পরম দয়াময় ও করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করতিছেি
জমানার লোকরো কনে নবী ও নায়বে-েনবীদরে সঙ্গে বয়োদবী করয়িা থাকে ?
মুসলমান সমাজে প্রায় সকলইে অবগত আছনে য,ে এই জগতে যত নবী আসয়িাছনে প্রত্যকে নবীর সঙ্গইে তাঁহার জমানার লোকরো বয়োদবী করয়িাছ,ে উপহাস করয়িাছে এবং পাগল বলয়িা গালি দয়িাছে ও মারধরও করয়িাছ।ে কন্তিু একথাও সত্য যে নবীগণ পাগল ছলিনে না বরং তাহারা জগদ্বাসী সকলরে জন্য শান্তি কায়মে করবিার নীতইি প্রচার করয়িা গয়িাছনে।
এখানে স্বাভাবকিভাবইে প্রশ্ন জাগে যে ব্যক্তি পৃথবিীতে শান্তি কায়মে করতিে আসনে তাঁহার সঙ্গে এত দুশমনি করা কনে? কতক লোক না হয় অজ্ঞতাবশত: নবীর কথা বুঝতিে না পারয়িা বরিোধতিা করতিে পার;ে কন্তিু জমানার সমস্ত লোকই যে অজ্ঞ হইব,ে নবীর কথা যে কহই বুঝবিে না এ কমেন ব্যাপার? তাই নবীর সঙ্গে দুশমনি করার প্রকৃত রহস্য ব্যক্ত করতিছে:ি
এই পৃথবিীর যনিি র্কতা, তাঁহার কুদরতি হাতইে এই পৃথবিীর উত্থান ও পতনরে মূল চাব।ি তবে সইে প্রভু নজিকে গোপন রাখয়িা কৌশলে জগতকে চালাইতছেনে। খোদা-পাক মানব জাতকিে তনিটি শক্তি দয়িাছনে, কন্তিু এই তনিটি শক্তি একত্র এক ব্যক্তকিে দান করনে নাই। এই তনিটি শক্তি যখন একত্র মলিতি হইয়া যায় তখনই পৃথবিীতে শান্তি কায়মে করা যায়।
এখন শ্রবণ করুন উহা ক?ি প্রথম- জ্ঞানশক্ত,ি দ্বতিীয়- ধনশক্তি ও তৃতীয়- জনশক্ত।ি এই তনিটি শক্তইি খোদাদাদ- ইহার কোন একটি বাদ দয়িা জগতে শান্তি স্থাপন করা যাইতে পারে না।
এখানে প্রশ্ন হইতে পারে যে এ তনিটি শক্তি একজনরে হাতইে কনে দনেনা? উত্তর এই য,ে খোদা সকলকইে মোহতাজ বানাইয়া তাহার নজি অক্ষমতা স্বীকার করাইয়া অপরকে দয়িা সাহায্য করাইয়া র্কায উদ্ধার করয়িা লন, যাহাতে বান্দা বুঝতিে পারে যে কোন কাজ করয়িা র্গব করা যাইতে পারনো, বরং শোকর আদায় করা দরকার যে প্রভু দয়া করয়িা এই কাজটি আমাকে দয়িা সমাধা করাইয়াছনে।
যাহা হউক, খোদা যাহাকে ধন দয়িাছনে তনিি হইলনে ধনী, কন্তিু সকল ধনীর কথাই যে সকলে মানয়িা চলে তাহা নয়, বরং অনকে ধনীকইে মাতবর, সরদার বা দাঙ্গাবাজ লোকরে সহতি মলি দয়িা নত হইয়া থাকতিে হয়। আবার যাহাকে খোদা মাতব্বরী দয়িাছনে, তাহার তাবদোরগণ দাঙ্গা হাঙ্গামার সময়ে হুঙ্কার দয়িা শত শত লোক একত্র হইতছে,ে হক-না-হক কাউকে খুন করতিছে,ে কন্তিু তাই বলয়িা সকল স্থানইে যে ঐ দাঙ্গাবাজি চলবিে তাহা নয় এবং ঐ রকম গোয়ারকপিনা দ্বারা জগতে শান্তওি স্থাপতি হয় না; বরং ফৎেনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। আর এক শ্রণেীর লোক- খোদা তাহাদগিকে জ্ঞান শক্তি দান করয়িাছনে। সইে জ্ঞান বএি, এমএ পাশ করা জ্ঞানও নয় বা উলা, টাইটলে পাশ করা জ্ঞানও নয় বরং উহা তত্ত্বজ্ঞান।
সুতরাং ধনী, মাতবর ও তত্ত্বজ্ঞানী এই তনি শ্রণেীর একত্র মলিন হইলে সমষ্টগিতভাবে যে একটি শক্তি হয়, সইে শক্তি দ্বারা খোদা-পাক জগতরে মধ্যে সুবচিার কায়মে করয়িা দনে। সইে সুনীতরিই নাম “ইলাহী হুকুমত”- উহাই দ্বীনে শরীয়ত, উহাই জগত ও জগতবাসীর জন্য শান্তরি উপকরণ।
ঐ তনিটি শক্তি একত্র মলিতি হইলে একটকিে কন্দ্রে করয়ি অপর দুইটি তাহার সহতি মলিতিে হইব।ে এই মলিনরেই নাম তাবদোরী। কন্তিু প্রত্যকে মানুষরে সাথইে তাহার ‘নফছ’ আছ।ে সইে ‘নফছ’ কখনো অপররে শ্রষ্ঠেত্ব পছন্দ করে না। নফছ্ র্সবদা নজিরে শ্রষ্ঠেত্ব পছন্দ কর।ে
যাহা হউক, উপরোল্লখিতি ঐ তনিটি শক্তইি দরকারী। এখন প্রশ্ন- কন্দ্রেে থাকবিে ক,ে আর তাবদোরী করবিে কাহারা? এই সমস্যার সমাধান করবিার জন্য খোদা-পাক ‘ইনসাফ’ নামক একটি শক্তি পয়দা করয়িা মানবকে দান করয়িাছনে। সুতরাং ‘ইনসাফ’ যাহা বলে তাহাই মানা মানুষরে র্কতব্য।
অতএব ‘ইনসাফ’ বলতিছে,ে দখে হে মানুষ, তুমি যে ধন পাইয়াছ উহা অস্থায়ী এবং তুমি যে মাতব্বরী পাইয়াছ উহাও অস্থায়ী। কন্তিু যে বচিার জ্ঞান পাইয়াছে সইে বড় জনিসি পাইয়াছ;ে যহেতেু উহা স্থায়ী। সুতরাং তত্ত্বজ্ঞানীই হইবনে কন্দ্রেীভূত আর ধনী ও মাতবর সরদারগণ হইবে তাহার আজ্ঞাবহ। কাজইে, যখন নবীর জবানে ইনসাফরে ভাষা জারী হইয়া সকলকে ডাকনে তাঁহার তাবদোরী করার জন্য, তখন নফ্ছ-পরস্ত ধনী ও মাতব্বরগণরে গায়ে হংিসার আগুন জ্বলয়িা উঠ।ে সইেজন্য জানয়িা শুনয়িা নবীকে মথ্যিাবাদী, পাগল ইত্যাদি বলয়িা তাঁহাকে তাড়াইয়া দয়ে। কন্তিু নবী স্পষ্টভাবে দখেনে যে এই কথাগুলি মানলিে মানবজাতরি ইহকালরে শান্তি ও পরকালরে মুক্তি নশ্চিয়ই হইব,ে আর না মানলিে আখরোতে চরিকালরে জন্য শাস্তি ভুগতিে হইব।ে কাজইে সমাজরে এত তরিস্কার শুনয়িাও আবার তাহাদরেকে ডাকতিে থাকনে। এমনভিাবে বারংবার ডাকার কারণে বদ্বিষেবশত: নবীকে হয় মারে কংিবা সমাজবন্দী করে অথবা দশে হইতে বতিাড়তি কর।ে
এখানে স্থূলবুদ্ধি বশিষ্টি লোক প্রশ্ন করতিে পারে য,ে প্রথম যখন বলয়িা দখেলি যে লোকরো তাঁহাকে মানতিে চায় না তবুও কনে এত পীড়াপীড়ি করতিে যায় এবং নজিকেে বপিদগ্রস্থ কর?ে তার উত্তর এই য,ে যখন কয়িামত হইবে তখন খোদা-পাক আমভাবে বান্দাদগিকে ডাকয়িা বলবিনে, হে বান্দা বল, আমি কি জগতে শান্তি কায়মে করবিার জন্য আমার প্রতনিধিি পাঠাই নাই? বল, আমার আদশে কতটুকু পালন করয়িাছ? তখন প্রত্যকে ভারপ্রাপ্ত নবী-রসুল ও মোজাদ্দদে বা নায়বে-েনবীগণ খোদার সামনে বলবিনে, হ্যাঁ খোদা, আমি তোমার আদশে পাইয়া তাহা পৗেঁছাইতে গয়িাছলিাম, কন্তিু আমার কথা তোমার বান্দাগণ বশ্বিাস করে নাই; বরং আমাকে অপদস্থ করয়িা তাড়াইয়া দয়িাছ।ে তখন খোদা-পাক প্রত্যকে বদ্বিষেকারীর নকিট হইতে নবী ও নায়বেে নবীর অপমানরে প্রতশিোধ লইবনে এবং নবী ও নায়বেে নবীদগিকে যথষ্টে পুরষ্কার দানে সুখী করবিনে। আর যদি পৃথবিীর সামান্য অপমান ও দুঃখ কষ্টকে ভয় করয়িা সত্য প্রচারে বরিত থাকনে তবে সইেদনি আল্লা-পাকরে সামনে ভীষণ শাস্তি ভুগতিে হইবে ও লাঞ্ছতি হইতে হইব।ে
এই বশ্বিাসজ্ঞান নবী ও রফিরমারদরে র্পূণ মাত্রায় বদ্যিমান থাক।ে কাজইে তাহারা সত্য প্রচারে এত পীড়াপীড়ি করনে। কারণ যদি বান্দাগণ কছিু কষ্ট করয়িাও শষেে এই সত্য বুঝতিে পারে এবং কবুল করে তবে দু’জাহানে তার ফল পাইব।ে আর যদি মোটওে না মানে বরং মারধর করে বা তাড়াইয়া দয়ে বা বয়কট করে তবে তাহাও নবীর জন্য তাঁহার সত্য প্রচাররে দললি হইব।ে
যাহা হউক, নবীগণ যুক্তি ছাড়া কোন কথা বলনে না বরং প্রত্যকে জ্ঞানী ব্যক্তইি জাননে যে জগতে কোন শাসন প্রণালী না থাকলিে জগতরে মানুষ শান্ততিে থাকতিে পারে না এবং একথাও জানে যে একজন শাসনর্কতা না থাকলিে হুকুম জারি করবিে ক?ে তবে প্রচলতি শাসক নর্বিাচনে ও নবী নর্বিাচনরে মধ্যে র্পাথক্য আছ।ে সাধারণভাবে জগতে যে শাসন প্রণালী প্রচলতি আছে প্রধানত উহা রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র। রাজতন্ত্র মানে ওয়ারশিী সূত্রে রাজ সংিহাসন অধকিার করয়িা শাসন করা অথবা নজি বাহুবলে কোন সংিহাসন দখল করয়িা নজিে গদনিশীন হইয়া শাসন কায়মে করা। আর গণতন্ত্র মানে হইল র্সবসাধারণ ভোট দয়িা আপন নতো নর্বিাচন করয়িা শাসন ব্যবস্থা কায়মে করা। কন্তিু ইলাহী শাসনতন্ত্ররে ধারা অন্যরূপ। কারণ গণভোটরে সময়ে প্রতযিোগতিা চল।ে যে ব্যক্তি সাধারণ লোকদগিকে কছিু দয়িা নজিরে দকিে আনতিে পারে সইে পাশ করয়িা থাক।ে কন্তিু নবী ও সংস্কারকদরে নীতি হইল এই যে তাঁহারা র্সবসাধারণকে যুক্তি দ্বারা বুঝাইয়া দনে য,ে দখে র্বতমান যুগরে যে দুরবস্থা, ইহা হইতে রক্ষা পাইতে হইলে সৃষ্টর্কিতার সাহায্য ছাড়া অন্য উপায় নাই এবং সৃষ্টর্কিতার সাহায্য পাইতে হইলে তাঁহার কোন খাস বান্দার মারফত ছাড়াও কোন সাহায্য পাওয়ার উপায় নাই। অতএব আমি যে ব্যবস্থা তোমাদরে সামনে দখোইতছেি উহা কি শান্তি স্থাপনরে ব্যবস্থা নয়? যদি সত্যই তাহা হয় তাহা হইলে চন্তিা করয়িা দখে এই ব্যবস্থা আমি পাইলাম কোথায়? যদি আমি নজিে চন্তিা করয়িা এই নীতি প্রণয়ন করতিাম তাহা হইলে তোমরাও ত এমন একটি নীতি প্রণয়ন করতিে পার। সুতরাং যখন তোমরা তাহা পারতিছে না তখন বশ্বিাস কর যে ইহাই সইে সৃষ্টর্কিতার প্রদত্ত নীতি এবং আমি তাহার নীতরি প্রচারক মাত্র। এবং ইহাও বলয়িা থাকনে যে শুধু মুখে মুখে বশ্বিাস করলিইে চলবিে না বরং জান, মাল ও ইজ্জত এই তনি জনিসি দয়িা আমার আজ্ঞাবহ দাস সাজতিে হইব।ে আমার আদশেে জান দতিে হইব,ে মাল দতিে হইবে এবং লোকরে গালি শুনয়িাও ধর্যৈ ধরয়িা থাকতিে হইব।ে যদি তাহা কর তবে সৃষ্টর্কিতা পৃথবিীতে তোমাদগিকে শাসনভার দান করবিনে এবং পরকালে চরিসুখরে স্থান বহেশেত দবিনে এবং স্বয়ং প্রভুর দদিার দখোইবনে।