পরম দয়াময় সৃষ্টিকর্তার নামে আরম্ভ করিতেছি
জ্ঞানী ও অজ্ঞানীর প্রভেদ
যে মানুষ সত্যে বিশ্বাসী সেই জ্ঞানী, আর যে সত্যে বিশ্বাসী নয় সে মানুষ অজ্ঞ। সেই সত্যটি কি?
উত্তরঃ ১মÑএই সৃষ্টির একজন স্রষ্টা আছেনÑইহা সত্য। ২য়Ñস্রষ্টার মনোনীত ও আদিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি মানব জগতে প্রকাশিত হনÑইহাও সত্য। সুতরাং যে মানুষ এই দুই সত্যে বিশ্বাস করে সেই জ্ঞানী। অতএব যখন মানুষ জ্ঞান লাভ করত: উক্ত মাধ্যমের অনুসরণ করে তখন তাহার এই জ্ঞান গুণে পরিণত হয় এবং এই গুণ যখন দীর্ঘস্থায়ী ও অকপট (এখলাস) হয় তখন উহা নূরে পরিণত হয়। আর নবী (মাধ্যম) এক নূর এবং আল্ল¬াহ্ (স্রষ্টা)ও এক নূর। সুতরাং আধ্যাত্মিক জগতে ‘উরূযী’ হালতে এই নূর নবী করিম ছাল্ল¬াল্ল¬াহু আলাইহে ওয়াছাল্ল¬াম পর্যন্ত পৌঁছায় এবং তাঁহার নূরে নিজ নূরকে বিলীন করিয়া দেন। ইহাই “ফানার্ফিরাছুল”। আর নবী ‘উরূযী’ হালতে আল্ল¬াহ্ পর্যন্ত পৌঁছাইয়া নিজ নূরকে আল্ল¬াহ্-পাকের জাতি নূরে বিলাইয়া দিয়াছেন। ইহাকেই বলা হয় “ফানাফিল্ল¬াহ্”। এই কারণেই বলা হয়, বান্দা ও খোদা যুদা নয়। যেহেতু নূর নূরের সাথে মিলিত হয়। ইহাকেই পরিষ্কার করিয়া বলিতেছি, যেমন, একটি ডায়নামা হইতে যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হইতেছে উহার সাথে যে বৈদ্যুতিক তারের একটা মাথা লাগান আছে, ঐ তারেরই অপর মাথা শত শত মাইল দূরে চলিয়া গিয়াছে। কিন্তু বৈদ্যুতিক কাজ দুই মাথায়ই সমানভাবে চলিতেছে। কিন্তু তাই বলিয়া খোদা বান্দা হইয়া যান না বা বান্দাও খোদা হইয়া যান না। আরো যেমন শরীরে আত্মা থাকে বলিয়া আত্মা শরীর বা শরীরের কোন অংশও আত্মা হইয়া যায় না। যাহা হোক, এই নূরই মানুষের ‘পরম আত্মা’ যাহা মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণী প্রাপ্ত হয় না। আর এই নূর বা পরম আত্মা বিশিষ্ট মানুষকেই কোরানে জীবিত মানুষ এবং শুধু জীবাত্মা বিশিষ্ট মানুষকে মৃত মানুষ বলা হইয়াছে। ইতিÑ
********