষ! আপনারা কহে মনে করবিনে না যে ইসলাম আমার বা আপনার জন্য নয়, বরং ইহাই হইতছেে র্সবযুগরে সকল অঞ্চলরে ও র্সব শ্রণেীর জন্য একমাত্র গ্রহণযোগ্য র্ধম বা সরল পথ। তবে ইহা বভিন্নি সময়ে বভিন্নি অঞ্চলে বভিন্নি ভাষায় আবর্ভিূত হওয়াতে বভিন্নি নামে আখ্যায়তি হইয়াছ।ে র্অথাৎ মানব জাতরি সৃষ্টর্কিতা মানবজাতকিে সৃষ্টি করয়িা এই পৃথবিীতে বসবাস করতিে দয়িাছনে। আর একথা কে না বুঝে যে উক্ত মানুষ আসার র্পূবইে এই পৃথবিীটা বদ্যিমান ছলি? আর যনিি এই মানুষকে জগতে বসবাস করতিে দলিনে, যদি এই জগতরে উপর তাঁহার র্সাবভৌম মালকিানা না থাকতি, তাহা হইলে অপররে অধকিৃত স্থানে তনিি মানুষকে কভিাবে কোন্ ক্ষমতায় বসাইলনে? সুতরাং যনিি এই মানুষ সৃষ্টি করয়িাছনে তনিইি এই জগতটাও সৃষ্টি করয়িাছনে এবং এই জগতরে র্সাবভৌম মালকিানা তাঁহারই, মানুষ কখনও পৃথবিীর র্সাবভৌম মালকি হইতে পারে না। ইহা শুধু যুক্তর্তিকরে বাক্বতি-াই নয়, বরং ইহার বাস্তব সত্যতার প্রমাণও দখোইতছে।ি মনে করুন, আপনি দশেরে সরকার পরচিালনা করতিছেনে। এই দশেরে র্সাবভৌম ক্ষমতা আপনার হাত।ে আপনি গদতিে বসা আছনে, এমতাবস্থায় প্রচ- ভূমকিম্প আরম্ভ হইল। তখন আপনার অনচ্ছিা সত্বওে ভূমি হলেয়িা দুলয়িা সংিহাসন হইতে আপনাকে ফলেয়িা দতিছে।ে আপনার কোন ক্ষমতাই ভূমকিে স্থরি রাখতিে পারে না। মনে করুন, আপনি সংিহাসনে বসা আছনে, এমতাবস্থায় এমন তুফান শুরু হইল যে সব কছিু সর্ম্পূণ ল-ভ- করয়িা দলি। আপনার হুকুমে কি তুফান বন্ধ হয়? আপনার অধকিৃত ভূমরি উপর দয়িা প্রবাহতি নদীতে কি আপনার ইচছায় জোয়ার-ভাঁটা হয়? তাহা হইলে আপনি কসিরে উপর মালকি, জগত দূরে থাক, আপনি ত দশেরে মালকি, বলুন ত মাথা হতে পা র্পযন্ত যে দহে- এই দহেরে উপর কি আপনার হুকুমত চল?ে আপনার অনচ্ছিা সত্বওে এই দহে রোগাক্রান্ত হইতছেে ইত্যাদ।ি যাহা হোক, মানুষ বভিন্নি দশেে বাস কর,ে বভিন্নি ভাষায় কথা বল,ে কন্তিু তাই বলয়িা মানুষরে উদ্দশ্যে বভিন্নি হইতে পারে না। মানুষরে জাত এক, মানুষরে উদ্দশ্যেও এক। র্অথাৎ সৃষ্টর্কিতা মানুষরে জন্য দুইটি জনিসি সৃষ্টি করয়িাছনে- একটা মঙ্গল, অপরটা অমঙ্গল। যাহা মঙ্গল তাহাই মানুষ চায়। আর যাহা অমঙ্গল তাহা হইতে মানুষ বাঁচতিে চায়। আর যাহা আমার জন্য মঙ্গলজনক তাহা সকল মানুষরে জন্যই মঙ্গলজনক। আর যাহা আমার জন্য অমঙ্গলজনক তাহা সকল মানুষরে জন্যই অমঙ্গলজনক। আর এই মঙ্গল ও অমঙ্গল সইে সৃষ্টর্কিতার হাতে যনিি এই জগত প্রথম সৃষ্টি করয়িাছনে। তারপর প্রথম মানুষকে এই জগতে পাঠাইয়াছনে। সইে মানুষকে তনিি বুঝাইয়া দলিনে, “দখে, তুমি আমার সৃষ্ট, আমি তোমার মালকি- ইহা র্সবদা বশ্বিাস করবি।ে তোমার মন যাহা চায় তাহা আমার কাছে চাহবি।ে আর যাহা তোমার মনরে অনাকাক্সক্ষিত তাহা হইতে আমার নকিট রহোই চাহবি।ে এই জমনি আমার, তুমি এখানে বসবাস করবি,ে আমি তোমাকে রক্ষণাবক্ষেণ করবি। তোমার সন্তানদগিকওে এইরূপ আদশে উপদশে দবি।ে জানয়িা রাখওি আমার আদশে নষিধে লঙ্ঘন করলিে অমঙ্গলে পড়তিে হইব।ে” অতএব সইে মানুষই আদি মানুষ এবং সইে মালকিই সবার মালকি। আর সইে আদশে নষিধেই র্সবকালরে, র্সবদশেরে এবং সমগ্র মানবজাতরি জন্য অবশ্য পালনীয় র্ধম। উহারই নাম ইসলাম। কন্তিু কতক সময়রে পরই মানুষরে জাগতকি উন্নতরি জন্য এবং তাহাদরে মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করবিার জন্য মানুষকে তারতম্য করয়িা সৃষ্টি করতিে লাগলিনে। যমেন কহে জ্ঞানী, কহে অজ্ঞ, কহে ধনী, কহে গরীব, ইত্যাদ।ি র্অথাৎ দুইটি স্তররে মানুষ সৃষ্টি করা হয়- একটি সক্ষম অপরটি অক্ষম। যমেন, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে স্বামী সক্ষম, স্ত্রী অক্ষম। চাকর ও মনবিরে মধ্যে মনবি সক্ষম চাকর অক্ষম। ইহা এই জন্য যে মানুষ শৃঙখলার সহতি চলতিে পারবিে এবং জীবনে শান্তি লাভ করবি।ে অক্ষম যদি সক্ষমরে আনুগত্য স্বীকার করয়িা চলে তবইে শান্ত,ি অবাধ্য হইলে অশান্তি অনবর্িায। যমেন স্ত্রী স্বামীর বাধ্যগতা হইয়া চললিে শান্ত,ি চাকর মনবিরে বাধ্যগত হইয়া চললিে শান্ত,ি প্রজা রাজার বাধ্যগত হইয়া চললিইে শান্ত।ি ইহার বপিরীত হইলইে অশান্ত।ি আপনি যে কোন দশেবাসী বা ভাষাভাষী মানুষকে জজ্ঞিাসা করুন, ইনসাফ কোন্টা র্অথাৎ ন্যায় কোন্টা? অক্ষমরে জন্য বাধ্যগত হইয়া চলাই শান্ত,ি না অবাধ্য হইয়া চলাই শান্ত?ি র্সবস্থান হইতে একই উত্তর পাইবনে যে অক্ষমরে জন্য সক্ষমরে বাধ্যগত হইয়া চলাই ন্যায়, উহাই ইন্সাফ। আর র্ধমীয় ভাষায় ইহাকইে বলা হয় ইসলাম। অতএব জগদ্বাসী মানুষ যখন জ্ঞানরে সাহায্যে দুনয়িার মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করয়িা চলে তখন জাগতকি উন্নতি হইতে থাক।ে কন্তিু কছিুদনি পরপরই সক্ষম শ্রণেী র্অথাৎ র্পাথবি সক্ষমশ্রণেী র্অথাৎ র্পাথবি জ্ঞানে জ্ঞানী, ধনী ও প্রভাবশালী মানুষরে মনরে মধ্যে যখন সইে অবুঝ ছলেে ছাত্রটরি মত বভিন্নি প্রশ্নরে উদয় হয় তখন উহার যর্থাথ উত্তররে জন্য কোন র্ধমজ্ঞানীর কাছে না যাইয়া নজিদেরে সসীম জ্ঞানরে মীমাংসাই চূড়ান্ত বলয়িা মনে করে এবং নজিদেরে জীবন বধিান নজিরোই রচনা করয়িা থাক,ে তখনই অধঃপতনরে সূচনা হয়। এমনভিাবে যখন মূল মালকিকইে ভুলয়িা গয়িা মানুষকে র্সাবভৌম মালকি হসিাবে স্বীকার কর,ে তখনই সৃষ্টর্কিতা সইে যুগরে কোন এক জীবতি মানুষরে মাধ্যমে ঐ কথাই পুনরায় বুঝাইয়া দনে যাহা মানবজাতরি প্রথম মানুষকে বুঝাইয়া ছলিনে। তনিি প্রথমতঃ সইে বজ্ঞি পতিা যনিি স্বয়ং ছলেরে শক্ষিা দতিছেলিনে তাহারই মত স্নহের্পূণভাবে বুঝাইতে থাকনে, কন্তিু তবু যদি নজিদেরে ছলেমেপর্িূণ সসীম জ্ঞানরে বাড়াবাড়ি হইতে তাহারা বরিত না হয় এবং উক্ত প্ররেতি শক্ষিকরে যুক্তি অবজ্ঞা করতিে থাকে তাহা হইলে অবশ্যই গজবরে পটিুনী খাইতে হয়। যাহাহোক, আদকিাল হইতে এই পৃথবিীতে যত প্ররেতি পুরুষ আসয়িাছনে তাহাদরে সকলরেই এক শক্ষিা এক নীতি এবং একই কাজ ছলি। র্অথাৎ তাঁহারা বুঝাইতনে, মানুষ মূল মালকি হইতে পারে না, মূল মালকি কবেল একজনই- তনিি সৃষ্টর্কিতা। এই স্রষ্টা সম্বন্ধে বুঝাইবার জন্য যে দশেে যে প্ররেতি পুরুষ আসয়িাছনে সইে দশেরে দশেীয় ভাষায়ই তাঁহার গুণাবলী ও নাম প্রচারতি হইয়াছ।ে কন্তিু সকল প্ররেতি পুরুষরেই একই বাণী, “হে জগদ্বাসী! তোমরা অন্যায় ত্যাগ কর, ন্যায় পথ অবলম্বন কর। বইেনসাফী র্বজন কর, ইনসাফ কায়মে কর। সবচয়েে বড় বইেনসাফী হইল অক্ষম হইয়া সক্ষমরে অবাধ্যতাচরণ করা। আর হে মানুষ, তোমরা কি বুঝতিে পার না যে সৃষ্টর্কিতা কমেন সক্ষম, আর মানুষ কত অক্ষম, মানুষ এত অক্ষম যে সে তাহার নজিরে শরীররে উপরও কোন ক্ষমতা রাখনো, চাই সে রাজা হউক বা মহাধনী বা মহা বজ্ঞিানীই হউক। আর আল্লাহ্ কমেন সক্ষম যে তনিি বনিা স্তম্ভে এতবড় আসমানকে স্থরি রাখয়িাছনে, চন্দ্র-র্সূযকে উদয়-অস্ত করাইতছেনে ইত্যাদ।ি” সুতরাং সকল মানুষরে জন্য একই র্ধম-দ্বতিীয় কোন র্ধম নাই। এবং ইহাই হইতছেে একত্ববাদ র্অথাৎ ইহা শুধুমাত্র কোন একটা বশিষে দশেরে মতবাদ নয়, বরং উপরে আসমান, নচিে জমনি এবং আসমান ও জমনিে যাহা কছিু আছে দৃশ্য বা অদৃশ্য, সমস্ত জীব ও বস্তুসহ আসমান ও জমনিরে র্সাবভৌমত্বরে মূল মালকি সইে একই প্রভূ, তনিি একক ও অতুলনীয়। তনিি অনাদকিাল হইতে আছনে, অনন্তকাল থাকবিনে। তাঁহার সকল গুণ নজিস্ব এবং অপরর্বিতনীয়। তনিি স্বয়ং সক্ষম। তাঁহার কোন কাজে কাহারও সাহায্য ও সহযোগতিার প্রয়োজন পড়ে না। তনিি সৃষ্টি দ্বারা কখনও ক্ষতগ্রিস্থ হন না। কোন অমঙ্গল তাঁহাকে র্স্পশ করতিে পারে না। সুতরাং তাঁহার বশ্যতা স্বীকার করয়িা তাঁহার আদশে নষিধে মানয়িা চলারই নাম পবত্রি ইসলাম। ইহা র্সাবজনীন র্ধম। পবত্রি ইসলামরে মূল বষিয় বস্তু হইতছেে ঈমান বা বশ্বিাস। প্রত্যকে প্ররেতি পুরুষই এই কথা বলয়িা গয়িাছনে, “হে মানুষ! তোমরা বশ্বিাস কর সৃষ্টর্কিতাকে ও তাঁহার প্ররেতি মাধ্যমক।ে” কোরআনরে ভাষায় ইহাকে বলা হইয়াছ,ে “কুল আতউিল্লাহা অ আতউির রাছুল” এখানে ঈমান না বলয়িা “এতায়াত” বলা হইয়াছ।ে যহেতেু আনুগত্য স্বীকার করা ব্যতীত শুধু বশ্বিাস, মৌখকি বশ্বিাস মাত্র, উহাতে মুক্তি হয় না। যমেন রোগী শুধু ডাক্তারী শাস্ত্র ও ডাক্তাররে প্রতি মৌখকি বশ্বিাস দ্বারা আরোগ্য লাভ করতিে পারে না, বরং তাহাকে ডাক্তাররে আনুগত্য স্বীকার করত তাহার দওেয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতিে হয়। এই কথায় কোন ভাই যনে সন্দহে না করে যে প্ররেতি পুরুষগণ উন্নত যুগরে ব্যবস্থাদরি প্রতবিন্ধক হইয়া আসনে। তাহা কখনও নয়। বরং আধুনকি যুগরে মানুষদগিকে তাহাদরে সীমতি জ্ঞানরে গ-রি বাহরিে আনয়িা অসীম জগতে পৗেঁছাইয়া মূল মালকিরে সঙ্গে যোগাযোগ করাইয়া দওেয়ার জন্য তাঁহাদরে আগমন হইয়া থাক।ে আধুনকি যুগরে বজ্ঞৈানকি ও আবষ্কিারকগণও সৃষ্টর্কিতা আল্লার পক্ষ হইতইে জ্ঞানপ্রাপ্ত হইয়া থাকনে। তাই যখন বলা হয়, “বান্দায়ে খাস কুনাদ লুৎফে আমরা” র্অথাৎ এক বান্দাকে খাস করা হয় তামাম জাহানরে মঙ্গলরে জন্য; আরও যখন রলেগাড়,ি উড়োজাহাজ ও অন্যান্য বজ্ঞৈানকি যন্ত্রপাত,ি সাজ-সরঞ্জাম দ্বারা তামাম জাহানরে মানুষরে উপকারই হইতছে,ে তখন মানুষরে এই উপকারী পথরে প্রতবিন্ধকরূপে কোন খাস বান্দাকে আল্লাহ প্ররেণ করনে না। র্বতমান যুগরে বজ্ঞৈানকি ভাইদরে সকলইে জাননে য,ে কোন র্কমই র্কতা ছাড়া হইতে পারে না এবং প্রত্যকে র্কমরেই কোন না কোন কারণ অবশ্যই থাক।ে আর র্কমরে কারণ বা উদ্দশ্যে উহার র্কতাই ব্যক্ত করতিে পারনে, র্কম তাহা পারে না। কহে গাছ চরিয়িা তক্তা করলি। উক্ত তক্তা দ্বারা র্কতা কি চৌকি গড়বিনে না নৌকা গড়বিনে তাহা তক্তা জানওে না এবং ব্যক্তও করতিে পারে না। কহে যদি অনুমান করয়িা কছিু বল,ে অনুমানকারীদরে মধ্যে মতানক্যৈ ঘটবিইে। র্অথাৎ কহে বলবিে চৌকি গড়বি,ে কহে বলবিে নৌকা গড়বিে ইত্যাদ।ি সইে জন্যই পরষ্কিারভাবে জানতিে হইলে তার দুইটি উপায় আছ।ে প্রথমতঃ উহার র্কতা হইতে জানা; দ্বতিীয়তঃ র্কতা যাহার কাছে তাহার উদ্দশ্যে জানায় তাহার কাছ হইতে জানা। এখানে সন্দহে বা মতানক্যৈরে কোনই অবকাশ নাই। এখন আমি জজ্ঞিাসা কর,ি আপনি একজন মানুষ। আচছা, বলুনত আপনি কি আপনার নজিরে অস্তত্বিরে মালকি, না আপনার অস্তত্বিরে অপর কহে মালকি আছনে? আপনি যে একটি র্কম ইহা স্বীকার করতিইে হইব।ে এখন জজ্ঞিাসা কর,ি কি উদ্দশ্যেে আপনাকে সৃষ্টি করা হইয়াছ,ে তাহা কি আপনি জাননে? উহা সৃষ্টর্কিতাই ভাল জাননে, আর যে বান্দাকে তনিি আপন উদ্দশ্যে জানান তনিওি জাননে। আর সইে জ্ঞানবান-জানতা মানুষটকিইে জগদ্বাসাীর মঙ্গলরে জন্য পাঠান হয়, তাঁহাকইে বলা হয় প্ররেতি পুরুষ। হে মানবজাতি ভাইগণ! আপনার আমার সারা জাহানরে মালকি স্পষ্ট ভাষায় বলতিছেনে, “আফাহাছবিতুম আন্নামা খালাকনাকুম আবাছাওঁঅ আন্নাকুম ইলাইনা লাতুরজাউন।” (কোরআন) র্অথাৎ তোমরা কি ভাবতিছে যে বনিা কারণইে তোমাদগিকে সৃষ্টি করা হইয়াছ?ে আর তোমরা কি মনে কর যে আমার নকিট তোমরা ফরিয়িা আসবিে না?” এখন চন্তিা করয়িা দখেুন কনে আমাকে মানুষরূপে বানাইয়াছনে, কনে আমি শশিুকালে দাঁত ছাড়া, জ্ঞান ছাড়া, চলৎশক্তি ও বাকশক্তি ছাড়া ছলিাম, কনে বাল্যকালে দাঁড়-িগোফ ছলি না, এখন কনে গজায়? কনে যৌবনকালে চুল দাঁড়ি কাল ছলি, এখন কনে সাদা হয়? কনে আমার মনে বহু বাসনা জাগ,ে কোন কোন বাসনা পূরণ হয়, আবার কনে কোনটা হয় না? কনে আমি রোগে ও স্বাস্থ্যে কাল কাটাই, কনে আমার মনে আনন্দ ও নরিানন্দ ভাবরে উদয় হয়? কনে আমার প্রয়ি জীবন ও সাধরে সংসার ত্যাগ করয়িা চলয়িা যাইতে হয়? এই সমস্ত প্রশ্নরে উত্তর কোন মানুষই তাহার বজ্ঞৈানকি বা র্দাশনকি জ্ঞান দ্বারা দতিে পারবিে না। যদি কহে দয়েও তাহা হইবে আনুমানকি উত্তর, আর এই বষিয়ে জ্ঞানবানদরে মধ্যে মতানক্যৈ ঘটবিইে। কাজইে জগদ্বাসী বভ্রিাটে পড়।ে তাই দয়া করয়িা সৃষ্টর্কিতা মানবজাতরি মঙ্গলরে জন্য দয়াপরবশ হইয়া একজন বান্দাকে খাস করয়িা লইয়া থাকনে এবং ঐ সকল প্রশ্নরে উত্তর দয়িা থাকনে। এমনকি মৃত্যুর পর তাহার কি হইবে না হইবে তাহাও তাহাকে অবগত করাইয়া দনে। আর কোন্ নীতি অবলম্বন করয়িা চললিে মানুষ স্রষ্টার প্রয়িপাত্র হইতে পারবিে তাহাও জানাইয়া দনে এবং এই নীতি অবলম্বীদগিকে তাহাদরে র্কমরে ফলস্বরূপ পৃথবিীতে র্মযাদাশীল করয়িা থাকনে ও মৃত্যুর পর তাহাদগিকে মুক্তদিান করত চরিস্থায়ী এক সুখরে ঘরে বসবাস করতিে দবিনে। এইবার চন্তিা করয়িা দখেুন, বজ্ঞৈানকি যুগওে প্ররেতি পুরুষরে কত আবশ্যকতা! আরও একটি বষিয় এই য,ে র্বতমান বজ্ঞৈানকি উপায়ে চকিৎিসা চলতিছে।ে যমেন যক্ষ্মা, কলরো, বসন্ত, টাইফয়ডে প্রভৃতি রোগরে প্রতষিধেক গ্রহণ করবিার দরুন আগরে দনিরে চাইতে মানুষ অনকে নরিাপদে বাঁচতিছে।ে ইহা বজ্ঞৈানকিদরে দান। র্সবসাধারণকে এই জন্য তাহাদরে কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচতি। কন্তিু মানুষরে মূল রোগ মৃত্যু হইতে রক্ষার কি কোন উপায় আছ?ে দখেুন মানবজাতরি সবোর জন্যই মানুষরে সৃষ্টি এবং মানব সবোই মহৎ ও পরম র্ধম। আধুনকি যুগরে বজ্ঞি সমাজ মানবহতিষৈী যে সমস্ত উপায় উদ্ভাবন করতিছেনে তাহার মধ্যওে যে ভুল ত্রুটি রহয়িাছে সইে ভুলরে জন্য র্সবসাধারণ এমনকি স্বয়ং বজ্ঞি সমাজও যে ক্ষতগ্রিস্ত হইতছেে তাহা সংশোধনরে জন্যও স্রষ্টার পক্ষ হইতে প্ররেতি পুরুষরে একাšত আবশ্যক। দখেুন যদওি আজকাল প্রতষিধেক ব্যবহার করবিার ফলে যক্ষ্মা, কলরো প্রভৃতি রোগরে প্রকোপ অনকে কময়িা গয়িাছে এবং এই সমস্ত রোগে র্পূবরে চাইতে র্বতমানে লোক অনকে কম মৃত্যু বরণ কর,ে কন্তিু যানবাহনরে সংর্ঘষে বা আকস্মকি র্দুঘটনা, লঞ্চ বা নৌকা ডুবতিে অনকে সুস্থ লোক মৃত্যুবরণ করতিছে।ে ভাল মানুষ সুস্থ দহেে ঘরে শুইয়া ছলি, ঘরে হঠাৎ ডাকাত ঢুকয়িা প্রাণনাশ করলি। কহে বা সুস্থ দহেে মুক্ত মাঠে বাহরি হইয়াছ,ে হঠাৎ শত্রুর হাতে সখোনইে তাহার মৃত্যু ঘটলি। এখন প্রশ্ন হইল কোন্ পথে মানুষরে প্রকৃত খদেমত হইতে পার?ে কহে বলবিে রোগরে হাত হইতে মুক্ত করাই মানব সবো, কহে বলবিে ডাকাতি বন্ধ করাটাই মানব সবো। কন্তিু ইহার কোনটাই প্রকৃত সবো নয়। তাহা হইলে প্রকৃত সবো কসি?ে পবত্রি ইসলামই উহার পথ দখোইতছে।ে তাই প্ররেতি পুরুষ ডাকয়িা বলনে, হে জ্ঞানবান মানুষ! তুমি চন্তিা করয়িা দখে, তোমার অস্তত্বি তোমার নজিস্ব নয়। তোমার অস্তত্বি নর্ভির করে সৃষ্টর্কিতার অস্তত্বিরে উপর। সুতরাং তোমার রক্ষার্কতা তনিইি যনিি তোমার সৃষ্টর্কিতা। অতএব, তুমি তাঁহার নকিট আত্মসর্মপণ কর এবং এইভাবে অঙ্গীকার কর, যথা- “লাইলাহা ইল্লাল্লাহু” র্অথাৎ একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আমার আর কোন ইলাহ্ নাই। এইখানে “ইলাহ” র্সাবভৌমত্বরে মূল মালকিকে বুঝায়, যনিি আমার জানরে মালকি, মালরে মালকি ও সম্মানরে মালকি। কোরআনে ইহাই বলা হইয়াছে যমেন, “আল্লাহুম্মা মালকিাল মূলক,ে তুতলে মুলকা মান তাশাও অতানজউেল মূলকা মম্মিান তাশাও অতুইজ্জুমান তাশাও অতুজল্লিু মানতাশাও বয়োদকিাল খায়রে ইন্নাকা আলা কুল্লে শাইয়ইন কাদরি” র্অথাৎ আল্লাহ্ তনিি যনিি সৃষ্টি জগতরে মালকি, তনিি যাহাকে ইচ্ছা করনে পৃথবিীর কোন দশেরে মালকি বা জনগণরে পরচিালক বানাইয়া দনে এবং তাঁহার এই ক্ষমতাও আছে যদি সে ক্ষমতাবান হইয়া সইে আল্লাহ্র অবাধ্যতাচারণ করে তাহা হইলে তাহাকে ক্ষমতা হইতে বরখাস্ত করয়িা দনে, (মৃত্যু দ্বারা অথবা জীবতি রাখয়িা) তনিইি ইজ্জতরে অধকিারী। যাহাকে ইচ্ছা করনে পৃথবিীতে ইজ্জত দান করনে। আবার তাঁহার অবাধ্য হইলে সম্মানরে বদলে বইেজ্জতি করনে। তনিি সকল জনিসিরে উপর র্সবশক্তমিান। সুতরাং সইে মালকিরে নটিক আত্মসর্মপণ করলিে তনিি আত্মসর্মপণকারীকে নজিরে আশ্রতিজন হসিাবে গ্রহণ করয়িা লইয়া থাকনে। কন্তিু সাধারণ মানুষ পরচিালক ব্যতীত পরচিালতি হইতে পারে না। আর সৃষ্টর্কিতাও পৃথবিীতে সকাশে আসয়িা মানবজাতকিে পরচিালতি করনে না। এই কারণইে উক্ত প্ররেতি পুরুষকে স্রষ্টার “নায়বে” বা নবী র্অথাৎ প্রতনিধিরিূপে গ্রহণ করতিে হয়। তাই সইে ব্যক্তরি নাম উল্লখে করয়িা কলমোকে র্পূণ করতিে হয়, যথা মোহাম্দুর রাছুলুল্লাহ (দঃ) র্অথাৎ আমি স্বীকার করতিছেি যে এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মালকি নাই এবং তাঁহার পক্ষ হইতে আপনাকে (হযরত মোহাম্মদ (দঃ) ক)ে আমার পরচিালক মানয়িা লইলাম। এখন হইতে আপনার আদশে পালন করতিে আমি বাধ্য থাকবি। তাই কোরআনে বলা হইয়াছে “কুল আতউিল্লাহা অ আতউির রাছুল”। আর নবীর বাধ্যগত ব্যক্তরি উপর তনিি রাজী থাকবিনেই এবং নবী যাহার উপর রাজী স্বয়ং আল্লাহও তাহার উপর রাজী থাকবিনে। শুধু তাহাই নহ,ে বরং উক্ত অঙ্গীকারকারীর সব অপরাধও ক্ষমা করয়িা দনে। যথা, “কুল ইন কুনতুম তুহব্বিুনাল্লাহা ফাত্তাবউিনি ইউহ্ববিকুমুল্লাহ অ এগফরিলাকুম জুনুবাকুম ওয়াল্লাহু গাফুরুর রহমি।” (কোরআন) যাহা হোক ইসলামরে নবী মোহাম্মদ (দঃ)-র আনুগত্য ও অনুসরণই পৃথবিীর শান্তি ও পরজগতরে মুক্তরি একমাত্র উপায়। আশা করি মুসলমি সম্প্রদায় বনিা দ্বধিায় ইহা মানয়িা লইবনে। কন্তিু প্রশ্ন জাগ,ে র্বতমান পৃথবিীতে অগণতি মুসলমান নবীর অনুসারী বদ্যিমান থাকা সত্বওে দনি বা দনি পৃথবিীবাসী অধঃপতনরে দকিে চলয়িাছে কনিা? এবং ইহার কারণই বা কি ? এর উত্তরে আমি বলতিে চাই, সত্য নবী হযরত মোহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অছাল্লাম কি এই সংবাদও দয়িা যান নাই, আমার পরে এমন একদনি আসবিে যদেনি ইসলামরে শুধু নাম ও কছিু রুছুম ছাড়া ইহার রুহ্ বলতিে কছিুই থাকবিে না ? ইহাইত প্রত্যকে নবীর পরর্বতীকালরে অনুসারীদরে ধ্বংসরে কারণ ছলি এবং পরর্বতী সময়ে আর একজন প্ররেতি পুরুষ পাঠাইবার দরকার হইত। যহেতেু অধঃপততিজন ত নজিদেরে অধঃপতনরে কারণ বা নজিদেরে ভুল ধরতিে পারে না। যমেন যাহাকে কানাওলা ধরে সে যে পথ হারাইয়া অন্য দকিে চলয়িাছে তাহা যদি সে নজিইে বুঝতিে পারতি তাহা হইলে সে কি আর পথ ছাড়য়িা অন্য পথে চলতি? অতএব তাহার ভুল বুঝাইবার জন্য অপর এক ব্যক্তরি প্রয়োজন হয়। যাহা হোক, আল্লাহ নজি কালামে বলয়িাছনে, “ইহা আমি অবর্তীণ করয়িাছি এবং ইহার হফোজত আমি নজিইে করবি।” তবে তনিি ইহা কভিাবে করবিনে তাহা আল্লাপাকরেই ভাল জানা আছ।ে কন্তিু যখনই করনে, বা যভোবইে করনে, মানুষ ছাড়া করনে না। তাই বলা হয়, “যা করবিার বশ্বি প্রভু আপনি সে কর,ে আপনি করয়িা কাম পরনাম ধর।ে” এক কথায় কোন কোন ভাই হয়ত চমকয়িা উঠবিনে এই ভাবয়িা যে তবে কি আবার কোন নবী আসবিনে ? ভাইদরে জানা দরকার যে নবী যমেন আল্লাহ নন বরং আল্লাহরই র্কায-নর্বিাহক প্রতনিধি,ি এরূপ হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-র পর আর কোন নবী আসতিে পারবিনে না, কন্তিু তাহার র্কায নর্বিাহক প্রতনিধিি অবশ্যই আসবিনে এবং সইে বান্দার মাধ্যমইে আল্লাহ আপন ওয়াদা পূরণ করবিনে। যাহা হোক কে আসবিনে, কখন আসবিনে, কোথা হইতে আসবিনে সইে সব লইয়া মাথা না ঘামাইয়া এখন শুধু এতটুকু দখো দরকার যে পবত্রি ইসলামরে যে সরল পথ ‘সরিাতুল মুস্তাকমি’ মুসলমানগণ কি সইে পথে ঠকি আছ,ে না অন্য পথে চলয়িাছে ? যদি রাহে মুস্তাকমি হইতে দূরে সরয়িা গয়িা থাক,ে তাহা হইলে পুনরায় সইে পথ দখোনোর জন্য অবশ্যই কোন বান্দারও প্রয়োজন আছ-ে ইহা ন্যায় সঙ্গতভাবইে মানতিে হইব।ে ইসলামরে নতেৃস্থানীয় ব্যক্তগিণ হইতছেনে আলমে সমাজ। জাহলেদরে ভুল ধরা ও তাহাদগিকে সংশোধন করবিার জন্য আলমেগণই যথষ্টে, কন্তিু আলমে সমাজরে ভুল ধরবে ও তাহাদগিকে সংশোধন করবিে কাহারা ? এখন জানা দরকার যে বশ্বিরে আলমে সমাজ কি ভুল করয়িাছনে বা করতিছেনে। সত্য কতিাবে আল্লাহ বলয়িাছনে, “অলা তাহনিু অলা তাহজানু অ আনতুমুল আলাওনা ইনকুনতুম মুমনেনি”- র্অথাৎ কোরআন অবলম্বীগণ কখনও লাঞ্ছতি ও দুঃখতি হইবনে না যতদনি তাহারা বশ্বিাসরে উপর দৃঢ়পদে থাকবি।ে কন্তিু যাহা কোরআন হইতে বশ্বিাস করা দরকার উহার প্রতি যত দনি তোমরা ঐকমত্যে থাকবিে তত দনিই উহার ফলও ঠকি থাকবি।ে তাই তাগদি করয়িা বলয়িাছনে, “অতাছমিু বহোবল্লল্লিাহে জাময়িা অলা তাফাররাকু” র্অথাৎ তোমাদরে প্রতি যাহা দান করা হইল উহাতে তোমরা একমত হইয়া পরস্পর মলিয়িা মশিয়িা থাকওি, গড়মলি হইয়া যাইও না। উক্ত দুইটি আয়াত একত্র করলিে তাহার সরল র্অথ দাঁড়ায় এইরূপ, যথা, তোমরা যাহারা আল্লাহ ও তাঁহার রছুলরে প্রতি বশ্বিাস রাখ, তোমরা যে কোন যুগইে বা যে কোন স্থানইে থাকনা কনে, যখন তোমাদরে সম্মুখে কোন সমস্যা দখো দয়ে, তখন আল্লাহ ও তাঁহার রছুলরে কালামরে প্রতি উহার সমাধানরে খােঁজ লও। যখন তোমাদরে দৃঢ়ভাবে বশ্বিাস হয় যে ইহাই সঠকি সমাধান, তখন উক্ত বষিয়ে সকলইে একমত হইয়া এই বশ্বিাসরে উপর স্থরি থাকওি। এই ব্যাপারে কখনও মতানক্যৈ হইওনা। যদি তোমরা পরস্পর মতানক্যৈ হইয়া পড়, তাহা হইলে সইে বশ্বিাসরে ফল আর থাকবিে না। র্অথাৎ তখন কোরআন অবলম্বী থাকা সত্ত্বওে তোমাদরে লাঞ্ছতি ও দুঃখতি হওয়ার সম্ভাবনা বদ্যিমান থাকবি।ে কহে সন্দহে করতিে পারে যে উহা নবীর র্বতমান যুগরে কথা। এই সন্দহে ভুল। কারণ নবী বদ্যিমান থাকাকালে স্বয়ং নবীই সমস্যার সমাধানকারী ছলিনে। তখন র্বতমান কালরে ন্যায় লখিতি কোরআন হাদসি ছলি না। আর সইে কতিাবরে প্রতি কাহারও খােঁজ লওয়া দরকার ছলি না। যাহা হোক র্বতমান যুগরে আলমেদরে সম্মুখে রাজনীতি একটি বড় সমস্যারূপে দখো দয়িছে।ে উহাতে আলমেদরে ঐকমত্য নাই। এক শ্রণেীর বশ্বিাস যে রাজনীতি করা ইসলামরে খলোফ। তাই তাহারা রাজনীতকিে দুনয়িাদারী মনে করনে এবং উহা হইতে দূরে থাকনে। অপর শ্রণেী রাজনীততিে ঝাঁপাইয়া পড়নে। ইহা একটা বড় সমস্যা বট।ে জনগণ কোন্ আলমেদরে অনুসরণ করবি?ে কোরআন হাদসি মোতাবকে কোন্ শ্রণেী আছনে ইহার বচিার কি জনগণ করবি?ে যদি কহে বলে যে উভয় দকিই ঠকি যাহার মন যে দকি ঝােঁকে সদেকিে যাউক। এইরূপ বশ্বিাস প্রকাশ্য কোরআন বরিোধী হইব।ে কারণ, আল্লাহপাক বলতিছেনে, তোমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাক। আর তোমরা সঠকি একটা বষিয় লাইয়া ঐক্য ভাঙ্গতিছে! যদি বলা হয় যে একটা দকি সঠকি, অন্যটা ভুল। তবে আমি জজ্ঞিাসা করবি, কোন দকিটা ভুল তাহা কসিরে বলে প্রমাণ করবি?ে কোন দকিরে আলমেরে কাছে কি আল্লাহর বাণী বা অহি আসে যে সইে অহি দ্বারা বপিক্ষকে ভুল সাব্যস্ত করতিছে?ে যদি বলা হয় যে কোরআন হাদসি দ্বারা ভুল প্রমাণ হয়। তাহা হইলে আমি বলবি যে ইহা নছিক অযুক্তকির উত্তর। কারণ, তুমি যাহাকে কোরআন দ্বারা ভুল প্রমাণ কর, সওে তোমাকে ঐ কোরআন দ্বারাই ভুল প্রমাণ করতিছে।ে সুতরাং ইহা মীমাংসা নয়, বরং ইহা কোরআন লাইয়া ঝগড়া মাত্র।
যাহা হোক এই ব্যাপারে দুই দকিরে আলমেই যে ইসলামরে বাতান পথ হইতে দূরে সরয়িা গয়িাছে তাই দখো যাইতছে।ে র্বতমান পৃথবিীর সমস্ত মুসলমান এক বাক্যে স্বীকার করনে য,ে আমাদরে নবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) মদনিায় সংিহাসনে বসয়িা রাজ্য পরচিালনা করতিনে। কহে কি অস্বীকার করতিে পারনে যে নবী (দঃ) রাজ্য পরচিালনা করাকালীন সময়ে র্ধমগুরু বা নবুওতী কাজও চালাইয়া যান নাই ? তাহা হইলে ইসলামরে নবী (দঃ)-ই যখন নজিইে রাজনীতি করতিনে সইে রাজনীতি এখন ইসলামরে খলোফ হইল কোন যুক্ততিে ? সুতরাং যাহারা রাজনীতকিে ইসলামরে খলোফ মনে করে তাহারা ভুলে পড়য়িাছ।ে এখন যাহারা রাজনীততিে ঝাঁপাইয়া পড়য়িাছে তাহারা কি ভুল করলি- এখানে তাহাই দখোন হইতছে।ে
র্বতমান পৃথবিীতে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র মতে যে রাজনীতি প্রচলতি ইসলামরে সঙ্গে ইহার কোন মলি আছে কি ? র্বতমান যুগরে রাজনীতি অনুযায়ী প্রথমতঃ দশেরে জনগণকে দুইটি শ্রণেীতে বভিক্ত করা হয়। প্রথম- দশেীয় নাগরকি, দ্বতিীয়- বদিশেী নাগরকি বা পরদশেী। ইসলামরে সঙ্গে ইহার মলি নাই। যমেন মদনিার ভৌগোলকি সীমার মধ্যে হযরত মোহাম্মদ (দঃ) ও মোহাজরেীন সবাই ছলিনে পরদশেী। দ্বতিীয়তঃ র্বতমান গণতান্ত্রকি দশেরে জনগণকে দশেরে র্সাবভৌমত্বরে মালকি হসিাবে স্বীকার করা হয়। ইহাইত মূল শরেকে- যাহা সম্বন্ধে কোরআনে বলা হইয়াছ,ে “ইন্নাশ শরেকা লা জুলমুন আঁজমি।” এই শরেক মটিাইবার জন্যইত নবীর আবর্ভিাব। তারপর জনগণরে নর্বিাচতি নতোর দ্বারা দশে পরচিালতি হয়। কন্তিু নবী (দঃ) জনগণ দ্বারা নর্বিাচতি নতো ছলিনে না। সুতরাং এই নর্বিাচন প্রথাও ইসলামরে সঙ্গে অসঙ্গতপর্িূণ। যখোনে প্রায় সব দকি দয়িাই আধুনকি রাজনীতি ও ইসলামরে মধ্যে গড়মলি, সখোনে আলমেদরে রাজনীততিে যোগদান করা ও বআেলমেদরে সঙ্গে প্রতযিোগতিা করা মস্ত ভুল। তাই যাহারা ইসলাম রক্ষার জন্য রাজনীতি করনে বলয়িা গলাবাজী করয়িাছলিনে আল্লাপাকরে সাহায্য না থাকাতে তাহারা র্ব্যথ হইলনে এবং জনগণরে ইসলামী মনোবল ভাঙ্গয়িা গলে।
কোন ভাই হয়ত প্রশ্ন করতিে পারনে যে ইসলামইে ত গণতন্ত্র। যহেতেু ভোটরে মাধ্যমইে খলফিা নর্বিাচতি হইতনে! এই প্রশ্নও ভুল। কনেনা “খলোফত” ও “নবুওত” এক জনিসি নয়। যহেতেু নবী ইসলামরে জন্মদাতা আর ইসলাম খলোফত বা গণতন্ত্ররে জন্মদাতা। অতএব র্বতমান যুগরে গণতন্ত্ররে সঙ্গে ইসলামী গণতন্ত্ররে কোন দকি দয়িাই তুলনা হইতে পারে না। এখানে পরষ্কিারভাবে দখোন হইতছেে যে ইসলামী গণতন্ত্র ও র্বতমান গণতন্ত্ররে মধ্যে কি র্পাথক্য।
র্বতমান গণতন্ত্ররে উৎপত্তি হয় রাষ্ট্রবজ্ঞিান হইতে এবং রাষ্ট্রবজ্ঞিান রচতি হইয়াছে সসীম মানুষরে চন্তিাভাবনা হইত।ে আর গণতন্ত্র বাস্তবায়তি হয় এইভাব,ে যমেন কোন দশেরে বশিষ্টি উদ্যোগী কোন মানুষ দশেরে মানুষদগিকে বুঝায়, “আমরা এই দশেরে বাসন্দিা। এই দশে আমাদরে জন্মভূম।ি জন্মভূমি মা স্বরূপ। এই মা আমাদগিকে প্রসব করয়িাছ।ে আমরা তাহার কোলে লালতি পালতি হইয়াছ।ি আমরা সবাই এই দশেরে সমান অধকিারী। কহে কাহারও চাইতে ছোট বা বড় নয়, যমেন মায়রে কাছে কোন ছলেে কম বা বশেী প্রয়ি থাকে না। ঔপনবিশেকিগণ আমাদরে হক নষ্ট করয়িা খাইতছে।ে তাহাদগিকে তাড়াইতে হইব।ে আমাদরে হক হস্তগত করতিে হইব।ে তাহা হইলে আমাদরে মাতৃভূমি আমাদগিকে সুখ শান্ততিে খাইতে পরতিে দবি।ে” এই সব কথায় কছিু দশেপ্রমেকি উদ্যোগী মানুষ মাতয়িা উঠে এবং দশেে আজাদী আন্দোলন শুরু কর।ে অবশষেে দশে যদি আজাদ হয়, তখন আন্দোলনরে মোড় ঘুরাইয়া দওেয়া হয়। তখন বলা হয়, ‘দশেকে সুষ্ঠুভাবে পরচিালনা করবিার জন্য একটি শাসনতন্ত্ররে দরকার। সইে জন্য আমাদরে মধ্যে হইতে নতো বা প্রতনিধিরি প্রয়োজন।’ কাজইে তখন নতো বাছাইয়রে জন্য নর্বিাচন দওেয়া হয়। এই নর্বিাচনে একটি নর্দিষ্টি বয়স সীমার র্উধ্বে সকল নাগরকিদরেই সমান অধকিার- ছোট, বড়, জ্ঞানী, অজ্ঞ, শক্ষিতি, অশক্ষিতি, মাতৃভূমরি সকল সম্প্রদায়রে লোকরেই সমান অধকিার। ইহাতে জনগণরে মনে আনন্দ আস।ে যহেতেু তাহারা মনে কর,ে ইহাই ভ্রাতৃত্ব, ইহাই সাম্য এবং ইহাই শান্ত।ি যাহা হোক নর্বিাচনে ভোটাধকিার ভত্তিতিে বজিয়ী হইয়া যে ব্যক্তি নতোর স্থান অধকিার করনে, এই দশেরে র্সবাভৌম ক্ষমতা প্রয়োগরে অধকিারী তনিইি হন। এখন যে গণতান্ত্রকি সংবধিান রচতি হইবে তাহা প্রণয়নরে র্পূণ ক্ষমতা উক্ত নতোরই থাকবি।ে সংবধিানরে আদশে নষিধে লঙ্ঘনকারীকে নতোর নকিট জবাবদহিি বা কফৈয়িত দতিে হইব।ে কন্তিু উক্ত নতো জবাবদহিি বা কফৈয়িত দবিনে কাহার কাছে ? কাজইে সইে নতো যদি র্স্বাথপর হয় তাহা হইলে ক্ষমতাবলে সে আপন র্স্বাথ উদ্ধার করতিে পার।ে আর মানুষ স্বভাবত র্স্বাথপরই বশেী হইয়া থাক।ে নঃির্স্বাথ লোক খুবই কম। কাজইে এইরূপ র্স্বাথপর নতোর করতলে পড়য়িা দশেবাসী অশষে র্দুভােগে ভুগতিে থাক।ে আজ বশ্বিে যতগুলি দশে গণ-আন্দোলনরে মাধ্যমে আজাদ হইয়াছে তার প্রায় সবগুলি দশেইে ঐ একই অবস্থা। যদি কহে সত্যতা যাচাই করয়িা দখেতিে চাহনে তবে যে কোন দশেরে নম্নিশ্রণেীর সাধারণ নাগরকিদরে খােঁজ লইয়া দখেুন। শুধু র্পযটকদরে বা পত্র পত্রকিার উপর নর্ভির করবিনে না। তবে আল্লাহ পাক যাহাদরে জ্ঞান-চক্ষু খুলয়িা দয়িাছনে। তাঁহারা যখোনইে থাকুন না কনে সখোন হইতইে দখেতিে পারনে।
যাহা হোক, এখন জানা দরকার যে ইসলাম কি এবং উহার উৎপত্তি কোথা হইত।ে ইসলামরে উৎপত্তি নবী হইতে আর নবীর উৎপত্তি আল্লাহ হইত।ে যে সময় বশ্বিবাসী মানুষ আপন মালকিকে ভুলয়িা যায় বা অবজ্ঞা করয়িা তাঁহার দওেয়া জীবন বধিান পরত্যিাগ করত মানব রচতি জীবন বধিান ব্যবহার করতিে শুরু করে এবং উহার কুফল ভুগতিে থাকে তখন দয়াময় সৃষ্টর্কিতা আল্লাহ তায়ালা মানব জাতরি প্রতি দয়াপরবশ হইয়া তাহাদরে মধ্য হইতে একজন জীবতি মানুষকে মানব জাতরি উদ্ধার র্কতারূপে নযিুক্ত করনে। জানা দরকার যে কহে সাধনার বলে বা কোন যোগ্যতার বলে নবী হন না বরং সর্ম্পূণ অজ্ঞ বখেবর একজন মানুষকে তনিি তাহার কুদরতি বাক্য দ্বারা তাহার ইচ্ছা জ্ঞাত ও খবরদার করয়িা থাকনে এবং সইেমতে কাজ করয়িা যাওয়ার জন্য আদশে প্রদান করনে। যমেন, প্রথম বাক্য দ্বারা জানাইয়া দনে, বল, তুমি একজন মানুষ, তোমার অস্তত্বিরে কোন র্কতা আছনে কনিা ? প্রশ্নরে সঙ্গে সঙ্গইে নুররে আলো জ্ঞানরূপে তাঁহার অন্তরে প্রজ্জ্বলতি করা হয়। সইে জ্ঞানরে সাহায্যে নবী উত্তর দনে, “হাঁ আছনে।” তারপর প্রশ্ন করা হয় “কে সইে র্কতা?” তনিি উত্তর দনে “জানি না।” তখন তাহাকে বলা হয়, “তবে শোন, আমইি তোমার সৃষ্টর্কিতা। দখে, তোমার একটি মন গড়য়িাছ।ি তোমার মনরে জন্য এই বশ্বিে দুইটি জনিসি গড়য়িাছ-ি একটি মনরে পছন্দরে, অপরটি না- পছন্দরে। রোগ, স্বাস্থ্য প্রভৃতরি একটি তোমার জন্য মঙ্গলজনক, অপরটা অমঙ্গজনক। বল, কোন মঙ্গল কি তুমি নজি ক্ষমতায় র্অজন করতিে পার বা কোন অমঙ্গল হইতে কি বাঁচতিে পার?” তনিি উত্তর দনে, “না”, তখন বলা হয়, তাহা হইলে তোমার এমন এক ব্যক্তরি সাহায্য লওয়া দরকার যনিি তোমাকে মঙ্গল দতিে পারনে ও অমঙ্গল হইতে রক্ষা করতিে পারনে। হাঁ, তবে জ্ঞানরে সাহায্যে সমস্ত পৃথবিী ভ্রমণ কর, “কুলছরিু ফলি আরদ।ে” নবীর উত্তর, “করছে”ি। তাহাকে আবার প্রশ্ন করা হয়, “কোথাও আছে কি তমেন ব্যক্ত?ি” নবীর উত্তর “নাই।” তখন তাহাকে বলা হয়, “তবে শোন, আমইি সইে। আমা ব্যতীত দ্বতিীয় কহে নাই। এখন কি করা র্কতব্য? এই স্বয়ং সক্ষম ব্যক্তরি কাছে আত্মসর্মপণ করা। তাঁহার সাহায্য পাওয়ার জন্য তাঁহারই আশ্রয় গ্রহণ করা।” তাই উক্ত ব্যক্তি তখন রাজী খুশীতে স্বজ্ঞানে স্বচ্ছোয় নজিকেে সপয়িা দনে। আর বলনে, “লাইলাহাইল্লাল্লাহু”- “হে আল্লাহ। তুমি ছাড়া আমার আর কোন মালকি নাই। আমার সৃষ্টরি মালকি তুম,ি রক্ষার মালকি তুম,ি আমার দহেরে মালকি তুম,ি আমার মনরে মালকি তুম,ি আমার মঙ্গল ও অমঙ্গলরে মালকি তুম,ি তুমি ছাড়া আমার আর কহে নাই। তুমইি আমার আশ্রয় দাতা, আমি তোমার আশ্রতিজন।” এখান হইতইে ইসলামরে উৎপত্ত।ি ইসলাম ও মুসলমি কি ? উহা দুইটি সত্তার একত্র মলিনরে দুইটি নাম। যমেন একটি পুরুষ ও একটি ময়ে,ে এই দুইটি সত্তা। যখন ময়েটেি রাজী খুশীতে স্বজ্ঞানে পুরুষটরি কাছে আত্মসর্মপণ কর,ে আর পুরুষটওি যখন রাজী হইয়া উক্ত ময়েটেকিে আশ্রয় দয়ে বা গ্রহণ কর,ে তখন দুইটা নতুন নাম হইয়া যায়। যমেন, স্বামী ও স্ত্রী। ঠকি তদ্রƒপ কোন মানুষই বংশগত ভাবে বা দশোচার হসিাবে বদ্যিাবুদ্ধরি দ্বারা মুসলমান হইতে পারে না, যতক্ষণ র্পযন্ত না সে সৃষ্টি র্কতার নকিট নজিরে যথার্সবস্ব বকিাইয়া দয়িা একমাত্র তাঁহারই গোলামী বা দাসত্ব স্বীকার কর।ে তাই আল্লাহ বলয়িাছনে, “অ অজাদাকা দাল্লান ফাহাদা” র্অথাৎ তুমি অজ্ঞ ছলি,ে আমি তোমাকে বজ্ঞি করয়িাছ।ি অতঃপর উক্ত বান্দার আর কোন ভয় থাকে না। কনে ভয় করবি?ে মঙ্গল ও অমঙ্গলরে প্রভুই ত তাহাকে আশ্রয় দয়িাছনে। মৃত্যুর ভয়? তাহাও থাকতিে পারে না, কারণ আল্লাহই মৃত্যুর মালকি এবং মৃত্যুর পরে তাহারই নকিট যাইতে হইব।ে তাই এই প্রকার আত্মসর্মপণকারীই মুসলমি আর তাহার র্ধম হইল ইসলাম। সইে জন্য বলা হয়, ইসলাম শান্তরি র্ধম। অতঃপর উক্ত বান্দাকে আল্লাহ ডাকয়িা বলনে, “এখন হইতে তুমি আমার হইল,ে আর আমি তোমার হইলাম। সমস্ত বশ্বিবাসী যদি তোমার কোন অমঙ্গল করতিে চাহ,ে তবুও তোমার একটি পশম বরাবর ক্ষতি করতিে পারবিে না যতক্ষণ আমি তোমাকে রক্ষা করবি। আর সমস্ত বশ্বিবাসী মলিতিভাবওে যদি তোমার কোন মঙ্গল করতিে চাহ,ে তাহারা এক পশম বরাবর উপকার করতিে পারবিে না যতক্ষণ র্পযন্ত আমি কোন মঙ্গল না দবি।” সুতরাং এই যে কুদরতি ঘটনা ঘটলি, ইহাতে উক্ত বান্দার যে বশ্বিাস জন্মলি তারই নাম ‘হাক্কুল ইয়াকনি।” এক আল্লাহতে বশ্বিাসী এই যে এক বান্দা- সারা বশ্বিবাসী মানুষরে বশ্বিাস একত্রে করলিওে তাঁহার তুলনা হয় না। এমন কনে করনে? তার কারণ, এই বান্দাই হইবনে জগদ্বাসীর উদ্ধারর্কতা। আর জগতরে মানুষ যখন ইসলামরে রাহে মুস্তাকমি হইতে দূরে সরয়িা যায় সইে পথহারা মানুষ জাতকিে ডাকয়িা আনতিে হইবে ইসলাম তথা আল্লাহর পথ।ে এই মানুষটরি বপিক্ষে কত জনমত গজাইয়া উঠবি!ে তাঁহাকে পাগল বলবি,ে কাফরে বলবি,ে দুঃখ দবি।ে আর সে একা সকলরে মোকাবলিা করতিে থাকবি।ে ইহা শুধুমাত্র এক আল্লাহতে অটল বশ্বিাসরে দ্বারাই সম্ভব। আর সইে বশ্বিাস শুধুমাত্র পরমুখে শুনয়িা বশ্বিাস করলিইে চলবিে না। তাই আল্লাহ তাহার খাছ কছিু কুদরতি নশিানা দখোইয়া বশ্বিাসকে শক্তশিালী করয়িা দনে।
অতঃপর আল্লাহতায়ালা বলনে, “হে বান্দা। আমি তোমাকে যে জ্ঞান দান করলিাম- ইহা কি তুচ্ছ জনিসি যদ্বারা তুমি নজিরে মঙ্গল লাভ করলিে ? কখনও না। বরং সারা জাহানরে বাদশাহয়িাৎ হইতওে উত্তম। রাজসংিহাসন পারে না তার উপর আসীন কোন ব্যক্তকিে কোন মঙ্গল দতিে বা কোন অমঙ্গল হইতে রক্ষা করতি।ে তবে শোন, এই মহামূল্য নয়োমত যাহা তুমি ইসলাম গ্রহণ করয়িা বা আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করয়িা লাভ করলি,ে তাহা কি তুমি একা ভোগ করতিে চাও ? তোমার জাতীয় ভাইদরে জন্য কি তোমার কোন দরদ নাই? হে বান্দা। জানয়িা রাখওি, যে আমার সৃষ্টরি সরো মানবজাতকিে প্রমে করে না, তাহাকে ভালবাসনো, আমি তাহাকে ভালবাসনিা। আমার ইচ্ছা ক,ি কনে তোমাকে এইরূপ অঘটন ঘটাইয়া দখোইলাম তাহা এখন শোন। “ইহা আইয়্যুহ্যান্নাবয়িু ইন্না আরছালাকা —– (শষে র্পযন্ত) র্অথাৎ তোমাকে আমার র্কাযনর্বিাহক বা নবী বানাইলাম। কনে ? আমইি যে একমাত্র সৃষ্টরি র্সাবভৌমত্বরে মালকি এবং আমইি যে মৃত্যুর পর তাহাদগিকে আমার নকিট আনবি মানবজাতকিে ইহা বুঝাইবার জন্যই তোমাকে নবী বানাইলাম। তোমার কথা শোনার পর মানব জাতরি দুইটি দল হইব-ে কহে বশ্বিাস করবি,ে আর কহে করবিে না। তাই কয়িামতরে বচিাররে দনিে আমি তোমাকে উভয় পক্ষরে সাক্ষী নযিুক্ত করবি। আর তুমি বশ্বিাসীদগিকে সুসংবাদ জ্ঞাপন কর, আর অবশ্বিাসীদগিকে ভয় প্রর্দশন কর। আর আমি অনুমতি দলিাম, তুমি মানুষদগিকে আমার পথে ডাক। আর তুমি ভীত হইওনা যে তোমার কথা কে শুনবিে আর কে শুনবিে না। এই অন্ধকার যুগরে সসীম জ্ঞানরে বজ্ঞৈানকি ও র্অজতি বদ্যিার আলমেদরে উপর তোমার শ্রষ্ঠেত্ব অক্ষুন্ন রাখবিার জন্য আমার অসীম জ্ঞানভা-ার হইতে জ্ঞান দান করলিাম (যথা ছরিাজাম মুনরিা বা র্সূযরে আলো)। কনেনা অন্ধকার রাত্রইে মানুষকে কানাওলা ধরয়িা পথ ভুলাইয়া বপিথে লইয়া যায়, কন্তিু যখন ভোররে র্সূয উদতি হয়, তখন পথ হারা মানুষ পুনঃ পথ পায়। তাই শয়তানরে ফরেবেে পড়য়িা যে মানুষ ইসলামরে ছরিাতাল মুস্তাকমি হইতে সরয়িা পড়য়িাছ,ে তুমি আমার দওেয়া জ্ঞান হইতে অকাট্য যুক্তি দ্বারা তাহাদরে ভুল বুঝাইয়া দতিে থাক এবং ডাকতিে থাক। যে কহে তোমার ডাকে সাড়া দবিে আর তোমাকে বশ্বিাস করবি,ে আর তোমার মাধ্যমে আমার কাছে আত্মসর্মপণ করবিে আমি তাহাদগিকওে আশ্রয় দবি। যদি তাহারা আমার আশ্রয় পাইতে চায় তবে যনে তাহারা তোমার কাছে আত্মসর্মপণ কর।ে”
নবী ভাবনে, সমস্ত মানুষত আমার জাতীয় নয়, সকলরে নকিট আমি এক র্ধমরে কথা কি করয়িা বুঝাইব? তাই আল্লাহ বুঝাইয়া দনে, “দখে তোমার জন্ম, জীবন-যাপন ইত্যাদি যরেূপ, পৃথবিীর সমস্ত মানুষরে জন্যও ঐ একই নয়িম। যাহা হোক, যখন হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এই আদশে পাইয়া মানুষদগিকে ডাকতিে লাগলিনে, তখন তনিি একাই মুসলমি ছলিনে। অথচ তাঁহার র্পূবরে সকল নবীও মুসলমি ছলিনে, তাঁহাদরে কতোবও আল্লাহরই দওেয়া কতিাব ছলি। এতদসত্বওে আবার নূতন নবী আসার কি প্রয়োজন ছলি ? কন্তিু সত্য সত্যই যখন তনিি আসলিনে তখন মানুষ- সকল নবী করমি (দঃ)-র বরিুদ্ধে বরিোধতিা করলি, তাহাকে মথ্যিাবাদী, র্স্বাথপর, পাগল বললি, সমাজবন্ধ রাখলি, দশে হইতে তাড়াইয়া দলি, কন্তিু তবু তনিি দমলিনে না। যহেতেু তনিি সত্যই আল্লাহর আদশে পাইয়াছলিনে। তাই তাঁহার একার মতকে তনিি টকিাইয়া রাখতিে পারয়িাছলিনে। যাহা হোক আমি বলি না যে আল্লাহর পছন্দতি র্ধম ইসলাম ও আল্লাহ কতেব দুনয়িা হইতে উঠয়িা যায়। বরং মানুষই আল্লার ইসলাম ও কতোব হইতে দূরে সরয়িা যায়। তাই মানুষ অধঃপততি হয়। পুনরায় আল্লাপাকরে কুদরতি হাত প্রসার করতিে হয়, তাই র্বতমান সময়রে এই অধঃপতন হইতে মানুষকে বাঁচতিে হইলে এখনও আল্লাহ সাহায্য ছাড়া অন্য পথ নাই। এখানে একই কথা বশিষেভাবে স্মরণ রাখা দরকার যে ইসলামে টকিয়িা থাকার জন্য মুসলমি বা আত্মসর্মপণকারী হইতইে হইব।ে দ্বতিীয়তঃ একজন মানুষরে নকিটই আত্মসর্মপণ করতিে হইব।ে সইে জন্য হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-র কাছে আত্মসর্মপণ করয়িা “লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মদুর রাছুলুল্লাহ” কলমোকে র্পূণ করতিে হয়। যহেতেু এই কলমোর হাককিতই হইল এই যে যাহার কাছে কালমো পাঠ করয়িা অঙ্গীকার করা হইল তাহাকে অন্তত নজিরে জান মাল ও সম্মানরে উপর আল্লাহর প্রদত্ত র্সাবভৌম ক্ষমতা প্রয়োগকারী হসিাবে স্বীকার করতিে হইব।ে
যাহা হোক নবীর অর্বতমানে মুসলমানদরে মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখবিার জন্য এবং ইসলামরে দকিে মানুষদগিকে ডাকার জন্য নবীর র্কমভার গ্রহণ করবিনে কে ? যদি বলা হয় যে সমস্ত ছাহাবীগণ তাহা হইলে ঐক্য থাকবিে না। আর যদি বলা হয়, যনিি যোগ্য ব্যক্তি তনিইি র্কমভার গ্রহণ করবিনে। তাহা হইলে যে নজিরে যোগ্যতার দাবী করবিে সে হইবে অহঙ্কারী। কাজইে ভোটরে প্রয়োজন দখো দলি। এই জন্যই বলতিে হয় যে ইসলামই সত্যকিার গণতন্ত্ররে জন্ম দয়ে, কন্তিু গণতন্ত্র ইসলাম জন্ম দয়ে না। ইসলামী গণতন্ত্ররে বশিষেত্ব এই যে সখোনে শুধুমাত্র একমতবাদী লোক থাকবি-ে যাহারা হইবে মুসলমি। ইসলামে একাধকি র্ধম মতবাদী লোক লইয়া গণভোট চলবিে না। তারপর শুধু বশিষ্টি লোকদগিকে লইয়া পরার্মশ করত যাহার প্রতি বশেীর ভাগ লোকরে ভক্তি ও আস্থা হয় তনিইি হইবনে খলফিা। যে ভাইয়রো র্বতমান গণভোটকে ইসলামরে ভোটরে সাথে এক সামলি করয়িা দখেনে বা দখোন তাহারা ভুল বুঝতিছেনে। যাহা হোক, ইসলামরে খলফিাকে মানাই নবী মানার শামলি, যমেন নবীকে মানাই আল্লাহকে মানার শামলি। তাই খলোফতরে যুগে ইসলাম দ্রুত প্রচার ও প্রসার লাভ করতিে পারয়িাছলি। কন্তিু যখন হইতে মুসলমানদরে মধ্যে মতানক্যৈ ঘটতিে লাগলি তখন হইতে তাহারা শক্তি হারাইতে লাগলি। কন্তিু তবুও খলফিাদরে মত ঈমানী ইসলাম না থাকুক, অন্তত রাজকীয় র্পযায়ে আনুষ্ঠানকি ইসলাম প্রচার হইতছেলি। তাই আজ দশেে দশোন্তরে ইসলাম পৌঁছতিে পারয়িাছ।ে ইহার মধ্যওে এক শ্রণেী এমন থাকতিনে যাহারা আহলে বাতনে, যাহারা বভিন্নি সময়ে বভিন্নি অঞ্চলে আবর্ভিূত হইয়াছনে। তাহাদরে প্রতি মানুষরে ভক্তি ও বশ্বিাস থাকতি। তাহাদরে আধ্যাত্মকি জ্ঞান ফয়জে হাছলে করত মানুষ চরত্রিবান হইতে পারয়িাছনে। অতঃপর মুসলমানদরে মধ্যে এমন এক শ্রণেী হইতে থাকে যাহার বাহরিে ইসলাম প্রচার করা ত দূররে কথা, নজিদেরে মধ্যে এক আলমে অন্য আলমেকে কাফরে, গোমরাহ, বদোতী আখ্যা দয়িা ঝগড়া লাগাইতে থাক।ে এলমেরে দৌড় দখোইবার জন্য বাহাছ মোনাজরো করতিে থাক।ে ইহা দ্বারা তাহাদরে কি ক্ষতি হইতছেে তাহা তাহারা নজিরোও বুঝতিছেে না। মনে করুন, আমি এক ভাইকে কাফরে বললিাম। ইহা হয়তো ঐ ভাইয়রে প্রতি আমার বদ্বিষেভাব আছ,ে এই জন্যই তাহার বরিুদ্ধে কাফরে ফতোয়া দলিাম। এখন চন্তিার বষিয় তনিি যদি আল্লাহ পাকরে নকিট কাফরে না হইয়া থাকনে তাহা হইলে উক্ত কুফরী আমার উপর র্বতাইবে কি না ? আজকাল কোন দলরে দলপতি বা প্রধান ব্যক্তরি উপর অপর দলরে প্রধান ব্যক্তি কুফরী ফতোয়া দতিছেে এবং জোর দয়িা বলতিছেে যে যদি তাহাকে বা তাহাদগিকে কাফরে বলয়িা কহে সন্দহে করে তাহা হইলে সওে কাফরে হইব।ে এখন ঐ দুই দলরে একদল অবশ্যই কাফরে হইবে কি না ইসলামরে শরীয়তে কি আছ?ে একটু চন্তিা করয়িা দখেুন, আপনি এক ভাইকে কাফরে সাব্যস্ত করতিছেনে যে কতিাবরে বল,ে তনিওি যখন আলমে, তনিি কি ঐ কতিাব পড়নে নাই? তনিি যাহাই বলুন না কনে- এই শ্রণেীর আলমেগণই ইসলামকে ধবংস করতিছেনে, আর অমুসলমানদগিকে হাসাইতছে।ে ওহে মুসলমি! তুমি কি নামইে মুসলমি? তুমি ইসলামরে সরল পথে ঠকি আছ কি না তাহা কি পরীক্ষা করয়িা দখেয়িাছ? পরীক্ষা করবিার কষ্ঠি পাথর হইতছেে কোরআন। হযরত মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহতে আত্মসর্মপণ করয়িা মুসলমি হইলনে। আল্লাহ তাঁহাকে র্কমনর্বিাহক বানাইলনে। তনিি একা সমস্ত মুশরকিদরে সামনে তাহাদরে র্ধমরে অসারতা বুঝাইয়া দলিনে। কন্তিু তনিি কখনও নজিরে তাকব্বরী দখোন নাই। তনিি স্পষ্টভাবে বলয়িাছনে, “আনা বাশারুম মছেলুকুম” আমি তোমাদরে মত মানুষ বই আর কছিু নই। তবে প্রভদে এইটুকু য,ে “ইউহাইলাইয়া”- আমি আল্লাহর অহি বা আদশে প্রাপ্ত, তোমরা তাহা নহ। ঠকি যে ব্যক্তি নবীর প্রকৃত অনুসারী, যে নজিকেে হযরত মোহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে লছাল্লামরে কদমরে তলে নজিরে জান, মাল ও ইজ্জতকে বকিাইয়া দয়িা তাঁহার গোলাম সাজয়িাছে আল্লাপাক তাঁহাকে অবশ্যই কবুল করয়িা লাইয়াছনে। তমেন ব্যক্তি কখনও বুক ফুলাইয়া অপর মুসলমি ভাইদরে কাছে তাকাব্বরী দখোন না। কন্তিু সমস্ত বশ্বিবাসীদরে সামনে ইসলামরে সত্যতা প্রমাণ করয়িা দখোইতে ও অনসৈলামকিদরে র্ধমরে অসারতা ও তাহাদরে ভুল বুঝাইয়া দতিে র্সবদা প্রস্তুত থাকনে।
যাহা হোক আমি আগইে বলয়িাছ,ি ন্যায় কথা বলা ও ন্যায় কথা মানাই ইসলামরে হাককিত আর ইহাই শান্তরি একমাত্র উপরকণ। এখন আমি যাহা বলবি তাহা ন্যায় কনিা তাহা বচিার করয়িা দখেবিনে। ন্যায় হইলে সর্মথন করবিনে, অন্যায় হইলে আমাকে বুঝাইয়া দবিনে।
আমি বশ্বিাস করি য,ে হযরত মোহাম্মদ (দঃ) সত্য ও শষে নবী এবং বশ্বিাস করি য,ে যাহারা বশ্বিাস সহ পাঠ কর,ে “লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ”- তাহারা আমার প্রাণপ্রয়ি ভাই। যনিি যভোবইে ইসলামরে প্রচার ও প্রসাররে জন্য খদেমত করতিছেনে, তাহার ভুলত্রুটি ক্ষমার জন্য হুজুরে পুর নুর (দঃ)- র শাফায়াৎই যথষ্টে। কন্তিু শুধু আপন জান বাঁচাইতে যাহারা কলমো পড়নে তাহাদরে জন্যই যথষ্টে। আর যাহাদরে উপর বশ্বিজনীন ইসলামকে বশ্বিবাসীর কাছে পৌঁছাইবার দায়ত্বি চাপানো আছ,ে যমেন “কুনতুম খাইয়া উম্মাতনি”, আরও যমেন, অমা আরছালনাকা ইল্লারাহমাতাল্ললি আলামনি,- এই দুইটি বাণীর সরর্লাথ এইরূপ “হে নবী। আপনাকে বশ্বিাবাসীদরে জন্য শান্তস্বিরূপ পাঠাইলাম। যহেতেু আপনি যমেন ভাবে মুসলমি হইয়া ইসলাম বা শান্তপ্রিাপ্ত হইলনে, আপনার এই শক্ষিা জগদ্বাসীও মুসলমি হইয়া ইসলামরে শান্তি বা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হইতে পারনে। কন্তিু হে নবী! আপনি চরিকাল থাকবিনে না ও সমস্ত বশ্বিে আপনার এই শক্ষিা প্রচার করাও আপনার পক্ষে সম্ভবপর হইবে না। তাই ইহার জন্য আমি ঐ ব্যবস্থা করবি যে আপনার অনুসারীদরে মধ্য হইতে প্রয়োজন মত এমন একদল রাখবি যাহারা বশ্বিবাসীদরে আপনারই মত আদশে নষিধে দান করবিনে এবং তাহাদরে দ্বারা পৌঁছানই আপনার দ্বারা পৌঁছান হইব”ে আর দলবদ্ধভাবে কাজ না করয়িা কহেই ব্যক্তগিতভাবে আদশে নষিধে জারি করতিে পারে না। কারণ যাহার প্রভাব নাই তাহার হাজার ন্যায় কথাও জনগণ হাসয়িা উড়াইয়া দয়ে। আর যাহার দল নাই তাহার কোন প্রভাব নাই। বচিারক যমেন দল ছাড়া বচিার করতিে পারে না, এরূপ ডাকাতও দল ছাড়া ডাকাতি করতিে পারে না। তাই সৎ কাজরে আদশে ও খারাপ কাজরে নষিধে জারি করবিার জন্য ও সৎ লোকরে একটা দল থাকা নহোয়ৎে যুক্তি সঙ্গত। আর দলপতি ছাড়া কোন দল গঠতি ও চালতি হইতে পারে না ইহাও ঠকি। তাই বশ্বি মুসলমিকে একতাবদ্ধ করয়িা বশ্বিবাসীর কাছে সৎ কাজরে আদশে ও মন্দ কাজরে নষিধে পৗেঁছাইবার জন্য একজন বশ্বিনতোর দরকার অবশ্য আছ।ে আজ সারা বশ্বিে ইসলাম পৌঁছয়িাছ-ে ইহা সত্য। কন্তিু ইসলামরে প্রভাব জগদ্বাসীর উপর প্রতষ্ঠিতি হয় নাই। ইহার একমাত্র কারণ বশ্বিমুসলমিদরে মধ্যে একতা নাই। আজ ইসলামরে মধ্যে শয়িা, সুন্ন,ি মাজহাবী, লা-মাজহাবী, আহলজেুম্মা, লাজুম্মা ইত্যাদি বহুদল উপদল বদ্যিমান আছ।ে ইহা কহে অস্বীকার করতিে পারবিনে না। আমি কন্তিু কলমোওয়ালা কোন ভাইকইে ঘৃণা করি না। শুধুমাত্র নবী করমি ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অছল্লামরে খাতরিে সবাইকে শ্রদ্ধার নজরে দখেয়িা থাক।ি আমার ইহা ন্যায় কি অন্যায় তাহা জানি না। তবে এতটুকু আল্লাপাক বুঝাইয়াছনে যে উক্ত দলীয় বা উপদলীয় ভাইদগিকে ঘৃণা করয়িা বাদ দতিে গলেে অবশষেে নজিরে মত লইয়া একা থাকতিে হইবে অথবা উহার যে কোন একটা দলরে মধ্যে আমাকে বকিাইয়া দয়িা উক্ত কোন একটি উপদলভুক্তই হইতে হইব।ে অথচ ইহাদরে কোনটাই সমস্যার সমাধান দতিে পারে না। তাই আমি আল্লাহরাব্বুল আলামনিরে পাক দরবারে মোতাওয়াজ্জাহ হইলাম। তনিি তাহার পবত্রিবাণী কোরআন করমি হইতে ইহাই বুঝাইলনে যে ঠকি এরূপ মতানক্যৈ দ্বারা যখন ইসলাম ও কোরআন ধ্বংসরে সময় উপস্থতি হইবে তখনই সে ইসলামরে খোদা তাহার কুদরতি শক্তি বলে ইসলাম ও কোরআনকে রক্ষা বা হফোযত করবিনে। আর এখনই সইে যুগ উপস্থতি। অতএব আল্লাপাক এই যুগে কোন একজন খাছ বান্দার মাধ্যমে ইসলামরে সমস্ত দল উপদল গুলকিে মূল একদলে পরণিত করবিনে। উক্ত খাছ বান্দাই হইবনে বশ্বিনতো। অনকেরে প্রশ্ন উঠে যে সইে বান্দা ক?ে তনিি দাবী করনে না কনে? জানা দরকার যে আল্লাহ কোন কাজ করনে না হকেমত ছাড়া। আল্লাহ বহুর্দশী ও র্সবজ্ঞানী। তনিি যভোবে পছন্দ করনে সইেভাবইে তাহা করবিনে। র্পূবওে তাহাই করয়িাছনে। র্পূবে পৃথবিীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এত উন্নত ছলি না। তাই যখোনে বা যে কোন দশেে প্ররেতি পুরুষ র্আবভিূত হইয়াছনে, সখোনইে দাবী পশে করয়িাছনে। আর সঙ্গে সঙ্গে মানুষরে বরিোধতিাও শুরু হইয়াছে এবং সংর্ঘষরে ভতির দয়িা তাঁহার জীবন শষে হইয়াছ।ে অবশষেে তাঁহার কছিু অনুসারী তাহার কথা দশেে দশেে প্রচার করয়িাছনে। ইহাতইে সত্য ঘটনার সঙ্গে কছিু মথ্যিাও জড়তি হইয়া পড়য়িাছ।ে তাই উহার সংশোধনরে জন্য পুনরায় অপর একজনকে পাঠাইয়াছনে। কন্তিু তনিওি ঐ একই বপিদে পড়য়িাছনে। অপর দকিে জ্ঞান- বজ্ঞিান প্রসার লাভ করতিে করতিে র্বতমানে যোগাযোগরে দকি দয়িা পৃথবিীর আজ এত উন্নতি হইয়াছে যে সমস্ত বশ্বি আজ এক সমাজভুক্ত হইয়া পড়য়িাছে এবং জাতসিংঘ এই সমাজরে তত্ত্বাবধান করতিছে।ে তাই এই যুগে বশ্বিবাসীদরে কাছে সইে খাছ বান্দা জাতসিংঘরে মাধ্যমইে তাহার দাবী পশে করবিনে- ইহাই যুক্তসিঙ্গত ও ন্যায়। আর তনিি যুক্তসিঙ্গত ভাবইে জনগণ দ্বারা নর্বিাচতি হইবনে না। কনেনা কোন দল বা সম্প্রদায় র্কতৃক নর্বিাচতি হইলে অপর দল বা অপর সম্প্রদায় তাহাকে মানতিে বাধ্য হইবে না। কোন দশে হইতে হইলে অপর দশেবাসী মানতিে বাধ্য হইবে না। তাই সৃষ্টর্কিতার পক্ষ হইতে মনোনীত হওয়া ন্যায় সঙ্গত। আমি বশ্বিাস করি যে আল্লাহ মথ্যিাবাদীর উপর লানত করনে। সুতরাং আমি আল্লাকে ভয় কর,ি সইে আল্লাহ যাহা অবগত করাইয়াছনে আমি তাহাই-ব্যক্ত করতিছে।ি যদি কোন ভাই ইহাকে অন্যায় মনে করনে, তাহা হইলে ইসলামরে খাতরিে আমার ভুল প্রমাণ করয়িা আমাকে সংশোধন করবিার অনুরোধ রহলি। ইহাই ইসলাম। আর যে ভাইয়রো ইহা ন্যায় সঙ্গত মনে করনে, তাহাদগিকে ইহা র্কাযকরী ও বাস্তবায়তি করবিার জন্য ও বস্তিারতি জানবিার জন্য আমার সহতি যোগাযোগ করবিার অনুরোধ রহলি। ইহাই ইসলাম। যহেতেু ন্যায় কথা বলা ও ন্যায় কথা যে বলে তাহাকে সর্মথন করাই প্রকৃত ইসলাম। আর উহাতইে মানবজাতরি ইহকাল ও পরকালরে প্রকৃত শান্ত।ি
অমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ। অ-আখরেে দাওয়ানা আনলে হামদু লল্লিাহে রাব্বলি আলামনি। আমনি।

*********