পরম দয়াময় ও করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করতিছেি
হককিতে শরীয়ত
পবত্রি শরীয়তে মোহাম্মদীর মূল ৫ট,ি ১) কালমো, ২) নামাজ, ৩) রোজা, ৪) যাকাত ও ৫) হজ্জ্ব।
হযরত নবী করমি ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম ফরমাইয়াছনে, যে পড়য়িাছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” সে বহেশেতী। চন্তিার বষিয় যে কথাটুকুর কারণে চরি সুখরে সামগ্রী ও অনন্তকালরে সুখরে জীবন লাভ হইতে পারে উহার গুরুত্ব কত। অতএব প্রত্যকেটি মানুষরেই র্কতব্য উক্ত কালমোর গূঢ় তত্ত্ব বুঝা ও আমলে আনা।
বহু লোকই কালমোর উচ্চারণ ঠকিমত করতিে পারে না। ‘ইল্লাল্লাহ্র’ স্থলে ইল্লল্লোহ পড়।ে আর যাহারা উচ্চারণ ঠকিমত কর,ে কন্তিু তাহারা উহার মানে মতলব বুঝনো। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ” র্অথ- এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাছুল। যাহারা এই র্পযন্ত র্অথ শক্ষিা করয়িাই বসয়িা আছনে তাহারা অজ্ঞ। কালমোর জন্যই লক্ষ লক্ষ নবীর আগমন ও বহু ছহফিা এবং জব্বুর, তৌরাত, ইঞ্জলি ও কোরআন শরীফ আছমান হইতে নাজলি হইয়াছ।ে উহা কবেলই এতটুকু র্অথরে উপর নর্ভির করবিার যোগ্য কথা নয়। শুধু তোতার মত বললিইে চলবিে না যে এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই। বরং সইে আল্লাহকে চনো, তারপর সইে আল্লাহর সামনে বলতিে হইব,ে হে প্রভু! তুমি ব্যতীত আর কহে মালকি নাই। ইহা বুঝাইবার জন্য একটি উপমা দতিছে।ি দৃশ্যমান জগতে যাহা কছিু দখেতিে পাই উহার প্রত্যকেটরি সঙ্গইে র্কম র্কতা ও ক্রয়িার সংযোগ আছ।ে এই যে সাদা কাগজখানা, ইহা একটি শূণ্য বা খালি জনিসি। এখন আমি ইহাতে একটি ‘ক’ লখিলিাম। তাহা হইলে এই ‘ক’ টি র্কম, আমি র্কতা ও লখোটা ক্রয়িা। এইবার আসুন, আমাদরে নজিদেরে সাথে বচিার করয়িা র্কতা বাহরি কর।ি আমি র্বতমানে আছ,ি আগে ছলিাম না এবং অন্যরে ক্রয়িা ব্যতীত আমি হইতে পারি নাই। সুতরাং এই জগতটা যনে শূণ্য বা সাদা কাগজ সদৃশ, আর আমি সইে ‘ক’ সদৃশ র্কম এবং এই শূণ্য জগতে আমাকে যনিি প্রতষ্ঠিতি করলিনে তনিইি আমার র্কতা, তনিইি আমার “আল্লাহ”। অতএব আমি যখন বচিার করতঃ এই সত্যে গয়িা পােঁছতিে পারলিাম যে নশ্চিয়ই আমার একজন র্কতা আছনে এবং তনিইি আমার মালকি বা ‘ইলাহ’ তখন আর অন্যরে মুখে শুনয়িা অন্ধ বশ্বিাসরে মত বলবি না যে এক খোদা ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই, বরং তখন বজ্ঞিতার সহতি পড়বি, হে প্রভু! তুমইি আমার র্কতা বা মালকি। তুমি ছাড়া আর কহে মাবুদ বা ‘ইলাহ’ নাই। এই র্পযন্ত বুঝয়িা যে পড়বিে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ তাহার কালমোর তাছরিে ক্বলবে যে নূর পয়দা হইবে ও খোদার প্রতি ভক্তি ও মোহব্বত পয়দা হইবে তাহা শুধু মৌখকি কালমো পাঠকারী কখনোই অনুভব করতিে পারবিে না।
এই র্পযন্ত র্কতার পরচিয় পাইয়াই যদি কহে মনে করে যে আমার কালমোর মারফেত হাছলে হইয়া গয়িাছে সওে অজ্ঞ। কারণ, জ্ঞান ও নফ্স উভয়কইে খোদা পয়দা করয়িা মানব দহেে বাস করতিে এবং পরস্পররে বরিুদ্ধে অবরিাম যুদ্ধরে আদশে দয়িাছনে। যতদনি মানব জীবতি থাকবিে ততদনি তাহারাও থাকবি।ে কখনো জ্ঞান ‘নফছ্’কে দমন করয়িা নজিে বকিশতি হইব।ে আবার কখনো ‘নফছ্’ প্রবল হইয়া জ্ঞানকে হার মানাইয়া নজিে বকিশতি হইব।ে কাজইে মানুষ যতদনি রাস্তায় থাকবিে ততদনি যে কোন রকমরে সত্যই অনুভব করুক না কনে সে কখনো পথভ্রষ্টতা হইতে নশ্চিন্তি যনে না হয়, কনেনা তাহার পছিনইে ‘নফছ্’ রহয়িাছ।ে তবে খোদা-পাকরে দয়ায় মঞ্জলিে মকছুদে পােঁছতিে পারলিে র্অথাৎ বচিার জ্ঞান দ্বারা সারা জাহানরে প্রভু যে একমাত্র আল্লাহ এই কথা যুক্তি প্রমাণ দয়িা বুঝতিে পারলিে এবং সে যে র্ধম বা নীতরি উপর চলতিছেে উহাই যে সারা জাহানরে সমস্ত র্ধমনীতরি উপর শ্রষ্ঠে নীতি তাহা যুক্তি প্রমাণ দ্বারা জগদ্বাসীকে বুঝাইয়া দতিে পারলিে এবং তারপরওে খোদা পাকরে তরফ হইতে গায়বেী মদদ পাইতে থাকলি,ে তখন সে সারা জাহান হইতে মুখ ফরিাইয়া একমাত্র প্রভু আল্লাহ আহকামুল হাকমিনিরে কাছে নজিকেে সর্মপণ করতঃ নশ্চিন্তি হইতে পারবি।ে তখন আর ‘নফছ’ তাহাকে পরাজতি করতিে পারবিে না। এই ইলাহই আমানত। এই আমানত সর্ম্পূণ ঠকি রাখতিে পারলিইে সে মোমনে এবং তাহারই স্থান বহেশ্তে।ে
মছোল স্বরূপ বলতিছে,ি যখন তুমি ঐ র্পযন্ত ক্রয়িা, র্কম ও র্কতার মছোল বুঝয়িা খোদার সামনে ভক্তি সহকারে হাজরি হইতছে ও কালমো পড়তিছে তখন হঠাৎ ‘নফছ’ প্রবল হইয়া প্রশ্ন করলি, দখে তুমি যে র্কতাকে উপাসনা করতিছে তাহা তোমার জন্য ঠকি। কন্তিু তাই বলয়িা সারা জগতরে সকলরে জন্য একজনই র্কতা হইবনে এর প্রমাণ ক?ি তোমার মছোলে যে র্কতা ছাড়া র্কম হয় না তাহা আমি মানয়িা লইলাম। কন্তিু বভিন্নি র্কমরে বভিন্নি র্কতা থাক।ে যমেন দখে, এই ঘরখানা। ইহার বভিন্নি অংশরে বভিন্নি র্কতা আছ।ে টনিরে র্কতা একজন, বড়ো বানানওেয়ালা অন্যজন। ঐরূপ বভিন্নি জাতরি, বভিন্নি জীব-জানোয়ার বা পর্দাথরে বভিন্নি র্কতা থাকাও ত অসম্ভব নয় যমেন দখে, জগতে যত র্ধমাবলম্বী আছে প্রত্যকেইে আপন আপন উপাস্যরে উপাসনা করতিছেে এবং তুমি যমেন ঘোর বপিদে বা বালা মুছবিতে আপন প্রভুর নামে র্প্রাথনা করয়িা উপকার পাইতছে, ঐরূপ সকল র্ধমরে উপাসকগণ ত উপকৃত হইতছে।ে তাহা হইলে কমেন করয়িা সারা জাহানরে সব কছিুই তোমার এক র্কতারই র্কম হইল? যে ব্যক্তি এই সন্দহেরে উত্তর দতিে না পারবিে তাহার ঈমানরে বল ক্রমশ: কমতিে থাকবিে এবং সে ‘নফছ’ের তাবদোর বা অধীন হইয়া থাকতিে বাধ্য হইব।ে সুতরাং তমেন কাঁচা ঈমানদারকে কোন পথ প্রর্দশকরে অনুসরণ করা ফরজ।
অতএব উল্লখিতি প্রশ্নরে উত্তর দতিে হইলে প্রথমে একত্ব জ্ঞান হাছলে করতিে হইব।ে একত্ব জ্ঞানরে প্রভাবে তাহার বচিার জ্ঞান এমন প্রবল হইবে যে সে দৃঢ়তার সঙ্গে বলয়িা দবিে যে যনিি আমার র্কতা, তনিইি সারা জাহানরে মানুষরে র্কতা। শুধু মানুষরেই র্কতাই তনিি নহনে, বরং আসমান জমনি ও উভয়রে মধ্যে যতকছিু আছে সব কছিুরই র্কতা তনি।ি
এই মোকামে পৗেঁছবিার পর স্রষ্টা সম্বন্ধে তাহার কোন প্রকার সন্দহে থাকতিে পারে না। সে নঃিসন্দহেে বলবিে আমওি যাহা সারা জাহানও তাহা। র্অথাৎ আমি যমেন র্কম, কাহারও উপর আমার কোন র্কতৃত্ব নাই, ঐরূপ প্রত্যকেটি মানব দানব, জীব-জানোয়ার, নদ-নদী, পাহাড়-র্পবত, চন্দ্র-র্সূয, জ্বনি-পরী, ফরেশেতা প্রত্যকেইে, এমন কি বালা-মুছবিত কলরো, বসন্ত, মহামারী, র্দুভক্ষি, ভুত-প্রতে কোন কছিুরই নজিস্ব কোন ক্ষমতা বা কাহারও উপর কোন প্রকার র্কতৃত্ব নাই। সুতরাং সে জোড় গলায় বলবি-ে ‘লা ইলাহা’ -কোন মাবুদ নাই, কোন র্কতা নাই; যাহা কছিু আছে প্রত্যকেইে আমার সমান। কাজইে আমার মাথা কাহারো সামনে নত হইতে পারে না। অতএব যে মুসলমান, যাহার মূলমন্ত্র ‘লা ইলাহা’ -সে সুদৃঢ় ইস্পাতরে মত মজবুত হইয়া থাকবি-ে না সে আগুন দখেয়িা টলবি,ে না বান-বন্যা, ঘোর তুফান দখেয়িা দমবি,ে না বালা-মুছবিত অভাব-অভযিোগ বা শত্রুর আক্রমন দখেয়িাই হয়ে হইতে পার?ে কখনও না, কাহারও সামনে নয়।
কন্তিু সইে একত্ব জ্ঞান কমেন বা কি করয়িা হাছলি করা যায় তাহা কোন কতিাবে লখো যাইতে পারে না। উহা কবেল খোদা-পাকরে খাস দান। ঐ এলমে দয়িা খোদা-পাক নবী ও নায়বে-েনবীগণকে র্সবসাধারণরে উপর হদোয়তেরে দায়ত্বিভার র্অপন করনে।
কন্তিু নবীগণ তো ‘অহ’ি দ্বারা জাননে। আর নায়বেে নবীদগিকে নবী অথবা উলউিল্লাদরে মারফতে আল্লাহ-পাক দান করনে। কাজইে উহা হাছলিরে জন্য আল্লাহর খাস-বান্দার তালাশ করা ও তাহাদরে তাবদোরী করা দরকার। তাবদোরী ব্যতীত শুধু শুনয়িা তাহা হাছলি করা যাইবে না। আর আল্লাহ-পাক র্সবসাধারণকে তাহা কখনই জানান না এবং জানবিার দরকারও হয় না। যমেন রাজা বাদশাহ সকলকইে বানান না। আবার রাজা ছাড়া দুনয়িায় শৃঙ্খলাও কায়মে থাকে না। এতটুকু বুঝলিইে যথষ্টে।
যাহা হউক, সইে একত্বজ্ঞান হাছলি হইলওে ‘নফছ’ মাঝে মাঝে মনে নানা সন্দহে উদ্রকে কর।ে নফ্ছ বুঝায়, আচ্ছা, র্কতা যে একজনই তাহাও মান্য করলিাম। কন্তিু একখানা চঠিি দখেয়িা আমরা বুঝতিে পারি যে ইহার একজন লখেক নশ্চিয় আছ,ে সইে ইহার র্কতা। কন্তিু সে এখন জীবতি আছে কনিা এবং থাকলিওে এখন কোথায় আছে তাহা জানা নাই। ঐরকম তোমার মালকি বা র্কতা, তনিওি এখন আছনে কনিা ও থাকলিওে এখন কোথায় আছনে তাহা জানবিার উপায় ক?ি
উপররে প্রশ্নরে উত্তর দতিে হইলে ফানা ও বাকার জ্ঞান থাকা চাই। তারপরে মাইয়্যাতুল্লাহর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তারপর মছোল ও মছ্লে এর মধ্যে কি র্পাথক্য উহারও জ্ঞান থাকা চাই। তারপর হাহুত, লাহুত, জাবারুত, মালাকুত ও নাছুত সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা চাই। যখন উপরোল্লখিতি র্সব-প্রকার জ্ঞান হাছলি হয় তখন ‘লা ইলাহা’ শব্দরে র্পূণ হাককিত বুঝে আসে এবং সইে মানুষকে প্রায়ই অহংকারীর মত দখো যায়।
এই মোকামে থাকয়িা ‘লা ইলাহা’ পাঠকারীদরে অবস্থা প্রায় নচোরীয়ানদরে মত। কারণ নচোরীয়ানগণ যমেন কোন সৃষ্টর্কিতা মানে না, কাহারও সামনে নত হইতে চায় না, র্সবদা অদম্য সাহসে আপন কাজ করয়িা যায়। ঠকি ‘লা ইলাহা’ মোকামরে তত্ত্বজ্ঞানীদরে কাজর্কমও তদ্রƒপ, এমনকি কোন কোন ব্যাপারে তাহাদরে চাইতওে আগে বড়য়িা যায়, যমেন মনছুর হাল্লাছরে ‘আনাল হক’ দাবী। এই মোকামরে একত্ববাদীগণ র্ধম শাস্ত্রে অভজ্ঞি সাধারণ আলমেদগিকে বোজদলে-র্দুবল-বশ্বিাসী ও কাপুরুষ বলয়িা ঘৃণার নজরে দখেনে এবং সাধারণ লোকরো তাহাদরে উচ্চ মোকামরে বষিয় জানতিে না পারয়িা গোস্তাকীর্পূণ আখ্যা দান কর,ে যমেন, পাগল, মজ্জুব, বদোতি ও অজ্ঞ ইত্যাদি বলয়িা থাক।ে কন্তিু প্রকৃত পক্ষে তাঁহাদরে হৃদয়ে যে আলো আছ,ে তাহা সাধারণরে হৃদয়ে নাই। ইহার প্রমাণ : দখে দনিরে বলো র্সূযরে আলো থাকে বলয়িা আমরা জংগলওে চলতিে পার,ি কনেনা, সাপ, বাঘ থাকলিে দূরে থাকয়িাও দখো যায় এবং উহা হইতে আত্মরক্ষা করা যায়। আর অন্ধকার রাত্রে পরষ্কিার রাস্তা দয়িাও হাটতিে ভয় হয়- না জানি সাপরে উপর পা ফলেি কনিা। অতএব যাহার হৃদয়ে প্রবল আলো থাকে তনিি কোন কছিুতে অযথা ভয় করয়িা দমতিে পারনে না। আর যাহার আলো নাই বা থাকলিওে মটিি মটিি করয়িা জ্বল,ে কখনো দখো যায়, কখনো দখো যায় না, তমেন ব্যক্তি প্রত্যকে পদে পদে অযথা সন্দহে করবি।ে
যাহা হউক এই র্পযন্ত যাহা বলা হইল তাহা কবেল ‘লা ইলাহা’ -এর ব্যাখ্যা। কন্তিু কালমোর র্পূণ র্অথ এখনও ব্যক্ত করা হয় নাই। যখন মানুষরে সামনে ‘ইল্লাল্লাহু’র হাককিত খোলে তখন সে জ্ঞানরে দ্বারা বচিার করয়িা দখেতিে পায় যে যদওি সৃষ্টি জগতে কহেই আমার চড়েে বড় নয়, যদওি কাহারো সম্মুখে আমার মস্তক অবনত হইতে দইে নাই, কন্তিু সৃষ্টজিগতরে যনিি স্রষ্টা তাঁহার সামনে আমার কোনই অস্তত্বি নাই। তাঁহার ইচ্ছা ব্যতীত আমার পক্ষে কোন কাজ করাত দূররে কথা- ইচ্ছা করারও ক্ষমতা নাই। স্বয়ং প্রভু বলনে, “অমা তাশাওনা ইল্লা আইয়্যাশায়াল্লাহু রাব্বুল আলামনি”। সুতরাং সইে র্সবশক্তমিান খোদার সামনে মস্তক অবনত করতিইে হইব।ে যহেতেু মালকিরে সামনে নতশীর হওয়া সরলভাবে ভক্তি দওেয়া বা সজেদা করা ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, নজি কাজ র্কমরে ত্রুটি স্বীকার করা, অপরাধরে জন্য ক্ষমা র্প্রাথনা করা ও নজিরে সর্ম্পূণ অক্ষমতা স্বীকার করয়িা সকল র্কমে প্রভুর নকিট সাহায্য চাওয়া- এসবই হইতছেে বন্দগেী। এই সকল কাজ ছাড়া কখনোই প্রভুর প্রয়িপাত্র হওয়া যায় না। আর প্রভুর প্রয়িপাত্র না হওয়া র্পযন্ত কখনোই কহে কামালত হাছলি করতিে পারে না। অতএব কারণইে শরীয়তে মোহাম্মদীর দ্বতিীয় হুকুমটি হইতছেে নামাজ। যহেতেু নামাজরে মধ্যে দাসত্ব স্বীকার করা, ত্রুটি স্বীকার করা, অহদে খোদাকে প্রভু বলয়িা মান্য করা, ক্ষমা র্প্রাথনা করা, সকল র্কমে সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি বদ্যিমান রহয়িাছ।ে সুতরাং যে ব্যক্তি সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায় করে তাহার কালমো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ ছহহি ও ঠকি হইয়াছ।ে আর যে নামাজ পড়নো, শুধু কালমো পড়ে এবং খোদাকে এক বলয়িা স্বীকার করে তাহার কালমো পড়া সঠকি নয়। তমেন লোকরে আখরোতে নাজাত হইবে কনিা, সে বচিার খোদার দরবার।ে তবে শরীয়তরে বচিারে সে দোষী এবং তমেন লোক উম্মতে মোহাম্মদীর পথ প্রর্দশক হইতে পারে না।
এই র্পযন্ত যাহা বলা হইল তার সারর্মম এই য,ে যে ব্যক্তি মালকিরে হুকুম নতশরি হইয়া মান্য করে আর মালকি ভন্নি অপর কাহারও পরোয়া করনো সইে ব্যক্তি মোত্তাহদে (কালমোগো)। আর যইে ব্যক্তি কালমো পড়ে কন্তিু প্রভুর সামনে নতশরি হয় না, সে ভ্রান্ত এবং যে ব্যক্তি প্রভুর সামনে নতশরি হয় (নামাজ পড়)ে আবার মালকি ছাড়া অপররে সামনওে নতশরি হয়, হয়ে হয় সওে ভ্রান্ত।
আরও একটি কথা এখানে বলা প্রয়োজন, কতক লোকরে সন্দহে হয় য,ে পীর, ওলী, নবীদগিরে সামনে নত হওয়া, তাহাদগিকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও তাজমি করা এবং তাঁহাদরে মন রর্ক্ষাথে (খুশী করবিার জন্য) জান ও মাল কোরবান করা তরীকত পন্থীদরে একটি প্রচলতি নয়িম। ইহাতে ত মালকিরে সাথে সমকক্ষতা দখো যায় যাহাকে শরীয়তরে ভাষায়র্ শকি বল,ে অথচ তাঁহারাই পীর-র্মুশদি, ওলী-দরবশে আল্লাওয়ালা। এই সন্দহেে পড়য়িাই সাধারণ জাহরেী আলমেগণ পীর-র্মুশদিকে বদেয়াত ও গোমরাহি বলতিছেনে। ইহার যে হাককিত তাহা ভাঙ্গয়িা বলার উপায় নাই। কারণ চরিকালই এই ভদেটি গোপনীয়। কন্তিু প্রকৃত ভদে ত গোপন থাকে না। তবে অন্ধদরে সামনে তাহা প্রকাশ পায় না। যমেন অন্ধকার রাত্রে জগতরে সকল জনিসিরেই রং একমাত্র কাল বলয়িা বুঝা যায়। কন্তিু দনিরে বলো জগত বভিন্নি রঙ্গে পরপর্িূণ দখো যায়।
উপররে সন্দহেরে জন্য এতটুকু বলতিছেি য,ে কোরান শরীফরে মধ্যে স্বয়ং খোদা-পাক হযরত মুসা (আঃ) ও হযরত খজিরি (আঃ) এর ঘটনা র্বণনা করয়িাছনে। ইহাত আলমেগণ সকলইে জাননে। আচ্ছা মানুষ খুন করা ও উপকারীর নৌকা ছদ্রি করা এই দুইটি ঘটনা সত্য কনিা? আচ্ছা, ঐ দুইটি কাজ যদি ভালই হইত তবে একজন জললি-কদর পয়গম্বর হযরত মুসা নবী (আঃ) তাহা না পছন্দ করয়িাছনে কনে? আর উহা যে অন্যায় তাহাত হইতইে পারে না। কারণ খোদা-পাক আগইে খবর দয়িাছলিনে য,ে হে মুসা, যাও আমার এক খাস বান্দার কাছ,ে তাহাকে আমার খাস এলমে দান করয়িাছ।ি যাহা হউক, আলমেগণত অবগত আছনে যে উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে যাহারা মশহুর বুর্জুগ ছলিনে তাঁহারা বলয়িাছনে, ‘বান্দায়ে খাস কুনাদ লুতফে আমরা’।
গুফ্ তাইউ গুফতে আল্ল¬া বুয়াদ, গরচে আজ হলকুমে আবদুল্ল¬াহ্ বুয়াদ ॥
বান্দায়ে খোদা খোদা না বাশাদ, অলাকনে আজ খোদা জুদা না বাশাদ ॥
যাহা হউক, যে ব্যক্তি খোদা পাকরে অহ্দানয়িাতরে পরচিয় সুন্দররূপে নজিে বুঝয়িা অপরকে বুঝাইতে পার,ে যাহার একত্বজ্ঞান এমন চরম সীমায় গয়িা পৗেঁছয়িাছে য,ে আকাশ হইতে পাতাল র্পযন্ত প্রত্যকেে দৃশ্য ও অদৃশ্য বস্তুর সৃষ্টর্কিতা একই প্রভু যাঁহার জাত-েপাক আল্লাহ এবং যে ব্যক্তি এতটুকু বলে যে খোদার ইচ্ছা ছাড়া আমার একটি নঃিশ্বাস ছাড়বিারও ক্ষমতা নাই আর যাহার এই বশ্বিাস হইয়াছে যে মুখরে একটি কথা বাহরি হওয়ার পর উহা ধরয়িা রাখবিার জন্য আল্লা-পাকরে ফরেশেতা নযিুক্ত আছ,ে সইে মানুষ কমেন করয়িা খোদার বরিুদ্ধে নজিে শরেকে করতিে পারে এবং অপরকইে বা কমেনের্ শকি করতিে দতিে পার?ে তবে নশ্চিয়ই ইহার কোন হাককিত আছ।ে কাজইে সন্দহে মটিাইতে হইলে তাঁহাদরে ছহবতে থাকতিে হয় এবং শুধু কথায় নয় র্কাযকলাপ দখেয়িা এবং তাঁহাদরে আদশে নষিধে ভক্তি সহকারে পালন করতিে হয়। তখন আর কছিু বাকী থাকে না। নজিরে ভতিরইে খোদার দয়ায় ও ঐ খাস বান্দার দোয়ায় এমন বুঝ হাছলে হয় যে দলেই তাহার কতিাব হইয়া যায়। আর যাহারা শুধু র্তক-বর্তিক করয়িা বুঝ হাছলি করতিে চায় তাহারা কখনোই বুঝ পায় না। যাহা হউক, প্রথম কালমো তারপর নামাজ র্সবশ্রষ্ঠে।
“আচ্ছালাতু ইমাদুদ্দনি।”
“কালমে পড়য়িা কর ঈমান মজবুত
এক্বনিরে সাথে কর খোদাকে ছজুদ
খয়োলরে সাথে নামাজ যবো পড়ে হামহোল
তার’পরে বারি তালা রহনে খোসাল
খয়োলরে নামাজে কহে পায় হজ্ব আরও জহোদ
খয়োলরে নামাজে পায় কহে জামাল আহাদ
নামাজ অমূল্য ধন তার করহ কদর
বাসনা থাকে যদি মনে বহেশেতে যাবার।”