বসিমল্লিাহরি রাহমানরি রাহমি
বরাবর,
আলহাজ্ব হুসইেন মুহাম্মদ এরশাদ
প্রসেডিন্টে,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকার,
বাংলাদশে, ঢাকা।
শ্রদ্ধয়ে বাবা,
বাবা, আপনার খদেমতে এই নগণ্য দাসরে বনিীত র্প্রাথনা এই য,ে র্দীঘ দনি যাবৎ আমি মনে একটা দুঃসহ যাতনা অনুভব করতিছে,ি যাহা আপনার মত মহান ব্যক্তরি নকিট প্রকাশ করা ব্যতীত কছিুতইে প্রশমতি হইতছেে না। বাবা, র্বতমান বশ্বিে মানুষরে জীবনে যে অশান্তি দখো দয়িাছে তাহা কম-বশেী সকলইে অনুভব করতিে পারতিছেে এবং ইহার প্রতকিার ও বশ্বিে শান্তি কায়মেরে জন্য চন্তিাশীল ব্যক্তগিণ যে চষ্টোও করতিছেনে, ইহাতে কোন সন্দহে নাই। আমি মনে করি এই ব্যাপারে কোন চন্তিা-ভাবনা করা আমার প্রয়োজন নাই, যহেতেু আমার কোন যোগ্যতা বা বদ্যিা নাই। গরুর রাখালী করাই আমার কাজ। কন্তিু তবুও আমার মনে এই ব্যাপারে একটা পরকিল্পনা জাগয়িা উঠয়িাছ,ে যদ্দরুন আপনাকে বরিক্ত করতিে বাধ্য হইয়াছ।ি যাহা হউক, এখানে আমার পরকিল্পনাটা ব্যক্ত কিেতছ।ি অনুরোধ কর,ি দয়া করয়িা ইহা শষে র্পযন্ত পড়য়িা দখেবিনে।
জানা দরকার য,ে অশান্তরি মূল কারণ হইল ঝগড়া, আর ঝগড়ার মূল কারণ হইল পরস্পর মতানক্যৈ। কাজইে শান্তরি মূল হইল মতানক্যৈরে সুষ্ঠু মীমাংসা। আমরা জান,ি মানব দহেরে কোন অঙ্গে রোগ হইলে কবেল সইে অঙ্গরেই চকিৎিসা করা হয় এবং উহাতইে দহে আরোগ্য হয়। কন্তিু যখন গোটা দহেটাই রোগাক্রান্ত হইয়া পড়ে তখন দহেরে প্রাণকন্দ্রে হইতইে চকিৎিসা করতিে হয়। তদ্রƒপ র্বতমান বশ্বিে গোটা মানব সমাজরে মধ্যইে এই মতানক্যৈ জনতি ঝগড়া লাগয়িা রহয়িাছ।ে কাজইে বশ্বি সমাজরে প্রাণকন্দ্রে যে জাতসিংঘ সখোনইে ইহার মীমাংসা করতিে হইব।ে মানব সৃষ্টরি প্রথম হইতইে পরস্পর মতানক্যৈ ছলি, সময় সময় উহার মীমাংসাও হইয়াছ।ে এমনভিাবইে বহু ব্যক্তরি মতানক্যৈ দূর করয়িা সমাজ গঠতি হইয়াছ,ে বহু সামাজকি মতানক্যৈ দূর করয়িাই রাষ্ট্র গঠতি হইয়াছ,ে আবার বহু রাষ্ট্রীয় মতানক্যৈ দূর করয়িাই একটি বৃহৎ সমাজ বা জাতসিংঘ গড়য়িা উঠয়িাছ।ে কন্তিু তবুও পৃথবিীতে একটা বড় রকমরে মতানক্যৈ লাগয়িাই রহয়িাছ।ে এতদনিে উহার মীমাংসার প্রয়োজনীয়তা দখো দয়িাছে এবং মীমাংসার সুযোগও আসয়িা পৌঁছয়িাছ।ে বাবা, আমি সরলভাবে বশ্বিাস কর,ি আসমান ও জমনিরে অবশ্যই একজন মালকি আছনে। আমি সইে মালকিরে ইঙ্গতিইে আপনাকে লখিতিছে।ি
এখন প্রশ্ন, এই মতানক্যৈরে বষিয়টি ক?ি উহা হইল সৃষ্টর্কিতা সর্ম্পক।ে র্বতমান বশ্বিে এক শ্রণেীর লোক বশ্বিাস করে সৃষ্টরি একজন স্রষ্টা আছনে, অপর শ্রণেীর বশ্বিাস সৃষ্টরি কোন স্রষ্টা নাই। আর ইহাও অতি সত্য য,ে দুই বপিরীত বশ্বিাসে বশ্বিাসী ব্যক্তরি মধ্যে প্রকৃত বন্ধুত্ব গড়য়িা উঠতিে পারে না যতক্ষণ র্পযন্ত না এক ব্যক্তরি বশ্বিাস ত্যাগ করা হয়। যাহা হউক, এই বশ্বিাসরে মতানক্যৈই দ্বন্দ্বরে মূল এবং উহার শাখা-প্রশাখার মধ্যে বরিাজমান মতানক্যৈ আজ বশ্বিব্যাপী। স্রষ্টা বশ্বিাসী সকলরে মধ্যে ঐকমত্য নাই। যমেন, হন্দিু, মুসলমি, খ্রষ্টিান ইত্যাদ।ি স্রষ্টা বশ্বিাসী প্রতটিি দলরে মধ্যওে বভিন্নি মতাবলম্বী শাখা-প্রশাখা রহয়িাছ।ে কাজইে বশ্বিব্যাপী যে মতানক্যৈ বরিাজমান, উহার মূলও ঐ একটাই (র্অথাৎ বশ্বিাসীদরে মধ্যে মতানক্যৈ)। সুতরাং ঐ একটি মাত্র মতানক্যৈরে মীমাংসা হইলইে বশ্বিে শান্তি আসবিে ইনশাল্লাহ।
এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতিে পার,ে উহার মীমাংসা করবিনে ক?ে যহেতেু উভয় দকিইে শক্তশিালী লোক বদ্যিমান রহয়িাছ।ে ইহার উত্তরে আমি বলতিছে,ি শ্রদ্ধয়ে বাবা, আমি জানি যে আপনি হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর প্রতি বশ্বিাসী। হযরত (দঃ) বলয়িাছনে, এক দনিরে আদালত ষাট বৎসররে এবাদত। সুতরাং এই মীমাংসার ব্যাপারে আপনাকে শরকি হইতে অনুরোধ করতিছে।ি বাবা, আমি সরলভাবে বশ্বিাস করি য,ে হযরত মোহাম্মদ (দঃ) সত্য ও শষে নবী। আমি তাঁহার এক নগণ্য দাস। সইে নবী (দঃ)- এর উছলিায় ও তাঁহার প্রতাপশালী প্রভুর ইঙ্গতিইে আপনার মত মহামান্য ব্যক্তকিে বরিক্ত করতিে সাহস করয়িাছ।ি অতএব আপনি সইে নবী (দঃ)- এর খাতরিে এই আলোচনার প্রতি দৃষ্টপিাত করতিে র্মজি ফরমাইবনে। বাবা, আমি বশ্বিাস কর,ি যদওি এক শ্রণেীর লোক স্রষ্টায় অবশ্বিাসী; কন্তিু তাহারা একবোরে অজ্ঞ নহ।ে তাহাদরে মধ্যে বহু বজ্ঞৈানকি, র্দাশনকি রহয়িাছ।ে কন্তিু তাহারা যে স্রষ্টা সম্বন্ধে সন্দহেে পড়য়িাছ,ে উহার মূলে রহয়িাছে স্রষ্টা বশ্বিাসীদরে মধ্যে বরিাজমান পরস্পর মতানক্যৈ। কারণ, যখন কোন জ্ঞানবান ব্যক্তি চন্তিা করয়িা দখেনে য,ে র্কতা ছাড়া কোন র্কম হইতে পারে না, তখন স্বাভাবকিভাবইে তাহার মনে এই প্রশ্ন জাগে য,ে আমি কভিাবে অস্তত্বিবান হইলাম এবং আমারও একজন র্কতা আছে কনিা? কন্তিু যখনই তাহাদরে মনে প্রশ্ন জাগ,ে স্রষ্টার সঙ্গে সম্বন্ধকৃত হওয়ার সঠকি পথ কোন্ট,ি তখনই তাহারা বভ্রিাটে পড়।ে কারণ, স্রষ্টা বশ্বিাসী সমস্ত লোকই বশ্বিাস করে যে সৃষ্টর্কিতা একক ও অদ্বতিীয়; অথচ স্রষ্টার পথে চলতিে গয়িা একজন অপরজনকে বলে পথভ্রষ্ট, বা কু-আখ্যায় আখ্যায়তি করয়িা গালাগালি কর।ে এই সমস্ত দখেয়িাই স্রষ্টায় অবশ্বিাসী জ্ঞানী ব্যক্তি স্রষ্টা বশ্বিাসীগণরে সঙ্গে ঐকমত্য হইতে পারতিছেনে না। কন্তিু বজ্ঞৈানকিগণ এমন পাগল নহনে যে ন্যায় কথাটাও তাহারা বুঝতিে পারবিনে না।
যাহা হউক, এখন আমি আল্লাহ পাকরে র্মজতিে একটা বষিয়রে প্রতি আলোকপাত করতিছে।ি র্বতমান বশ্বিে যদি আমরা শান্তি কায়মে করতিে চাই তাহা হইলে আমাদরে সকল মতানক্যৈ ত্যাগ করতিে হইব।ে এই জন্য আমাদগিকে এমন এক ব্যক্তরি পরার্মশ গ্রহণ করতিে হইবে যাহার পরার্মশ হইবে র্সবকালরে সকল দশেরে সকল মানুষরে জন্য সমান উপকারী এবং তাহা যুক্ত-িপ্রমাণে প্রমাণতি হইতে হইব।ে যথা ঃ-
প্রশ্ন – আপনি কি শান্তি চান?
উত্তর – হ্যাঁ, অবশ্যই চাই।
প্রশ্ন – আপনি কি ব্যাপক শান্তি চান, না আংশকি শান্তি চান?
উত্তর – ব্যাপক শান্তি চাই। (ব্যাপক শান্তরি উপাদান ছয়ট;ি যথাঃ- (১) যৌবন, (২) স্বাস্থ্য, (৩) স্বচ্ছলতা, (৪) সৎসঙ্গনিী, (৫) সৎপরবিশে ও (৬) স্বাধীনতা)
প্রশ্ন – আপনি কি শান্তি ক্ষণস্থায়ীভাবে ভোগরে জন্য চান, না চরিস্থায়ীভাবে ভোগরে জন্য চান?
উত্তর – অবশ্যই শান্তি যাহাতে চরিস্থায়ীভাবে ভোগ করা যায় তাহাই চাই।
তাহা হইলে শুনুন, এই পৃথবিীতে কহেই চরিস্থায়ীভাবে থাকতিে পারে না। কাজইে এখানকার শান্তি চরিস্থায়ী নয়। অতএব সৃষ্টর্কিতা জানাইতছেনে, “হে মানুষ, আমি দুইটি জগত সৃষ্টি করয়িাছ,ি একটি মর জগত ও অপরটি অমর জগত। সুতরাং সকল মানুষকইে একদনি সইে অমর জগতে যাইতে হইব।ে তথায় দুইটি ঘর রাখা হইয়াছ,ে একটি সুখরে ঘর অপরটি দুঃখরে ঘর। মানুষরে কাম্য যে ব্যাপক শান্তি তাহা সইে চরিস্থায়ী জগতরে সুখরে ঘরে রাখা হইয়াছ।ে আমার বাধ্যগত ব্যক্তকিে সখোনে প্রবশে করতিে দবি।” শ্রদ্ধয়ে বাবা, আমাকে ক্ষমা করবিনে, যহেতেু আপনাকে বরিক্ত করতিছে।ি কন্তিু ইহা আমি বশ্বিবাসীর মঙ্গলরে জন্য বশ্বিবাসীর মালকিরে আদশেইে লখিতিছে।ি
এখানে একটি উপমা দতিছে।ি ধরুন, চারজিন মানুষ। তাহাদরে গন্তব্যস্থানও এক এবং তাহাদরে কাম্য বস্তুও এক। তাহারা বাড়ি হইতে বাহরি হইয়া গন্তব্য স্থানরে দকিে চলতিছেলি, পথমিধ্যে র্সূয অস্ত গলে। অন্ধকার রাত্রতিে পথরে ব্যাপারে তাহাদরে মধ্যে মতানক্যৈ ঘটলি। তখন চারজিন চারদিকিে মুখ করলি। তাহাদরে প্রত্যকেইে নজিকেে সঠকি ও অপরকে অঠকি, দগিভ্রান্ত ভাবতিে লাগলি। এমতাবস্থায়, কহেই কাহাকওে ডাকয়িা নজিরে দকিে আনতিে পারবিে না। কারণ, তাহাদরে সঙ্গে অদৃশ্য একজন সঙ্গী জুটয়িাছ।ে সে প্রত্যকেরে মন আপন আপন দকিে কঠনি করয়িা দয়িাছ,ে যাহাকে আমরা “দয়িাভুলা বা কানাওয়ালা” বলয়িা থাক।ি এ অবস্থায় কহেই গন্তব্যস্থানে পৗেঁছতিে পারবিে না এবং কাম্যবস্তুও লাভ করতিে পারবিে না। এই কঠনি সমস্যা ততক্ষণ থাক,ে যতক্ষণ র্পযন্ত র্সূয উদতি না হয়। কনেনা র্সূয যে র্পূব দকিইে উদতি হয় – এই ব্যাপারে কাহারো কোন সন্দহে নাই। আর একটি দকি সঠকি ভাবে নর্ণিীত হইয়া গলেে বাকী দকিগুলি নর্ণিয় করতিে কোন অসুবধিাই হয়না। তদ্রƒপ সকল মানুষ একই স্রষ্টার সৃষ্ট এবং একই জগতরে বাসন্দিা। সকলরে গন্তব্য স্থান সইে একই স্রষ্টার নকিট এবং সকল মানুষরে কাম্যবস্তুও সে একই সুখরে ঘর। ইহা সকলইে স্বীকার কর,ে অথচ পথে চলতিে গয়িা কহে একর্ধমে বশ্বিাসী হয়, আবার কহে তাহার ঘোর বরিোধী হয়। এই বরিোধতিা যখন কঠনি আকার ধারণ করে তখন এই পৃথবিীর অবস্থা হয় অন্ধকার রাত্রতিুল্য। শুরু হয় র্ববরতার যুগ। আর তখনই দয়াময় সৃষ্টর্কিতা উদতি করনে র্সূযরূপ এক খাস বান্দা।
বাবা, আমি সত্য বলতিছে,ি এই লখোর পছিনে তাহারই ইঙ্গতি রহয়িাছ,ে যাহার হাতে আমার জীবন ও মরণ এবং তাহার নকিটই আমাকে যাইতে হইব।ে
শ্রদ্ধয়ে বাবা, র্বতমান সময়ে উল্লখিতি ব্যাপারে যদি কছিু আলোচনা করার দরকার মনে করনে, তাহা হইলে এই নগণ্য বান্দাকে অনুমতি দলিে আমি আপনার খদেমতে হাজরি হইতে আগ্রহী।
বাবা, সম্মুখে হাজরি হইয়া আমার দুঃখরে কথা জানাইবার জন্য অনুমতি চাহয়িা পত্র দয়িাছলিাম প্রথমতঃ সাবকে প্রসেডিন্টে শখে মুজবিুর রহমান সাহবেরে বরাবরে গত ১২-৭-১৯৭৫ খ্রঃি তারখিে রজেস্টর্িাড ডাকযোগে এবং তাহার সচবিালয় হইতে গত ১৪-৭-১৯৭৫ খ্রঃি তারখিে পত্র প্রাপ্তরি রশদিও ফরেত পাওয়া গয়িাছলি। কন্তিু উক্ত পত্র প্রাপ্তরি একমাস পরইে তনিি নহিত হন। ঐ পত্ররে জবাব আর পাওয়া যায় নাই। অতঃপর উক্ত চঠিখিানার একটি অনুলপিি সহ অপর একটি পত্র সাবকে প্রসেডিন্টে খন্দকার মোশতাক আহমদে সাহবেরে বরাবরে রজেস্টর্িাড ডাকযোগে গত ৪-৯-১৯৭৫ খ্রঃি তারখিে পাঠানো হইয়াছলি; তনিওি ৩-১১-৭৫ খ্রঃি তারখিে প্রসেডিন্টে পদ হইতে অপসারতি হন। তাহার নকিট হইতওে উক্ত চঠিরি কোন জবাব পাওয়া যায় নাই। অনুরূপ আরও একটি চঠিি মরহুম প্রসেডিন্টে জয়িাউর রহমান সাহবেরে বরাবরওে লখো হইয়াছলি ১৪-৯-৭৯ খ্রঃি তারখি।ে শষে র্পযন্ত তনিওি নহিত হন গত ৩০-৫-৮১ খ্রঃি তারখিে এবং এই র্দীঘ সময়রে মধ্যে তাহার নকিট হইতে কোন জবাব পাওয়া যায় নাই।
বাবা, আমার শষে বয়স। এই মরজগত ত্যাগ করার সময় উপস্থতি। অতএব যদি দয়া করয়িা অনুমতি দনে তাহা হইলে এই নগণ্য বান্দার মনোদুঃখ দূর হইব।ে দোয়া কর,ি আল্লাহ পাক আপনাকে হায়াৎ দারাজ করুন ও সঠকি পথে রাখুন, আমনি!
তারখি, ঢাকা
৫ র্কাতকি, ১৩৯৭ বাং
৩০ রবউিল আউয়াল, ১৪১১ হজিরী
২১ অক্টোবর, ১৯৯০ খ্রঃি
রোজ রববিার। বনিীত নবিদেক
স্বাক্ষর/-
মোঃ বরকত উল্লাহ খান
গ্রাম-রামনাথপুর,
থানা-নবাবগঞ্জ,
জলো- ঢাকা, বাংলাদশে