পরম দয়াময় ও করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করতিছেি

ইসলাম ও মোসলমে

আল্লাহ-পাক কোরান মজদিে ফরমাইয়াছনে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে মধ্যে পরপর্িূণভাবে দাখলে হইয়া যাও।” সুতরাং এখানে বুঝা যাইতছেে যে মৌখকিভাবে ঈমান আনার পরও যে ইসলামরে কথা বলয়িাছনে -ইহাতে কছিু ভদে আছ।ে অপর এক আয়াতে আল্লাহ-পাক বলয়িাছনে, “খবরদার! তোমরা মরওি না মুসলমান না হইয়া।”
এক কবি বলয়িাছনে, “শখে সুদি দরবশে সুদ,ি আলমে মোসলমান নাম সুদ।ি” তাই এখন আমি কছিু লখিতিে চাই যে ইসলাম কি আর মোসলমে ক?ে সুতরাং এই প্রবন্ধরে নাম হইবে “ইসলাম ও মোসলমে”।
হে পাঠক! জানয়িা রাখুন, ‘ইসলাম’ শব্দটি আরবী। উহা ‘ছালাম’ হইতে উৎপন্ন হইয়াছ।ে ‘ছালাম’ মানে শান্তি নকিতেন। যে জায়গায় শান্তি ব্যতরিকেে অশান্তরি লশে মাত্র নাই তাহাই হইল শান্তি নকিতেন বা ছালাম। এই জন্যই একটি বহেশেতরে নামও ‘দারুচ্ছালাম’ রাখা হইয়াছ।ে সুতরাং ইসলাম মানে শান্তি নকিতেন। ইহাও বুঝা দরকার যে শান্তি নকিতেন কখন ও আপনা আপনি তয়ৈার হয় নাই। নশ্চিয়ই উহার প্রস্তুতকারক কহে আছনেই আছনে।
আবার এ কথাও সত্য য,ে যে র্পযন্ত কহে মালকিরে বশীভূত দাস না হয় এবং মালকিরে হুকুম মানয়িা না চলে সে র্পযন্ত মালকি কখনও তাহাকে আশ্রয় দবিনে না। সুতরাং শান্তি ও আরাম উপভোগ করবিার মানসে যে কহে শান্তি নকিতেনরে মালকি আল্লাহ-আহকামুল হাকমিনিরে সামনে আত্মসর্মপণ করয়িা তাঁহার বশীভূত দাস হইয়া তাঁহার আইন বা নয়িমাবলী মানয়িা চলবিে সইে হইবে মোছলমে।
এই জগতে বহু মছোল, যমেন চাকর ও মনবি। মনবি সক্ষম; চাকর অক্ষম। তাই চাকররে উচতি সে যনে মনবিরে মন যোগাইয়া চল,ে তবইে তাহার শান্ত।ি নতুবা মনবি তাহাকে তাড়াইয়া দবি।ে আরও দখেুন, যমেন স্বামী ও স্ত্রী। স্বামী সক্ষম, স্ত্রী অক্ষম। তাই স্ত্রীর র্কতব্য সে যনে স্বামীর হুকুম প্রতপিালন করতিে বন্দিুমাত্রও ত্রুটি না কর।ে তবইে সে সুখে স্বামীর ঘরে কাল কাটাইতে পারবি।ে নতুবা স্বামী তাহাকে কষ্ট দবিে বা তাড়াইয়া দবি।ে এইরূপভাবে চন্তিা করলিে দখো যাইবে যে অক্ষমরে জন্য সক্ষমরে কাছে আত্মসর্মপণ না করা র্পযন্ত বা বশীভূত না হওয়া র্পযন্ত শান্ততিে বাস করতিইে পারে না। অতএব এই কায়দা অনুযায়ী দখো যাইতছেে য,ে সৃষ্টর্কিতা আল্লাহ তায়ালার মত র্সবশক্তমিান অপর কহে নাই, সুতরাং সমস্ত সৃষ্ট জীবরে জন্য শান্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় এই যে সে যনে সৃষ্টর্কিতা আল্লাহ-পাকরে বশীভূত দাস সাজে ও তাঁহার নর্ধিারতি নয়িম মানয়িা চল।ে তবইে সে পাইবে শান্তি এবং সে হইবে মোসলমে ও তাহার বাসস্থান হইবে শান্তমিয়।
আরও দখেুন, মোসলমে দুই প্রকার। প্রথমত: বাধ্যতামূলক বা গায়রে এখ্তয়োরী মোসলমে। দ্বতিীয়ত: ইচ্ছাধীন বা এখ্তয়োরী মোসলমে।
বাধ্যতামূলকভাবে আল্লাহর সৃষ্টজীব বা পর্দাথ, মাট,ি দানব, আকাশ-পাতাল এবং জলচর ও স্থলচর সমস্তই বাধ্যতামূলকভাবে মোসলমে। এখন আমি যুক্তযিুক্তভাবে প্রমাণ করয়িা দতিছেি যে আকাশ, পাতাল, জলচর ও স্থলচর প্রভৃতি কি প্রকারে মোসলমে। আমি র্পূবইে বলয়িাছি যে সৃষ্টর্কিতা আল্লাহর নর্ধিারতি নয়িম মানয়িা চলাকইে মোসলমে বা বশীভূত দাস বল।ে ইহা প্রত্যকেইে মানতিে বাধ্য। সুতরাং আসমান মোসলমে ও আল্লাহ-পাকরে বশীভূত দাস। তার প্রমাণ এই য,ে কোটি কোটি বৎসর ব্যাপীয়া আসমান স্থরিভাবে উপরে দ-ায়মান রহয়িাছ,ে কখনও ভাঙ্গয়িা পড়তিছেে না বা কহে ইহার মরোমতও করতিছেে না। সে আপন মনবিরে হুকুমে মওজুদ আছ।ে তারপর চন্দ্র, সওে মোসলমে। কনেনা, চন্দ্র আপন প্রতপিালকরে দাসত্বরে পরচিয় দয়িা র্সবদা ঘুরয়িা বড়োইতছে।ে চাঁদ যখন উদতি হয় তখন সারা দুনয়িার মানব শক্তি একত্র হইয়াও যদি বাঁধা প্রদান করে তাহাকে ফরিাইতে পারবিে না। আবার যখন সইে চাঁদ ক্ষয় হইয়া লুকাইয়া যায় তখনও সমস্ত শক্তি দয়িা তাহাকে আটকাইয়া রাখতিে পারে না। অথচ চন্দ্র যে নজিে সক্ষম কোন বস্তু তাহাও নহ।ে যদি সে সক্ষম হইত তবে সে কনে এইরূপভাবে কোটি কোটি বৎসর ধরয়িা ঘুরয়িা ফরিতিছে?ে কনে সে কখনো র্পূণ হয় আবার কখনো ক্ষয় হয় এবং সে চায় ক?ি নশ্চিয়ই তাহার নজিস্ব ক্ষমতা থাকলিে তাহার নজিস্ব ব্যক্তত্বি প্রকাশ না করয়িা থাকতি না। ইহাতে বুঝা যাইতছেে য,ে সে সৃষ্টর্কিতার একান্ত বশীভূত দাস, তাই মনবিরে হুকুমে পাহারা দয়িা যাইতছেে এবং আল্লাহ যে তাহার মনবি ইহার দললি আসমানী কতিাব কোরান শরীফ। তারপর, র্সূয। সওে খোদা-পাকরে বশীভূত দাস। সে খোদার নর্ধিারতি আইন মানয়িা চলতিছে।ে যখন র্সূয উদয় হয় তখন সারা জাহানরে কহেও উহাকে ফরিাইয়া একটি পল বা অনুপলও বলিম্ব করতিে পারবিে না। আবার যখন অস্ত যায় তখনও কাহারও ক্ষমতা নাই যে একটু বলিম্ব করাইতে পার।ে অথচ র্সূয ও নজিস্ব ক্ষমতা রাখে না। যদি র্সূযরে কছিুমাত্র স্বাধীন ক্ষমতা থাকতি তবে সে কনে নজিরে ব্যক্তত্বি দখোইতছেে না? সুতরাং র্সুয ও মোসলমে। এমনভিাবইে, বৃষ্ট-িবাদল, ঝড়, বদ্যিুত, ঋতু সকলইে নর্ধিারতি নয়িমরে বশীভূত হইয়া চলতিছেে এবং সৃষ্টর্কিতার দাসত্বরে প্রমাণ দয়িা যাইতছে।ে সুতরাং সমস্তই মোসলমে। তারপর দখেুন পৃথবিীর অবস্থা। এখানে যত রকম জীব আছে সকলই নর্ধিারতি নয়িমরে অধীন হইয়া চলতিছে।ে দখেুন, নর ও মাদীর মলিনে প্রত্যকে জীবরে সৃষ্টি হইতছে,ে কোথাও কহে তদবপিরীত কছিু দখেতিে পাইবে না এবং র্সবপ্রকার জীবই মাদীর র্গভজাত হইয়া থাক।ে কোথাও তার বপিরীত র্অথাৎ নররে র্গভজাত হইতে দখেবিে না। সুতরাং যখন এই নয়িম এড়াইয়া কহেই চলতিে পারে না তখন সকলইে নয়িমরে অধীন বা দাস এবং এই নয়িমরে নর্ধিারণ র্কতাই হইতছেনে সৃষ্টর্কিতা আল্লাহ। কাজইে সকল জীবই আল্লাহর আইন মান্যকারী দাস এবং সকলইে বাধ্যতামূলক মোসলমে।
তারপর নদ-নদীও র্সবদা খোদার নয়িম মানয়িা চলতিছে।ে আর দখো যায় নদীতে জোয়ার-ভাঁটা হয়। জোয়াররে সময় র্সবদা পানি বৃদ্ধি পায় ও ভাঁটার সময় পানি হ্রাস পাইতছে।ে কহে এই নয়িম বন্ধ করতিে পারতিছেে না। আরও দখেুন, কোন নদীতে মঠিা পানি আবার কোন নদীতে নোনা পান।ি কখনও নোনা নদীতে মঠিা পানি হয় না আর মঠিা নদীতে কখনও নোনা পানি হয় না। যদওি দুই নদীর পানি মলিতিভাবে প্রবাহতি হইয়া থাক।ে কন্তিু নদী যে নজিে কোন ক্ষমতাবান বস্তু তাহাও নয়। কনেনা, নদী মানুষরে সম্মুখ দয়িাই প্রবাহতি হইয়া থাক।ে সে কনে একই নয়িমে এত বৎসর ধরয়িা প্রবাহতি হইতছে,ে সে কি চায় তাহা আজও কাহাকওে জানাইতে পারে নাই। সে যে খোদারই দাস এবং তাঁহারই প্রদত্ত নয়িমে র্কতব্য কাজ করয়িা যাইতছেে ইহারই দললি প্রমাণ এই যে নদীও বাধ্যতামূলক মোসলমে।
তারপর নদী মধ্যস্থ বালুচরগুলওি খোদার অমোঘ বধিান মানয়িা চলতিছে।ে দখেুন, যে নদীর্গভে রনেু রনেু বালুকণা পড়য়িা মস্ত চর গঠতি হইতছে,ে ঐ নদীর পাড়ইে আবার কত দালান কোঠা ভাঙ্গয়িা চুড়য়িা মসিমার হইতছে।ে যখোনে পানরি এত শক্তি যে মজবুত দালান ও টকিয়িা থাকতিে পারে না, তাহাকে র্চূণ-বচর্িূণ করয়িা নদী র্গভে বলিীন করয়িা দতিছে।ে আবার সইে নদীর মাঝখানইে একটার উপর একটা বালুকণা পড়য়িা চর সৃষ্টি হইতছে।ে অথচ বালুকণাগুলি পরস্পর সংযুক্ত নহ।ে এখানে কি কহে বলবিে যে পানরি স্রোত নাই বা বালুকণার শক্তি খুব বশেী- কখনোই নয়। তবে মানতিে হইবে যে নদী ও বালুকণা উভয়ই মোসলমে বা দাস, সৃষ্টর্কিতা আল্লাহ-পাকরে দাসত্বরে পরচিয় দয়িা যাইতছে।ে
তারপর গাছ-পালা বৃক্ষলতা। যখন হইতে মানুষ সৃষ্টি হইয়াছে তখন হইতে দখেতিছেে গাছপালা ফুল ফল একই নয়িমে চলতিছে।ে যমেন, তাল গাছে বলে হয় না, তালই হয়। আম গাছে কলা হয় না, আমই হয়। আবার ততেুল কখনো মষ্টি হয় না, টকই হয়। মরচি কখনো তক্তি হয়না, ঝালই হয়। র্অথাৎ একই মাটতিে পয়দা, তাদরে একই আর্হায, তবুও বভিন্নি গাছরে ফলে বভিন্নি রকম স্বাদ ও গন্ধ এবং যে ফলে যে স্বাদ ও গন্ধ নর্ধিারতি তাহা এড়াইয়া অন্য প্রকৃতি ধারণ করতিে পারতিছেে না। সুতরাং বৃক্ষলতা গাছ গাছালি সমূদয়ই বাধ্যতামূলক মোসলমে।
এখন আমি সংক্ষপেে মানব দহেরে মোসলমে হওয়ার দললি প্রমাণ দতিছে।ি সারা জাহানরে সকলই যে মোসলমে তাহার সংক্ষপ্তি প্রমাণ দওেয়া হইয়াছ।ে বস্তিারতি লখিতিে গলেে মস্ত বড় পুস্তক-কতিাব হইয়া যাইব।ে আকলমান্দ্ যাহারা তাহাদরে জন্য ইশারাই যথষ্টে। দখে, ওহে মানব! তুমি যে কোন জাতি বা র্ধমাবলম্বী হইয়া থাক না কনে, তোমার র্সবাঙ্গই মোসলমে এখন তুমি মুখে স্বীকার কর বা না কর।
সারাজগতরে সমস্ত সন্তানই মায়রে পটে হইতে পয়দা হয় এবং তুমওি ঐ একই নয়িম পালন করয়িা ভুমষ্ঠি হইয়াছ। সুতরাং তোমার পয়দায়সে হসিাবে তুমি নর্ধিারতি নয়িম মান্যকারী দাস বা মোসলমে।
তারপর প্রত্যকে সন্তানই ভুমষ্ঠি হইয়া মায়রে স্তন্য পান কর-ে তাহা তুমি পালন করয়িাছ। সুতরাং এই নয়িম পালনকারী দাস হসিাবওে তুমি মোসলমে। তারপর প্রত্যকে সন্তানই প্রথমাবস্থায় বাকশক্তহিীন বা বোবা থাক।ে পরে মা-বাপ বা প্রতপিালনকারীর ভাষা ব্যবহার করতিে শখি।ে এই নর্ধিারতি নয়িমও তুমি এড়াইতে পার নাই, সুতরাং বাক শক্তরি ব্যাপারওে তুমি নয়িমরে বশীভূত দাস বা বাধ্যতামূলক মোসলমে। তারপর প্রত্যকে সন্তানকইে সৃষ্টর্কিতা পাঁচটি ইন্দ্রয়ি দান করয়িাছনে, যথা: (১) চোখে দখে,ে (২) কানে শুন,ে (৩) নাকে শুক,ে (৪) জহ্বিা দয়িা স্বাদ গ্রহণ করে ও (৫) ত্বক দ্বারা অনুভব কর।ে তাহা ছাড়া এক ইন্দ্রয়িরে কাজ অপর ইন্দ্রয়ি করতিে পারে না। তুমওি ঐ একই নয়িমরে বশীভূত দাস বা বাধ্যতামূলক মোসলমে।
তারপর দখে, প্রত্যকে মানুষকইে পা দয়িাছনে হাটবিার জন্য, কহে কি হাত দয়িা হাটতিে পার?ে হাত দয়িাছনে কাজ করবিার জন্য, কহে কি পা দয়িা হাতরে কাজ করতিে পার?ে মস্তষ্কি দয়িাছনে চন্তিা করতঃ ভাল মন্দ বচিার ববিচেনা করবিার জন্যই, কহে কি অপর কোন ইন্দ্রয়ি দ্বারা চন্তিা-ভাবনা করতিে পার?ে কখনো নয়। তুমওি এই নয়িম মানয়িা চলতিছে, সুতরাং তুমওি বাধ্যতামূলক মোসলমে। তোমার র্সব শরীর সৃষ্টর্কিতার নর্ধিারতি নয়িমরে অধীন হইয়া চলতিছে।ে দখে, যখনই তোমার নদ্রিা আসে তোমার র্সবদহেে অবসন্নতা আসয়িা তোমা হইতে সমস্ত ক্ষমতা ছনিাইয়া লইয়া যায়, আর তুমি মৃতবৎ পড়য়িা থাক। আর ও দখে, তুমি সুস্থ দহেে বসয়িা আছ, হঠাৎ তোমার পটেে বা অন্য কোন অঙ্গরে ব্যাথা উপস্থতি হইলে তুমি বুঝতিে পার না তাহা কোথা হইতে আসলি। তারপর আরও দখে কখনো কখনো মানুষরে র্অধাঙ্গ (বকিলাঙ্গ) ব্যামার হইয়া কোন কোন অঙ্গ মৃত হইয়া যায়। র্অথাৎ কাজরে অযোগ্য হইয়া যায়। যমেন কাহারও হাত অবশ হইয়া যায়, কাহারো বা চক্ষু কানা বা অন্ধ হইয়া যায়, কাহারও বা পা অবশ হইয়া যায়, অথচ সে নজিওে বুঝতিে পারে না যে সে কনে এমন হইল বা সে এমন করলি যে ইহা কহে চকিৎিসা করয়িাও ভাল করতিে পারে না। সুতরাং আমাদরে র্সব অঙ্গই সইে সৃষ্টর্কিতার বধিান মান্য করয়িা চলতিছেে এবং তোমার র্সবশরীরও ঐ বধিান মান্যকারী দাস। সুতরাং তোমার র্সবশরীর মোসলমান এবং সকল জাতীয় মানুষই বধিবিদ্ধ নয়িমরে ভতির একইভাবে চলয়িা থাক,ে যদওি মুখরে দাবীতে কহে এমন কহে তমেন দাবী কর।ে
আরও দখেুন, কোন স্ত্রীলোকরেই দাড়ি নাই। কারণ সৃষ্টর্কিতার নর্ধিারতি নয়িম এই যে স্ত্রীলোকরে দাড়ি হইবে না। সুতরাং সকল জাতীয় স্ত্রীলোকই এই কানুন মান্যকারী মোসলমে। আল্লাহ-পাক নর্ধিারতি করয়িা দয়িাছনে যে পুরুষ মানুষরে মুখে দাড়ি হইব।ে তুমি রাখ বা নাই রাখ, কন্তিু দাড়ি ত হইতছে।ে তাহা ত আর এড়াইতে পারতিছে না। যাহারা দাড়ি রাখে না যদি তাহাদরে হাতে দাড়ি সর্ম্পূণরূপে বন্ধ করয়িা দওেয়ার শক্তি থাকতি তবে নশ্চিয়ই সে ব্যবস্থা তাহারা অবশ্যই করতি। তার প্রমাণ এই য,ে একমাত্র দাড়ি কামাইবার জন্য যতসব যন্ত্র আবষ্কিার হইয়াছে তাহা বোধ হয় কোটি কোটি টাকারও বশেী হইব।ে কন্তিু দাড়ি গজানো বন্ধ করার কোনই ঔষধ বা যন্ত্র আবষ্কিার করতিে পারতিছেে না। যখন একটা না পছন্দরে জনিসি তোমার অঙ্গরে মধ্যে গজাইয়া উঠয়িা তোমার স্বাধীন ক্ষমতা লোপ করয়িা তোমাকে পরাধীনতা স্বীকার করাইতছে।ে এখনও কি বলতিে পার যে তুমি নর্ধিারতি নয়িমরে বশীভূত দাস নও? নশ্চিয় তুমি বশীভূত দাস এবং এই যুক্তি অনুযায়ী তুমি বাধ্যতামূলক মোসলমে।
এই র্পযন্ত আল্লাহর ফজল ও করমে যুক্তযিুক্তভাবে প্রমাণতি হইল যে আসমান, জমনি ও উভয়রে মধ্যস্থতি সমস্ত জীব-জানোয়ার নদী-নালা, গাছ-পালা, সকলই বাধ্যতামূলক মোসলমে এবং সকল জাতীয় মানব শরীরও বএেখতয়োরীভাবে মোসলমে। যহেতেু সকলইে নর্ধিারতি নয়িম প্রতপিালন করয়িা চলতিছে।ে
এখন বাকী রহলি এখতয়োরী মোসলমে বা ইচ্ছাধীনভাবে মোসলমে কে তার পরচিয় দওেয়া।
হে পাঠক! জানয়িা রাখা দরকার য,ে প্রত্যকে জীবরেই প্রাণ আছ,ে কন্তিু মানুষরে আছে দুইটি প্রাণ। জীবরে প্রাণকে বলে জীবাত্মা, তাহা মানবরে আছ।ে কন্তিু মানব শরীরে ঐ জীবাত্মা ছাড়া আরও একটি আত্মা থাকে তার নাম হইল পরমাত্মা। সুতরাং সইে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সন্ধান লইয়া যে মনব উভয় আত্মাকে সৃষ্টর্কিতার বশীভূত দাস বানাইয়া চলতিে পারে সইে হইবে কামলে মোসলমান এবং সইে মানবরে ভাগ্যইে আল্লাহ-পাকরে শান্তি নকিতেনরে অফুরন্ত আরাম ও আয়শে ঘটবি।ে আর যে মানব পরমাত্মার খবর না লইয়া কবেল জীবাত্মার বশীভূত হইয়া কাল কাটাইবে তাহারা প্রকৃতপক্ষে দোজখরে ভীষণ আযাব ভুগবি।ে স্বয়ং খোদা- পাক বলয়িাছনে আমি কতক জ্বীন ও ইনসান পয়দা করয়িাছি তাহারা জাহান্নামরে ইন্ধন হইব।ে তাহাদরে চহ্ণি ক?ি তাহাদরে দলি দয়িাছ,ি ভালমন্দ বুঝে নাই, চক্ষু দয়িাছি ভাল রাস্তা দখেে নাই, কান দয়িাছি ভাল কথা শুনে নাই, তাহারা যমেন চতুষ্পদ জানোয়ার। বরং জানোয়ার ত ভালই, তাহা হইতওে নকিৃষ্ট। যহেতেু তাহারা গাফলে (কোরআন)। এই র্মমইে হুজুরে পুরনূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অছাল্লাম ফরমাইয়াছনে; “যে চনিয়িাছে নফ্সকে সে চনিয়িাছে খোদাক”ে।
যাহা হউক সইে পরমাত্মার তত্ত্ব মানবরে নকিট হইতে পাওয়া অসম্ভব। তার র্সাবকি সন্ধান কবেল সৃষ্টর্কিতা আল্লাহই ভাল জাননে। সইে জন্য দয়া করয়িা আল্লাহ যুগে যুগে নবী বা রাসুল পাঠাইয়াছনে। কোন আকাশবাসী রাসুল হইয়া আসনে নাই বরং মানব জাতরি মধ্য হইতইে আবশ্যকবোধে একজনকে বাছাই করয়িা নয়িাছনে এবং তাহাকে আল্লাহ-পাকরে তরফ হইতে সৃষ্টর্কিতার মারফেৎ বা পরচিয় এবং মানবাত্মার পরচিতিি জ্ঞান বা এলমে দান করয়িাছনে এবং সইে নবী আল্লাহর খলফিা পদে নযিুক্ত হইয়া খোদা প্রদত্ত এলমে জগদ্বাসীকে শক্ষিা দয়িাছনে। যে কোন মানবই সইে নবীর নকিট হইতে শক্ষিা লাভ করয়িাছনে তনিইি সঠকি পরচিয় পাইয়াছনে। আর যাহারা সইে নবীর শক্ষিা গ্রহণ করে নাই তাহারা কখনই পরমাত্মার খবর পায় নাই বা পাইতওে পারে না। আর যে পরমাত্মার খবরই পায় নাই সে খোদার পরচিয় আর কি পাইব?ে জীবাত্মার ও পরমাত্মার প্রভদে কি এবং এই বষিয়ে কঞ্চিৎি আভাস:
জীবাত্মার প্রভাবে প্রাণীরা যে সকল কাজ করে প্রত্যকে মানবও প্রায় তাহাই কর।ে যথা: কাম ভাবরে উদয় হইলইে একটি নর পশু ও একটি মাদা পশুকে ব্যবহার করে এবং উহার প্রভাবে বাচ্চা পয়দা হয়। এই খাছলাত মানব জাতরি মধ্যওে আছ।ে ক্রোধ হইলে একটি জীব অপর জীবকে আঘাত কর-ে ইহা মানবরে মধ্যওে বদ্যিমান। আর ক্ষুধা লাগলিে আহার করার প্রবৃত্তি হয়। এই ব্যাপারে পশু পাখীর যে নয়িম মানবরেও ঐ একই নয়িম। এই সকল জনিসিরে মধ্যে মানব ও জানোয়াররে মধ্যে কোন র্পাথক্য নাই। তবে পরমাত্মার প্রভাবে মানব যাহা হাছলে করে তাহা হইল অতীত ও ভবষ্যিত এবং দুইটি জনিসিরে দ্বারা উপকৃত হওয়া। উহা কোন জীবই পায় নাই। কারণ গত বৎসর কি কাজ করাতে ক্ষতগ্রিস্থ হইয়াছলিাম তাহা স্মরণ রাখয়িা আগামী বৎসর তদবপিরীত কোন কাজ করা- ইহা মানব ছাড়া অপর জীব পারে না। মনে কর, গলে বৎসর বীজধানে রৌদ্র কম দওেয়াতে উহা ঠকিমত গজায় নাই। উহা দখেয়িা এইবার হুঁশয়িার হইয়া থাকলি যে এইবার যনে বশেী রৌদ্র দয়ে।
আরও দখে, মৌসুমরে সময়ে প্রত্যকে জনিসি সস্তা থাকে এবং গায়রে-মৌসুমে মঙ্গা হয়। এই সকল জানয়িা মানুষ সাধ্যমত জনিসিপত্র মৌসুমরে সময় ক্রয় করয়িা রাখ।ে ফলে গায়রে-মৌসুমে লাভবান হয়। কন্তিু একটা গরুকে একদনি বা দুইদনি ক্ষুর্ধাত রাখবিার পর যদি অন্ততঃ দুই দনিরে পরমিাণ ঘাস তার সামনে দওেয়া হয় তবে সে কতক খাইয়া আর কতকরে মধ্যে লদোইয়া চনোইয়া নষ্ট করয়িা রাখবি।ে সে মোটইে ভাববিে না আগামীকাল আমি কি খাইব?
আরও দখে একটা মানুষরে সন্তান অসুস্থ হইলে যদি সে নজিে কছিু জানে তবে সইে ব্যবস্থা কর,ে নতুবা তাড়াতাড়ি অপর কহেকে দখোইয়া তাহার রোগরে প্রতকিার করায়। কন্তিু একটি জানোয়াররে বাচ্চার কোন অসুখ হইলে সে কছিুই করতিে জানে না- সে জ্ঞান তাহার নাই।
সুতরাং মানব ও জানোয়াররে মধ্যে বহু র্পাথক্য বদ্যিমান আছ।ে এই যে জ্ঞান যদ্বারা মানুষ অতীতে যে বষিয়ে ক্ষতগ্রিস্থ হইয়াছে ভবষ্যিতে তাহা হইতে বাঁচয়িা থাকতিে পার।ে এই জ্ঞানই মানুষকে জানোয়ার হইতে পৃথক করয়িা দয়িাছ।ে আরও দখে, জানোয়ার হইতে মানবকে কতকগুলি শক্তি স্বতন্ত্র করয়িা দয়িাছনে। যমেন, গরুর হাম্বা হাম্বা রব। চরিকালই সে ঐ এক বুলি ছাড়া অন্য বুলি বলতিে পারে না। একটি কুকুর একটি বড়িালরে বুলি আওড়াইতে পারে না। একটি ঘোড়া একটি ছাগলরে বুলি আওড়াইতে পারে না। এমন কি পাতি কাক একটি দাঁড় কাকরে বুলি আওড়াইতে পারে না। এই সকল ব্যাপারে সকল জীব নর্ধিারতি নয়িমরে মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে বন্দী আছ।ে কন্তিু একটি মানুষকে স্বাধীন ক্ষমতা দওেয়া হইয়াছ।ে সে যে কোন বশে ধারণ করতিে পার।ে যে কোন জীবরে বুলি মুখে আওড়াইতে পারে এবং এই স্বতন্ত্র ক্ষমতার কারণইে স্বতন্ত্র নয়িমও নর্ধিারতি হইয়াছ।ে
মনে কর, কুকুর যদি ঘউে ঘউে করে তবে উহাই কুকুররে তসবহি পড়া হইব।ে একটি বড়িাল যদি মওে মওে করে তবে উহাই বড়িালরে তসবহি পড়া হইব।ে একটি কাক যদি কা-কা করে তবে উহাই তাহার তসবহি হইব,ে কনেনা, সে বাধ্যতামূলকভাবে ঐ শব্দরে মধ্যইে আবদ্ধ আছ।ে কন্তিু একটি মানুষ জগতরে সকলজীব বা জানোয়াররে বুলি আওড়াইলে ও তাহার তসবহি পড়া হইবে না বরং ঐসব তাহার জবানরে অপব্যয় হসিাবে ধরা হইব।ে কন্তিু মানবরে তসবহি তখনই হইবে যখন সে আপন নবীর বাতান বুলি আওড়াইব।ে
এবার দখে মানুষ এমন স্বাধীন ক্ষমতা রাখে যে সে ইচ্ছা করলিে নবীর কথা মান্য করয়িা চলতিে পারে আবার ইচ্ছা না হইলে নবীর বরিুদ্ধওে চলতিে পার।ে অবশ্য নবী ভাল ও মন্দ বুঝাইয়া দতিে পারনে। কন্তিু জানার পরে মানা বা অমান্য করা মানুষরে ইচ্ছাধীন, এখানে নবীর নীতি পালন করাইবার জন্য মানবরে উপর কোন প্রাকৃতকি নয়িম নর্ধিারতি নাই। কবি বলয়িাছনে, “যাহার ইচ্ছা হয় চলয়িা আসুক, যাহার ইচ্ছা হয় চলয়িা যাউক, ধরপাকড় বা দারোয়ান বা প্রতবিন্ধক এখানে নাই।” অতএব, যে স্বাধীন ক্ষমতা দয়িা মানুষকে প্রত্যকে জীবরে উপর প্রাধান্য দান করয়িাছনে, উক্ত ক্ষমতার মালকিই হইতছেে পরমাত্মা এবং ঐ পরমাত্মা মানব দহেে থাকয়িা ‘আনানয়িাতরে’ দাবী কর।ে যমেন ‘ইহা আমার নজিস্ব জনিসি’, ‘তুমি আমার অধীনস্থ’, ‘আমি তোমার মালকি’ এবং ইহারই নাম ‘নফসে নাতকে’। যাহা হউক এই পরমাত্মার সাহায্যে সে জ্ঞানবলে ইহলোকে বহু উন্নতি সাধন করতিে পারে এবং করতিছে।ে ইহা আমরা স্বচক্ষে দখেতিছে।ি এই পরমাত্মার জ্ঞানবলে কহে ইহকালরে উন্নতরি জন্য চষ্টো ও সাধনা করবিে সইে কম বশেী কছিু উন্নতি করতিে পার।ে
কন্তিু র্উধ্ব লোকরে উন্নতি সাধন করার ক্ষমতা মানবদহেরে পরমাত্মার ক্ষমতার বাহরি।ে যদি র্উধ্বলোকরে সংবাদ বা তথাকার রহস্য জানার ক্ষমতা মনবদহেে থাকতি তাহা হইলে র্বতমান যুগরে বজ্ঞৈানকিগণ উড়োজাহাজ দয়িা আকাশ র্পযন্ত পৗেঁছতিে পারতি এবং তথাকার খবর জগতে আনতি। কন্তিু তাহা কি তাহারা পারতিছে?ে কখনো নয়। আকাশ ও আকাশবাসীদরে সমস্ত সংবাদ স্বয়ং সৃষ্টর্কিতা আল্লহা-পাক দয়া করয়িা কোন কোন মনবকে জানাইয়া থাকনে এবং তনিইি আল্লাহ-পাকরে প্ররেতি পুরুষ বা নবী ও রসুল। সুতরাং প্রকৃত শান্তি নকিতেন বা বহেশেত অবস্থতি র্উধ্বলোক।ে আর একথাও সকলইে জাননে যে প্রত্যকে জায়গায়ই যাইবার জন্য ভন্নি ভন্নি পথ ঘাট থাকে এবং প্রত্যকে রাষ্ট্রইে বাস করবিার জন্য কতকগুলি র্শত থাক।ে এই সমস্ত র্শতপালনকারী তথায় সুখে বাস করে আর র্শত অমান্যকারী গ্রফেতার হইয়া কারাবাসী হয়। অতএব প্রত্যকে মানুষই একবার সইে র্উধ্বলোকে পৗেঁছবিে এবং সখোনে গয়িা নজিকেে যাহাতে সভ্য ও সুশক্ষিতি বলয়িা পরচিয় দতিে পারে এবং যাহাতে আকাশবাসীদরে সামনে অসভ্য র্ববর সাজতিে না হয় সইে শক্ষিা দান করতিইে নবী আসনে। সুতরাং নবীর শক্ষিা প্রণালী বা নীতকিইে বলে শরীয়ত বা দ্বীন ইসলাম।
অতএব মনব জাতরি মধ্য হইতে যাহারা জামানার নবীর শরীয়ত স্বচ্ছোয় মান্য করনে তাহারাই ‘মোমনে’ আর যাহারা স্বচ্ছোয় নবীর শরীয়ত অমান্যকারী হয় তাহারাই ‘কাফরে’।
সুতরাং আখরেী জামানার শষেে পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অছাল্লাম। যাহারা আল্লাহকে সৃষ্টর্কিতা হসিাবে মান্য করে ও হুজুরকে নবী হসিাবে মান্য করে র্অথাৎ কালমো পড়ে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ তাহারা মোমনে এবং এই মোমনেদগিকইে খোদা বলয়িাছনে যে তোমরা পরপর্িূণভাবে মোসলমান হও। র্বতমান জগতে মোমনে আছে বটে কন্তিু মোসলমান খুব কম। কারণ আজকালকার মোসলমানগণ কবেল মুখে বলে যে আমাদরে র্ধম ইসলাম এবং আমরা মুসলমান জাত।ি আমাদরে সৃষ্টর্কিতা আল্লাহ, আমাদরে রাসুল হযরত মোহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অছাল্লাম। আমরা মনে করি যে খোদার কাছে বহেশেত, আমরা খোদার বান্দা, খোদাকে মানলিে তনিি বহেশেত দবিনে। খোদার কাছে যে বহেশেত এবং তনিইি যে দবিনে ইহাত ঠকি। কন্তিু তাহার র্শত আছ।ে মনে কর, একজনরে কন্যা আছ।ে তুমি ববিাহ করতিে ইচ্ছুক; সওে দতিে রাজী। শুধু এই ইচ্ছা ও রাজীতইে কি ঐ কন্যা তোমার স্ত্রী হইব?ে বা তুমি তাহার স্বামী হইতে পারবি?ে অথবা কোন লোক তাহার বাড়ি বক্রিয় করতিে ইচ্ছুক আর তুমি খরদি করতিে রাজী। বলত, এই রাজী ও ইচ্ছাতইে কি তুমি ঐ বাড়রি মালকি হইতে পারবি?ে হ্যাঁ, তুমি যদি ‘শরা’ অনুযায়ী মোহর দান করতঃ ববিাহরে অলঙ্কারাদি দয়িা কন্যার অলি হইতে ববিাহ রজেষ্ট্রিি করতিে পার তবে অবশ্যই ঐ কন্যা তোমার স্ত্রী হইব।ে অথবা যদি ঐ বাড়রি মূল্য প্রদান করয়িা সরকারী অফসি হইতে রজেষ্ট্রিি করয়িা লইতে পার তবে তুমি হইবে ঐ বাড়রি মালকি। ঐ রকম বহেশেতে ও তথাকার যাবতীয় জনিসি দান করবিনে বান্দাক।ে কন্তিু তাহার মূল্য হইতছেে ‘শরীয়তে নববী’ যে ব্যক্তি নবীর র্পূণ হুকুম মান্য করয়িাছনে তনিইি বহেস্তেে প্রবশে করয়িাছনে। এই জগতে যে এই নর্ধিারতি নয়িম মানয়িা চলবিে তাহারই জন্য রহয়িাছে চরিসুখরে স্থান শান্তি নকিতেন বা বহেস্তে।